জেলা পুলিশের উদ্যোগে অবৈতনিক পাঠশালা

West Medinipur News: জেলা পুলিশের “সোপান” ভবিষ্যৎ গড়ে দিয়েছে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর

পশ্চিম মেদিনীপুর : প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় পড়াশোনোর দিশা দেখিয়েছে “সোপান”, সৌজন্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। গ্রামীণ এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষার দিকে এগিয়ে দিতে এবং এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের উদ্দ্যেশে জেলা পুলিশের মহতী উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাতে হয়। যে বীজ বপন হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে তা ক্রমে মহীরুহে পরিণত হয়েছে। পুলিশের উদ্যোগে কয়েকবছর আগে শুরু হয়েছিল অবৈতনিক পাঠশালা। যার বর্তমান ছাত্র সংখ্যা প্রায় তিনশ’রও বেশি। শুধু শিক্ষা দান নয়, গঠনমূলক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা যেমন অঙ্কনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখানে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। শুধু প্রশাসন পরিচালনা করাই নয়, কিংবা অসামাজিকতার বিরুদ্ধে নিজেদের কর্তব্য পালন নয়, জেলা পুলিশের উদ্যোগে শিক্ষা বিস্তারে লক্ষ্যে শুরু হয় অবৈতনিক পাঠশালা।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত মাওয়া গ্রামে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ” সোপান কোচিং সেন্টার” নামে একটি পাঠশালা চালু হয়েছে। গত সাত বছর ধরে এই পাঠশালায় এলাকার পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছে। প্রসঙ্গত, এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে। তাদের সন্তানদের জন্য ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু পুলিশের এই উদ্যোগে তাদের বাড়ির ছেলেমেয়েরা এখন স্বপ্ন দেখতে পারছে, ভবিষ্যৎ গড়তে পারছে।

আরও পড়ুন : আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার হাতেখড়ি ভারতেই? যা জানাল এই আইআইটি

জেলা পুলিশের মানবিক উদ্যোগ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর লোকাল এলাকার প্রত্যন্ত এই গ্রামে পাঠশালাটি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। গত ২০১৮ সালে ” সোপান কোচিং সেন্টার” টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, খড়গপুর ওয়াই কে রঘুবংশী, খড়গপুর লোকাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন ব্যানার্জি ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সূচনা হয় সোপানের। এবং পরবর্তী পুলিশ আধিকারিক আসিফ সানি সহযোগিতায় এখনও প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আধিকারিকদের বদল কোনও ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। বর্তমানে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এই কোচিং সেন্টারে তদারকিও করেছেন।

আরও পড়ুন : রাজবাড়ি, নাট্যশালা, মন্দির…সুবর্ণরেখার দু’পাশে ইতিহাসের খনি বাঁচিয়ে রাখার জন্য পদক্ষেপ

প্রতিষ্ঠানে ছয় জন সিভিক ভলেন্টিয়ার, চার জন শুভানুধ্যায়ী শিক্ষক সহ মোট ১১ জন শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করেন। শুধু তাই নয় জেলা পুলিশের উদ্যোগে তাদের বিনামূল্যে বই, খাতাও প্রদান করা হয়।প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল ও বিকেলে এলাকার প্রায় ৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী এখানে পড়াশোনা করে। জেলা পুলিশের মানবিক উদ্যোগে মাওয়া এলাকায়, পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে এই উদ্যোগ শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

এছাড়াও পুলিশের সামাজিক দায়িত্ববোধেরও জ্বলন্ত উদাহরণ এই পাঠশালা।

রঞ্জন চন্দ