কাঠের ভাস্কর্য তৈরি করছেন শিল্পী

West Midnapore News: মনীষী থেকে বিমূর্ত ভাস্কর্য! কাঠ, পাথর বা ফাইবার দিয়েই হাতের কাজ, শিল্পীর নামডাক বিদেশেও

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত। বাড়িতে আঁকাঝোঁকার পরিবেশ। বাবা মায়ের থেকে পরম্পরায় নিজেও ছবি আঁকা শুরু সেই ছোট বয়স থেকে। এরপর একে একে নিজের দক্ষতা এবং চর্চায় নিজেকে গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক শিল্পী হিসেবে। তাঁর হাতে ফুটে ওঠে বিভিন্ন ধরনের নিত্য নতুন ভাস্কর্য। হাতের ছোঁয়ায় ছেনি-হাতুড়ির সাহায্যে কখনও কাঠ, কখনও আবার পাথর কেটে বানিয়ে ফেলতে পারেন একাধিক মনীষী কিংবা বিভিন্ন বিমূর্ত ভাস্কর্য। বিদেশে বেশ কয়েক বছর কাটালেও তিনি দেশে ফিরে এসে বাড়িতেই তৈরি করেছেন আর্ট স্টুডিও। সেখানে বেশ কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে একাধিক কর্মী প্রতিদিন তৈরি করছেন বিভিন্ন শিল্পকলা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা থেকে উঠে এসে আজ তিনি দেশ ও দশের কাছে সুনাম অর্জন করেছেন। বিদেশি আর্ট স্টুডিওতে যেমন কাজ করেছেন, তেমনইবিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চিত্রকলা ও ভাস্কর্য প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এখনও তার হাতে তৈরি নানান ভাস্কর্য পাড়ি দেয় বিদেশে। দেশের একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি নানান প্রজেক্টেও কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড! নিউটাউনের বহুতলে আটকে ২২, গুরুতর অসুস্থ কয়েকজন

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বালিচকে তিনি তৈরি করেছেন এই আর্ট স্টুডিওটি। যেখানে ঢুকলে আপনি মোহিত হবেন। কোথাও বিবেকানন্দ, কোথাও এক মায়ের প্রতিকৃতি কোথাও আবার বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন কাঠে। শুধু তাই নয় পাথর কেটে তিনি সৃষ্টি করেছেন একের পর এক ভাস্কর্য। ডেবরার বালিচক এর বাসিন্দা দেবাশিস বেরা। ছোট থেকেই শিল্পচর্চা পরিবারে।

বেশ কয়েক বছর তিনি কাজ করেছেন অস্ট্রিয়াতে। এরপর তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে বালিচকে তৈরি করেছেন স্টুডিও। সেখানেই তাঁর জুনিয়র শিল্পী এবং বেশ কয়েকজন কর্মী কাজ করেন। বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য দেশ-বিদেশে পাড়ি দেয়। স্বাভাবিকভাবে এই শিল্পীর হাতের নিপুণতা এবং শিল্প ভাবনা সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।

রঞ্জন চন্দ