ডায়েটের ঝামেলা ছাড়াই মেদ ঝরবে তরতরিয়ে, এই সহজ টিপস মানলেই কেল্লাফতে!

Weight Loss: পুজোর আগে ডায়েটের ঝামেলা ছাড়াই মেদ ঝরবে তরতরিয়ে, এই সহজ টিপস মানলেই কেল্লাফতে

আজকাল, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে জাঙ্ক ফুডের দিকে তাদের ঝোঁক বাড়ছে। সিএমএইচও ডা. অশ্বিনী বৈষ্ণব আমাদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাকালে বলেন যে, জাঙ্ক ফুড খেলে পেট ভরে যায় কিন্তু শরীর পুষ্টি পায় না। ফলে শরীর মোটা হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে অনেক রোগ গ্রাস করতে থাকে। সামনেই পুজো। পছন্দের পুজোর আগেই মেদ ঝরিয়ে ফেলার সহজ পরামর্শ জেনে নিন।

মেডিকেল অফিসার ডা. অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন যে, স্থূলতা সকল রোগের মূল কারণ। আমাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিয়ে এবং পুষ্টিকর খাবার খেয়ে স্থূলতা কাটিয়ে উঠতে হবে। স্থূলতা এবং রোগ থেকে দূরে থাকতে ভাজা খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। এটি শরীরের ক্ষতি করে। খাবার রান্না করার সময় ন্যূনতম তেল ব্যবহার করা উচিত।

আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

ওটমিল এবং তাজা ফল

আলু, রুটি, পিজা, বার্গার, পাস্তা এইগুলি অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এগুলোর পরিবর্তে পরিজ এবং বেশি করে তাজা ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। এছাড়াও ডা. অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে, যা হোক কিছু খেয়ে পেট ভরানো একেবারেই ঠিক নয়।

যখনই ক্ষুধা লাগবে তখনই পুষ্টিকর স্ন্যাকস খেয়ে পেট ভরানো উচিত। উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার ওজন বাড়ায়, কিন্তু পুষ্টিকর উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত।

টিনজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে

টিনজাত খাবারের গায়ে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান লেখা থাকে। এগুলি মনোযোগ সহকারে পড়ার পরে তবেই কেনা উচিত। আমাদের লেবেলে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখগুলিও সাবধানে পরীক্ষা করা উচিত।

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

এছাড়াও টিনজাত রস, ক্যান্ডি, সোডা ইত্যাদিতে উচ্চ ক্যালোরি থাকে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। তাজা রস পান করা বা লস্যি খাওয়া ভাল। দিনে চার থেকে পাঁচবার অল্প পরিমাণে কিছু না কিছু খেতে হবে। এতে শরীর পর্যাপ্ত শক্তি পেতে থাকবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও স্থিতিশীল থাকবে।