সৌরদীপ্তের পাশে তার বাবা ও মা

Viral Child: বয়স মাত্র দুই…, এই শিশুর কাণ্ড দেখে হতবাক সকলে! নেটদুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল

দিনহাটা: বহু মানুষের বহু রকমের পারদর্শিতা দেখতে পাওয়া যায়। আর এই ধরনের পারদর্শিতার কারণে অনেকেই বিভিন্ন খেতাব অর্জন করে থাকে। তবে এবার কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বা মহিলা নয়। ছোট্ট এক ২ বছর ৪ মাসের শিশুর পারদর্শিতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছে সকলে। ছোট্ট এই শিশুর কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে জেলাবাসীর মুখে মুখে। ইতিমধ্যেই এক সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে একটি খেতাব প্রদান করা হয়েছে। এই কারণে, ক্ষুদের পরিবারের মানুষদের পাশাপশি খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। তবে এতে তাঁর অবশ্য কোন চিন্তা নেই বিন্দুমাত্র।

চোখের নিমেষে গড়গড় করে শিশুটি বলে চলেছে ৩৭টি পশু, ৯টি সবজি, ১২টি ফল, ৮টি রঙ, ১২টি অঙ্গের নাম ও আরও কত কিছু। শিশু সৌরদীপ্ত ঘোষের বাবা সুদীপ্ত ঘোষ জানান, “ছোট থেকেই অনেক শিশু সঠিক ভাবে কথা বলতে পারেনা। সেক্ষেত্রে তাঁদের স্পীচ থেরাপি নিতে হয়। সেজন্য ছেলেকে তাড়াতাড়ি কথা বলা শেখানোর জন্য চেষ্টা করতে গিয়ে এই বিষয়টি সামনে এসে। তাঁরা দেখেন তাঁরা সৌরদীপ্তকে যা শেখাচ্ছেন সবটাই সে মনে রাখছে খুব সহজে। এছাড়া প্রশ্ন করলে গড়গড়িয়ে উত্তর ও দিতে পারছে সে। তাই সব মিলিয়ে তাঁদের ছেলের এই বুদ্ধিমত্তার কারণে দারুন খুশি তাঁরা।”

আরও পড়ুন: ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি, দমকা হাওয়া কাঁপাবে ১৬ রাজ্য! কী হবে বাংলায়? IMD দিয়ে দিল বিরাট আপডেট

শিশু সৌরদীপ্ত ঘোষের মা তনয়া পাইন জানান, “একেবারে শুরুর সময় থেকেই তাকে যা বলা হত সে সবটাই মনে রাখতে পারতো। আর এই বিষয়টি নজরে আসা তাঁদের। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাঁর জানার পরিধি। নিত্য নতুন আরো বিভিন্ন জিনিস শিখতে থাকে সে। তারপর একদিন তারা যোগাযোগ করেন একটি সংস্থার সঙ্গে। সেই সংস্থার মানুষেরা এসে তাঁর ছেলের বুদ্ধিমত্তা দেখে তাঁকে খেতাব প্রদান করে। বর্তমান সময়ে রাস্তায় বেরোলেই বহু মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ছেলে।”

এত খুদে এক শিশু সৌরদীপ্তের এই ধরনের বুদ্ধিমত্তা। মূলত এই কারণেই বর্তমান সময়ে বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করেছে দিনহাটার এই খুদে। আগামী দিনেও সে আরও নিত্যনতুন কর্মকাণ্ড করে সকলকে চমকে দেবে একটু নিশ্চিত। তবে শিশুর এই আশ্চর্য বুদ্ধিমত্তা দেখে রীতিমত অবাক হয়েছে বহু মানুষও। কী ভাবে এত ছোট বয়সে এত বিপুল পরিমাণ জিনিস সে মনে রাখতে পারছে এটা কিন্তু সত্যিই চিন্তার বিষয়।

সার্থক পণ্ডিত