Tag Archives: artist

World Laughter Day: বিশ্ব হাসি দিবসে শিল্পীর অবাক করা সৃষ্টি! হাতে ওটা কী জানেন?

কোচবিহার: গোপাল ভাঁড় চরিত্রটি ঐতিহাসিক। গবেষক ও ভাষাবিদদের কাছে বিতর্কের বিষয়‌ও বটে। তাঁর গল্পগুলি এই বাংলায় চূড়ান্ত জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত। অনেকেই মনে করেন গোপাল ভাঁড় নামে কেউ নির্দিষ্ট করে ছিলেন না। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাংলা সাহিত্যে গোপাল ভাঁড়ের নাম সর্বপ্রথম উচ্চারিত হয়।

কথিত আছে, মধ্যযুগের আজকের নদিয়া অঞ্চলে গোপাল ভাঁড় ছিলেন একজন প্রখ্যাত রম্য গল্পকার ও মনোরঞ্জনকারী। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে কৃষ্ণনগরের প্রখ্যাত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন সৎ ও বুদ্ধিমান। বুদ্ধি ও সৎ সাহস থাকার কারণে রাজা তাঁকে সভাসদদের মধ্যকার নবরত্নদের একজন হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। মাইক্রো শিল্পী সোমা মুখার্জি সেই গোপাল ভাঁড়ের একটি দুর্দান্ত ছবি এঁকেছেন।

আর‌ও পড়ুন: শান্তিপুরে বোনা কাপড়েই তৈরি হচ্ছে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম, ফিরছে সংসারের হাল

এই বিষয়ে শিল্পী জানান, গত ৫ মে বিশ্ব হাসি দিবস ছিল। মূলত এই কারণেই তাঁর মাথায় এসেছিল এই বিশেষ চরিত্রটির মূর্তি তৈরির কথা। আসলে ছোট বয়স থেকেই সকলে গোপাল ভাঁড়ের হাস্য রসের গল্প শুনে কিংবা পড়ে বড় হয়েছে। তাই এই চরিত্রটি নতুন করে আবার হাসতে শেখাতে পারে। কারণ, হাসির কোন‌ও বিকল্প নেই। হাসতে পারলে শরীর ও মন দুই ভাল থাকে। বর্তমানে সমাজে মানুষ হাসতে ভুলে যাচ্ছে। এতে মানসিক অবসাদ ও শারীরিক রোগ ব্যাধিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তাই বিশ্ব হাস্য দিবসের দিন গোপাল ভাঁড়ের মূর্তি তৈরি করেন কোচবিহারের সোমা মুখার্জি। এই মূর্তির উচ্চতা তিন সেন্টিমিটার। মডেলিং ক্লে, আঠা, কাপড়, সুতো, ইলেকট্রিক তার দিয়ে গোটা মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বানিয়েছেন। মূর্তিটি তৈরি করতে তাঁর সময় লেগেছে এক মাসের মত।

সার্থক পণ্ডিত

Lok Sabha Election 2024: গ্রামে বেশি বেশি করে হোম স্টে চাইছেন পটশিল্পীরা! ভোটের আগে এ কী কাণ্ড

পশ্চিম মেদিনীপুর: এই জেলা বহু শিল্পের আঁতুর ঘর। পিংলা থানার নয়াগ্রামে এলে মন জুড়াবে আপনার। কাপড়, ক্যানভাসের উপর আঁকা বিভিন্ন সচেতনতামূলক ধর্মীয় ছবি এক একটি অ্যাসেট। পট শিল্পীদের হাতে তৈরি একাধিক পট বেশ আনন্দ দেবে। এদিকে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একাধিক দাবি রয়েছে পট শিল্পীদের। শিল্পীদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে উন্নতি এবং এলাকার সামাজিক উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলায় রয়েছে প্রায় ১৩০ এরও অধিক পট শিল্পী পরিবারের বসবাস। প্রতিদিন তাঁরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক কিংবা কৃত্রিম রং দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন নানান ছবি। সাদা ক্যানভাস জুড়ে কখনও ধর্মীয় আবার কখনও সচেতনতামূলক নানান ছবি তৈরি করেন তারা। শুধু তাই নয়, ছবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গানও বাঁধেন। পট চিত্র এঁকে চলে সারাদিনের রুটি রুজি। তবে সামনে লোকসভা নির্বাচন। ভোট উৎসবে অংশ নেবে পট শিল্পীরা। তবে নির্বাচনের আগে একাধিক দাবি জোরাল হচ্ছে শিল্পীদের।

আর‌ও পড়ুন: শিকড়ের টান! ঘরের মেয়ের হাত ধরে ওড়িশার পটচিত্র বাংলার মাটিতে

প্রসঙ্গত প্রতিদিন জেলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু পর্যটক আসেন এই গ্রামে। শুধু তাই নয়, গোটা গ্রাম ঘুরে দেখে কেনেন নানান পট। এই বিক্রি বাটা থেকেই আয় হয় এখানকার শিল্পীরা। এই ব্যবসার প্রসার আরও বাড়াতে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, গ্রামে বাড়াতে হবে হোম স্টের সংখ্যা। যাতে দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে রাত্রিযাপন করতে পারেন। এছাড়াও শিল্পীদের ছবি বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজার বা হাট করে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

এছাড়াও এলাকার পানীয় জল নিকাশির ব্যবস্থা এবং সামাজিক উন্নতির দাবি জানিয়েছেন পট শিল্পীরা। প্রসঙ্গত এবারে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনে টলিউডের সুপার ফাইট দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিদায় সাংসদ প্রার্থী দেব’কে। অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী খড়গপুরের বিধায়ক তথা আরেক টলিউড তারকা হিরণ। স্বাভাবিকভাবে লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে। তবে নির্বাচনে জয়লাভের পর কতটা সমস্যার সমাধান হয় শিল্পীদের সেটাই এখন দেখার।

রঞ্জন চন্দ

Bangla Video: শিকড়ের টান! ঘরের মেয়ের হাত ধরে ওড়িশার পটচিত্র বাংলার মাটিতে

নদিয়া: একেই বলে শিকড়ের টান। ওড়িশার বিখ্যাত একক পটচিত্র প্রদর্শনী জন্মভূমি বাংলার বুকে নিয়ে এলেন গৃহবধূ শুভশ্রী চ্যাটার্জী। পটচিত্র একটি প্রাচীন শিল্পকলা যা বাংলা ও ওড়িশা দুই রাজ্যেই বহুল প্রচলিত। পূর্বে এর কাজ অনেক বেশি প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে চল কমে আসছে। বাংলায় আজকাল পটচিত্র বলতে বেশ কিছু মেলার স্টলগুলিতে দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বেশ কিছু প্রাচীন ঘরাণার দুর্গা প্রতিমার চালচিত্রে পটচিত্রের কাজ আজও দৃশ্যমান।

যদিও বাংলা থেকে ওড়িশার পটচিত্রের বেশ কিছু ফারাক আছে। তিন শূন্য নম্বরের তুলি দিয়ে এই পটচিত্র আঁকা হয়। কাজগুলি হয় অতি সূক্ষ্ম। বেশিরভাগ পটচিত্র হয় জগন্নাথ দেব, মহাপ্রভুর উপরে করা হলেও গণেশ, সরস্বতী, কালী ইত্যাদি দেব দেবতার‌ও দেখা মেলে। নদিয়ার শান্তিপুরের মেয়ে শুভশ্রী চ্যাটার্জির ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ নেন। এরপর বিবাহ সূত্রে চলে যান ভুবনেশ্বরে। সেখানে গিয়েই তিনি প্রথম ওড়িশার পটচিত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর ওখানেই তিনি পট চিত্রের প্রশিক্ষণ নেন। এরপর বেশ কিছু পটচিত্র তিনি তৈরি করার পরে অনেকেই তাঁকে পরামর্শ দেন শান্তিপুর এসে একটি প্রদর্শনী করার।

আর‌ও পড়ুন: তাপপ্রবাহের রক্তচক্ষুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারী হচ্ছে অফিসের ব্যাগ

এর পরেই এমন এক সুন্দর শিল্পকলা শান্তিপুরবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য শান্তিপুর কলা তীর্থে ২৭ ও ২৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একক পটচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। যদিও সাধারণ দু একটি রং কে ব্যবহার করেই বেশ কিছু রঙ তৈরি করে এই পটচিত্র তৈরি করা হলেও অ্যাক্রেলিক রং-এর উপর ভিত্তি করে এই পটচিত্র গুলি এঁকেছেন বলেই জানান শিল্পী শুভশ্রী চ্যাটার্জী। এর আগে ২৫ তারিখে ওড়িশাতেও তিনি একটি প্রদর্শনী করেন। তবে শান্তিপুর তাঁর নিজের শহর বলে পরপর দুইদিন তিনি শান্তিপুরে তাঁর শিল্পকলা তুলে ধরেন।

