Tag Archives: Viral child

Bangla Video: ঠোঁটের ডগায় গীতার সব শ্লোক, মাত্র ৪ বছর বয়সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন কৃষ্ণভক্ত ভাগবত দাস ব্রহ্মচারী

পশ্চিম বর্ধমান: আর পাঁচটা বছর চারেকের শিশু যা করে তিনি তা করেন না। কচি বয়সে হাই, হ্যালোর বদলে এই খুদের মুখে সবসময় শোনা যায় কৃষ্ণ নাম। কৃষ্ণভক্ত চার বছরের এই বালক ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তার প্রত্যেকটি ভিডিওতে থাকে মিলিয়ন ভিউ। দেশের মাটি ছাড়িয়ে কৃষ্ণ নামের প্রচারে এই ছোট্ট বালক ইতিমধ্যেই বিদেশেও ঘুরে এসেছে। বৃন্দাবনের সেই বিস্ময় বালক ভাগবত দাস ব্রহ্মচারী এবার এই বাংলায়।

আসানসোলে গেলেই দেখা পাবেন মাত্র চার বছর বয়সের স্বনামধন্য কৃষ্ণভক্ত ভাগবত দশ ব্রহ্মচারীর। ২০২০ সালে মথুরায় জন্মগ্রহণ করে। বাবা-মা দুজনেই কৃষ্ণভক্ত। তাঁদের হাত ধরেই একেবারে ছোটবেলা থেকে কৃষ্ণপ্রেম শুরু এই খুদের। বর্তমানে ভগবত দাস ব্রহ্মচারী গৌরাঙ্গ ইনস্টিটিউট ফর বৈদিক শিক্ষার গুরুকুলে অধ্যায়নরত। এই চার বছর বয়সেই সে অবলীলায় বলে দিতে পারে গীতার বিভিন্ন কঠিন কঠিন শ্লোক। পুরোপুরি সনাতন ধর্মের প্রাচীন রীতি অনুসরণ করে জীবন যাপন করে এই বালক।

আরও পড়ুন: টাইম কল থাকলেও এই গ্রামের মানুষ পরম তৃপ্তিতে পুকুরের জল পান করে!

ভগবত দাস ব্রহ্মচারী ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার একজন তারকা হয়ে উঠেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। এই বিস্ময় বালককে দেখতে বহু মানুষ ছুটে আসেন। কথা শুনতে পছন্দ করেন বহু মানুষ। সেই কৃষ্ণভক্তের এবার দেখা পাবেন আসানসোলে গেলেই। সৌজন্যে আসানসোলের ভাস্কর্য শিল্পী সুশান্ত রায়।

আসানসোলের ভাস্কর্য শিল্পে সুশান্ত রায় তাঁর ওয়াক্স মিউজিয়ামে তৈরি করে ফেলেছেন ভাগবত দাস ব্রহ্মচারীর একটি মোমের মূর্তি। যা সদ্য দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভিডিও দেখেই এই মূর্তি তৈরি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুশান্তবাবু। তারপর দেড় মাস সময় লেগেছে খুদে কৃষ্ণভক্তের মূর্তি তৈরি করতে। যা বর্তমানে এই ওয়াক্স মিউজিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। এই কৃষ্ণ ভক্তের মূর্তি তৈরি করতে পেরে শিল্পী নিজেও ভীষণ খুশি।

নয়ন ঘোষ

Viral Child: বয়স মাত্র দুই…, এই শিশুর কাণ্ড দেখে হতবাক সকলে! নেটদুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল

দিনহাটা: বহু মানুষের বহু রকমের পারদর্শিতা দেখতে পাওয়া যায়। আর এই ধরনের পারদর্শিতার কারণে অনেকেই বিভিন্ন খেতাব অর্জন করে থাকে। তবে এবার কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বা মহিলা নয়। ছোট্ট এক ২ বছর ৪ মাসের শিশুর পারদর্শিতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছে সকলে। ছোট্ট এই শিশুর কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে পড়েছে জেলাবাসীর মুখে মুখে। ইতিমধ্যেই এক সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে একটি খেতাব প্রদান করা হয়েছে। এই কারণে, ক্ষুদের পরিবারের মানুষদের পাশাপশি খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। তবে এতে তাঁর অবশ্য কোন চিন্তা নেই বিন্দুমাত্র।

চোখের নিমেষে গড়গড় করে শিশুটি বলে চলেছে ৩৭টি পশু, ৯টি সবজি, ১২টি ফল, ৮টি রঙ, ১২টি অঙ্গের নাম ও আরও কত কিছু। শিশু সৌরদীপ্ত ঘোষের বাবা সুদীপ্ত ঘোষ জানান, “ছোট থেকেই অনেক শিশু সঠিক ভাবে কথা বলতে পারেনা। সেক্ষেত্রে তাঁদের স্পীচ থেরাপি নিতে হয়। সেজন্য ছেলেকে তাড়াতাড়ি কথা বলা শেখানোর জন্য চেষ্টা করতে গিয়ে এই বিষয়টি সামনে এসে। তাঁরা দেখেন তাঁরা সৌরদীপ্তকে যা শেখাচ্ছেন সবটাই সে মনে রাখছে খুব সহজে। এছাড়া প্রশ্ন করলে গড়গড়িয়ে উত্তর ও দিতে পারছে সে। তাই সব মিলিয়ে তাঁদের ছেলের এই বুদ্ধিমত্তার কারণে দারুন খুশি তাঁরা।”

আরও পড়ুন: ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি, দমকা হাওয়া কাঁপাবে ১৬ রাজ্য! কী হবে বাংলায়? IMD দিয়ে দিল বিরাট আপডেট

শিশু সৌরদীপ্ত ঘোষের মা তনয়া পাইন জানান, “একেবারে শুরুর সময় থেকেই তাকে যা বলা হত সে সবটাই মনে রাখতে পারতো। আর এই বিষয়টি নজরে আসা তাঁদের। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাঁর জানার পরিধি। নিত্য নতুন আরো বিভিন্ন জিনিস শিখতে থাকে সে। তারপর একদিন তারা যোগাযোগ করেন একটি সংস্থার সঙ্গে। সেই সংস্থার মানুষেরা এসে তাঁর ছেলের বুদ্ধিমত্তা দেখে তাঁকে খেতাব প্রদান করে। বর্তমান সময়ে রাস্তায় বেরোলেই বহু মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ছেলে।”

এত খুদে এক শিশু সৌরদীপ্তের এই ধরনের বুদ্ধিমত্তা। মূলত এই কারণেই বর্তমান সময়ে বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করেছে দিনহাটার এই খুদে। আগামী দিনেও সে আরও নিত্যনতুন কর্মকাণ্ড করে সকলকে চমকে দেবে একটু নিশ্চিত। তবে শিশুর এই আশ্চর্য বুদ্ধিমত্তা দেখে রীতিমত অবাক হয়েছে বহু মানুষও। কী ভাবে এত ছোট বয়সে এত বিপুল পরিমাণ জিনিস সে মনে রাখতে পারছে এটা কিন্তু সত্যিই চিন্তার বিষয়।

সার্থক পণ্ডিত