রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: ইতিহাসের খনি মেদিনীপুর। এই মেদিনীপুরের মাটিতে যেমন ভারতের স্বাধীনতা বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, তেমনইমেদিনীপুরে আনাচে-কানাচে রয়েছে নানা ইতিহাস। নানা পুরাতত্ত্ব ,ভাস্কর্য এবং পর্যটন মানচিত্রে নিত্যনতুন জায়গা রয়েছে মেদিনীপুরের মাটিতে। আপনি কি জানেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম পুষ্করিণী? যা আগে হয়তো আপনি কখনওই দেখেননি। তবে মানুষের তৈরি এই পুষ্করিণীর পিছনে রয়েছে অগাধ কিংবদন্তি, নানা ইতিহাস। তবে পর্যটন মানচিত্রে অবশ্যই নতুন দিশা বৃহত্তম এই পুষ্করিণী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকা দাঁতনের শরশঙ্কা এলাকায় রয়েছে এই বৃহত্তম পুষ্করিণী। যা শুধু জেলার মান, সুখ্যাতি বাড়িয়েছে তা নয় সারা বাংলার এক অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। এ পুষ্করিণীর অবস্থান এবং ইতিহাস নিয়ে নানা মত থাকলেও এত বিশাল দিঘি বা পুকুর আগে হয়তো আপনি কোথাও দেখেননি। এক প্রান্তে দাঁড়ালে অন্য প্রান্তে চোখ যাওয়া মুশকিল।ইতিহাস গবেষকদের থেকে নানা মত পাওয়া গেলেও জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম এই দিঘি বা পুষ্করিণী। বেশ কিছু ইতিহাস গবেষক মনে করেন, গৌড়রাজ শশাঙ্কের সময়ে খোঁড়া হয়েছিল এই পুষ্করিণী।
কেউ কেউ আবার ওড়িশার এক রাজার সঙ্গে মিল খুঁজেছেন। তবে আয়তাকার এই সুবিশাল দিঘির খোঁজ হয়তো অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। বিস্তৃত জায়গা জুড়ে এই বিশাল দিঘি। তবে বর্তমানে এই দিঘিকে কেন্দ্র করে পর্যটনের নতুন ডেস্টিনেশনের খোঁজ করছেন স্থানীয় মানুষ, তদ্বির করছে বিধায়ক থেকে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তবে বর্তমানে কচুরিপানা এবং আগাছায় ঢেকে গিয়েছে এই বিশাল পুষ্করিণী।
আরও পড়ুন : দোরগোড়ায় জীবন্ত উট! এই মণ্ডপ আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সিন্ধু সভ্যতার হরপ্পা মহেঞ্জোদাড়োয়
জানা যায়, এই পুষ্করিণীর চারপাশে রয়েছে একাধিক ছোট-বড় পুকুর। শরশঙ্কা দিঘিকে কেন্দ্র করে যদি পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠে তবে আগামীতে এই গ্রামীণ এলাকার আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি হবে। তবে সারা বাংলার মধ্যে এত বড় দিঘি আপনার জানা আছে কি?