তার সংগ্রহে থাকা কয়েন

Septuagenarian Numismatist: এই ‘নেশা’য় মজে মন, সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধের শখ শৌখিনতা জানলে অবাক হবেন

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতিটা মানুষের শখ ভিন্ন ধরনের। শখের কাছে বয়স নিমিত্ত মাত্র। ছোট থেকেই তিনি সংগ্রহ করেছেন একাধিক মুদ্রা। বয়স এক এক করে প্রায় ৭০ পেরিয়েছে। তবে মনেপ্রাণে তিনি যেন যুবক। ছোট থেকে শখ থাকায় তার সংগ্রহে রয়েছে একাধিক পুরানো দিনের কয়েন। রয়েছে বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত ৫ টাকা, ১০ টাকার কয়েনও। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক এক গ্রামে এই ব্যক্তির ইচ্ছে শুনলে অবাক হবেন।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার জেনকাপুরের বাসিন্দা সুশীল কুমার কর মহাপাত্র, ওরফে মন্টু বাবু। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশাগত জীবন থেকে অবসর নিলেও এখনও বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষের। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি তার শখ আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। প্রান্তিক এলাকায় থেকেও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন কয়েন সংগ্রহে রেখেছেন তিনি। যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি ইতিহাস।

আরও পড়ুন : যতই গরম পড়ুক কোনও মতেই তরমুজ দাঁতে কাটবেন না এঁরা! জানুন কারা তরমুজ খেলেই বড় বিপদ! চরম সর্বনাশ

সুশীলবাবুর কাছে রয়েছে, শতাধিক বছরের পুরনো ব্যবহৃত তামার মুদ্রা, রয়েছে পাই, সিকি, এক পয়সা, দু পয়সা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা কুড়ি পয়সার কয়েন। ছোট থেকে তাঁর এই কয়েন সংগ্রহের নেশা। ছোটবেলায় বাড়িতে থাকা কয়েন কিংবা বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত কয়েন তিনি তার সংগ্রহে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, করোনার সময় ঘরবন্দি অবস্থায় বাড়ে সংগ্রহের নেশাও। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশেষ দিনে এবং মনীষীদের ছবি দিয়ে প্রকাশিত পাঁচ টাকার কয়েন তিনি সংগ্রহ করেছেন। বিশেষ দিনে বা বিশেষ ব্যক্তিকে স্মরণ করে প্রকাশিত প্রায় পঞ্চাশ ধরনের ৫ টাকার কয়েন রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।

বয়স তাঁর ৭০ পেরিয়েছে। বয়সের ছাপ চোখেমুখে পড়লেও মনে প্রাণে যেন তিনি যুবক। এখনও চালিয়ে রেখেছেন চিকিৎসা। বর্তমানে তিনি রামকৃষ্ণ, মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে চর্চা করেন। তবে শখ ও কৌতূহলবশত তিনি সংগ্রহ করেন বিভিন্ন পুরানো মুদ্রাও। তাঁর সংগ্রহে থাকা বেশ কয়েকশো ভারতীয় মুদ্রা যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি ইতিহাস। বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে, ছাত্র-ছাত্রীদের দেখিয়ে ধারণা দেন। প্রান্তিক এলাকায় এই ব্যক্তির শখকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে।