কোচবিহার: গোপাল ভাঁড় চরিত্রটি ঐতিহাসিক। গবেষক ও ভাষাবিদদের কাছে বিতর্কের বিষয়ও বটে। তাঁর গল্পগুলি এই বাংলায় চূড়ান্ত জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত। অনেকেই মনে করেন গোপাল ভাঁড় নামে কেউ নির্দিষ্ট করে ছিলেন না। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাংলা সাহিত্যে গোপাল ভাঁড়ের নাম সর্বপ্রথম উচ্চারিত হয়।
কথিত আছে, মধ্যযুগের আজকের নদিয়া অঞ্চলে গোপাল ভাঁড় ছিলেন একজন প্রখ্যাত রম্য গল্পকার ও মনোরঞ্জনকারী। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে কৃষ্ণনগরের প্রখ্যাত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন সৎ ও বুদ্ধিমান। বুদ্ধি ও সৎ সাহস থাকার কারণে রাজা তাঁকে সভাসদদের মধ্যকার নবরত্নদের একজন হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। মাইক্রো শিল্পী সোমা মুখার্জি সেই গোপাল ভাঁড়ের একটি দুর্দান্ত ছবি এঁকেছেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপুরে বোনা কাপড়েই তৈরি হচ্ছে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম, ফিরছে সংসারের হাল
এই বিষয়ে শিল্পী জানান, গত ৫ মে বিশ্ব হাসি দিবস ছিল। মূলত এই কারণেই তাঁর মাথায় এসেছিল এই বিশেষ চরিত্রটির মূর্তি তৈরির কথা। আসলে ছোট বয়স থেকেই সকলে গোপাল ভাঁড়ের হাস্য রসের গল্প শুনে কিংবা পড়ে বড় হয়েছে। তাই এই চরিত্রটি নতুন করে আবার হাসতে শেখাতে পারে। কারণ, হাসির কোনও বিকল্প নেই। হাসতে পারলে শরীর ও মন দুই ভাল থাকে। বর্তমানে সমাজে মানুষ হাসতে ভুলে যাচ্ছে। এতে মানসিক অবসাদ ও শারীরিক রোগ ব্যাধিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
তাই বিশ্ব হাস্য দিবসের দিন গোপাল ভাঁড়ের মূর্তি তৈরি করেন কোচবিহারের সোমা মুখার্জি। এই মূর্তির উচ্চতা তিন সেন্টিমিটার। মডেলিং ক্লে, আঠা, কাপড়, সুতো, ইলেকট্রিক তার দিয়ে গোটা মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বানিয়েছেন। মূর্তিটি তৈরি করতে তাঁর সময় লেগেছে এক মাসের মত।
সার্থক পণ্ডিত