আসলে, মানুষের ভাষার মতো রংয়েরও ভাষা থাকে। সাধারণত লাল রংকে ধরা হয় সৌভাগ্য, আনন্দ-উৎসব ও ভালবাসা ও আবেগের প্রতীক হিসেবে। যার জন্যেই হয়তো উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রকাশের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় লাল গোলাপ।

Viral Biryani:  ‘দাদা বৌদি’ নয়! এবার খান ‘কালাচাঁদ ঠাকুরের বিরিয়ানি! তাও ৮০ টাকায় আনলিমিটেড!

উত্তর ২৪ পরগনা: নানা অনুষ্ঠানে রান্নার কাজ করলেও, লকডাউনের সময় পেশা বদলে বাড়িতেই খুলেছিলেন মুখরোচকের দোকান। সেই খানেই মাত্র কয়েক কেজি চালের বিরিয়ানি তৈরি করে শুরু করেছিলেন বিক্রি। কোনও বড় রাস্তা বা বাজারে নয়, নিতান্তই অশোকনগর পৌরসভা এলাকার হরিপুর বিধানপল্লীর ঘিঞ্জি এলাকার গলির মধ্যেই এই বাড়ি এখন ভোজন রসিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।কালাচাঁদ ঠাকুরের বিরিয়ানি খেতে তাই এখন সকাল হলেই ভিড় বাড়তে থাকে, দূর দূরান্ত থেকে আসা বিরিয়ানি প্রেমীদের।

অন্যান্য বিরিয়ানির থেকে এই বিরিয়ানি যেন কিছুটা হলেও স্বাদে অন্যরকম দাবি ক্রেতাদের। কাঠের উনুনে পুরোনো পদ্ধতিতেই এই বিরিয়ানি তৈরি করেন বিক্রেতা। সেদ্ধ করা মাংস নয়, বরং বিরিয়ানিতে ব্যবহার করা মাংসের পিস, কোটিং দিয়ে ফ্রাই করেই পরিবেশন করা হয়। তামার হাঁড়িতেই তৈরি হয় বিরিয়ানি। আর তাতেই বহুগুণ বেড়ে যায়, বিরিয়ানির স্বাদ। তবে বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কালাচাঁদ ঠাকুর নিজে হাতে রান্না না করলেও, বাবার নির্দেশেই দোকান সামলানো থেকে রান্নার কাজ সমস্তটাই করছেন ছেলে অমিত।

আরও পড়ুন: নয়নতারা ফুল এই নিয়মে খেলেই দূর হবে ডায়াবেটিস! জানুন চিকিৎসকের মত

বেসরকারি সংস্থার চাকরি ছেড়ে এখন বাবার এই বিরিয়ানির ব্যবসাকেই পেশা হিসাবে নিয়েছে ছেলে। বাড়িতেই একপাশের যেমন হয় বিরিয়ানি তৈরি থেকে রান্নার কাজ, তেমনই বাড়ির সামনেই উঠোনে টেবিল পেতে ক্রেতাদের বসিয়ে তৃপ্তি করে খাওয়ান কালাচাঁদ ঠাকুর। মাত্র ৮০ টাকায় পাওয়া যায় আনলিমিটেড চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ দিয়ে বিরিয়ানি মাত্র ১৩০ টাকা এবং ১৬০ টাকায় মেলে মটন বিরিয়ানি। গরমের দিনেও এখন তিন হাড়ি হামেশাই বিক্রি হয়ে যায় এই কালাচাঁদ ঠাকুরের বিরিয়ানি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এখন ভাইরাল এই বিরিয়ানির কথা।

Rudra Narayan Roy