তাঁত

Birbhum News: বীরভূমের তাঁত শিল্পীদের জন্য এবার বড় উদ্যোগ! তৈরি হ্যান্ডলুম ঘর

বীরভূম: বীরভূমের লাভপুরের আবাডাঙা গ্রামে তাঁত শিল্পীদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে বড়ো হ্যান্ডলুম ঘর।যেখানে অনেক তাঁতি একসঙ্গে তাঁত বনুতে পারবে। প্রসঙ্গত আমাদের বাড়ির আনাচ কানাচ যে দিকেই চোখ রাখা যাক না কেন আমাদের চোখে ঠিক পরে যাই কোন না কোন পুরাতনী শিল্প,তা সে টেবিলে রাখা ফুল দানি হোক বা বারান্দাই রাখা ফুল গাছের টব।ঐতিহ্যের ছাপ রয়ে গেছে বস্ত্রেও।বাংলায় সেই সময় বস্ত্রের জগতে যে কয়েকটি শিল্পের নাম উল্লেখ ছিল তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিল বালুচুরি,তসর,মসলিন, লতাঁত প্রভৃতি।তবে আজ আমরা শোনাবো তাঁত শিল্প ও তার সঙ্গে জরিত শিল্পাীদের কথা।

আরও পড়ুন: ডাকের সাজে দেবী,নাড়ুর হরিলুঠ…আভিজাত্যে মোড়া প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন সুরুলের পুজো

তাঁত মুলত একটি কুটির শিল্প।নদীয়ার শান্তিপুর ও হুগলীর ধনেখালি মূলত তাঁত শিল্পের পীঠস্থান বলে চিহ্নিত হলেও এর বাইরেও বিভিন্ন জায়গার মানুষের জীবন জীবিকা এই তাঁত শিল্পকে ঘিরে।আজ আমরা এমনি একটি জায়গার কথা জানাব আপনাদের।সেই গ্রামের নাম আবাডাঙ্গা।বীরভূম জেলার লাভপুর থানার অন্তর্গত এই গ্রামে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ টি ঘরের মানুষের মুল জীবিকা এই তাঁত শিল্প।বাবা দাদুদের আমল থেকে চলে আসা এই শিল্পকেই এখনও তারা টিকিয়ে রেখেছেন মূলত পেটের দায়ে। আবাডাঙ্গার তাঁত শিল্পী বুদ্ধদেব কুণ্ডুর কথায়,তাদের পরিবারের আদি জীবিকা এই তাঁত শিল্প।বহু বছর প্রায় ৭০ থেকে ৮০ বছর ধরে তাদের পরিবার যুক্ত তাঁত শিল্পের সঙ্গে।

আরও পড়ুন: তারাপীঠের মন্দিরে পঞ্চপ্রদীপের বদলে আরতি শুরু হয় ধূপকাঠি দিয়ে!  কারণ জানলে চমকে ‌যাবেন

তবে বর্তমানে তাদের এই জীবিকাই লাভ তেমন নেই বললেই চলে। তবে সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপুজো। এতদিন এই গ্রামের মধ্যে কোন হ্যান্ডলুম সেন্টার ছিল না বলে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হয়েছেন তাঁত শিল্পীরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁতিদের জন্য হ্যান্ডলুম সেন্টার তৈরি করেছেন। আর এই সেন্টারে একসঙ্গে একাধিক মানুষজন তাঁত বুনতে পারবেন। বে পুজোর আগে কার্যত এই ঘটনায় খুশির হাওয়া তাঁত শিল্পীদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সৌভিক রায়