মৈনাক দেবনাথ

Exceptional Artist: শিল্পীর এ কেমন নেশা! জানলে অবাক হবেন

হাওড়া: প্রায় এক ফুট লম্বা ফড়িং, ৮-১০ ইঞ্চির মাকড়সা, ইয়া বড় মৌমাছি, প্রজাপতি, মাছি আরও কত কী। এই শিল্পীর সৃষ্টি দেখলেই চোখ উঠবে কপালে। খুব সাধারণ ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে এই সমস্ত চমকে দেওয়া জিনিস তৈরি করেন শিল্পী গোবিন্দবাবু। তাঁর হাতের কাজ সকলকেই চমকে দেয়। এইভাবে সৃষ্টি যেন তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এভাবেই কখনও ফুল, প্রজাপতি, ফুলদানি কীটপতঙ্গ, জীব-জন্তু, পাখি আরও কত শত ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করছেন গোবিন্দবাবু। এই কীটপতঙ্গ তৈরি করেন গাছের শুকনো পাতা, ফল ও বাতিল জিনিস দিয়ে। এই সমস্ত জিনিস ৮ থেকে ৮০ বয়সের মানুষ সকলকে বেশ আকর্ষণ করে। এভাবে সকলকে আনন্দ দেওয়াই গোবিন্দবাবুর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: দার্জিলিঙের প্রবেশদ্বার রোহিনী কেমন আছে? মিলল ‘হাওয়া বদলের’ ইঙ্গিত

শিল্পের উপকরণ সংগ্রহের জন্য মাঝে মধ্যেই গোবিন্দবাবুকে দেখা যায় গাছ তলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করতে। এই সমস্ত পড়ে থাকা জিনিস সংগ্রহ করতে দেখলেই মানুষের আগ্রহ বা কৌতুহল বেড়ে যায়। যারা জানেন তাঁরা বুঝতে পারেন আবার নতুন কিছু একটা সৃষ্টি হবে। শিল্পী নিজে জানিয়েছেন, এই সৃষ্টির নেশাতেই তিনি বাতিল ফেলে দেওয়া মামুলি জিনিসপত্র দিয়ে এইভাবে একের পর এক জিনিস তৈরি করে চলেছেন। এটা তাঁর কাছে নেশার মত হয়ে গিয়েছে।

রাকেশ মাইতি

Lok Sabha Election 2024: দিন চলে যায়, ১০০ বছরের পুরনো শিল্পের শিল্পীদের কথা ভাবে না কেউ

পূর্ব বর্ধমান: শিল্পীদের কী কোনও মর্যাদা নেই ?\ আক্ষেপের সঙ্গে এমনই প্রশ্ন করলেন তাঁরা। প্রায় ১০০ বছরের পুরানো শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এই গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু শিল্প ১০০ বছরের পুরানো হলেও আজও সেই অর্থে মেলেনি প্রশাসনিক সহায়তা, এমনটাই অভিযোগ। কাটোয়া-১ ব্লকের পণ্ডিত পাড়ায় রয়েছেন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শিল্পী, যারা দীর্ঘদিন ধরে কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।

এই গ্রামের পণ্ডিত পাড়ার পুরুষ এবং মহিলা সকলেই কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মূলত পণ্ডিত পাড়ার স্থানীয়রা বাঁশ এবং কঞ্চির সাহায্যে তৈরি করেন বড় মাপের ঝুড়ি, ছোট্ট ঝাঁঝুড়ি, কুলো প্রভৃতি জিনিসপত্র। এছাড়াও তাঁরা তালপাতার আসন, ছাতা প্রভৃতি জিনিসও প্রস্তুত করে থাকেন। তবে প্রায় ১০০ বছর এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আজ অব্দি কোনও প্রশাসনিক সুযোগ সুবিধা মেলেনি।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই বাইসনের আতঙ্ক, গুঁতোয় জখম একের পর এক গ্রামবাসী

সামনেই লোকসভা ভোট , সকলের মত এই শিল্পীরাও ভোট দেবেন। তবে ভোটের আগে কী চাইছেন তাঁরা? এই প্রসঙ্গে ওই কুটির শিল্পীরা জানান, যখন ভোট আসে অনেকে বলেন তোমাদের সাহায্য করব। কিন্তু কী সাহায্য করবেন শুধুমাত্র তাঁরাই জানেন। আজ পর্যন্ত কোনও সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়নি। এই তীব্র গরমেও তাঁদের জিনিস বিক্রি করতে বাইরে বেরোতে হয়। বিক্রি না হলে সংসার চালানো সম্ভব হয় না। বর্ষাকাল এলেই চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এর জন্য শিল্পীরা ওয়ার্কিং শেডের আবেদনও জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। কিন্তু তার কোন‌ও সুরাহা হয়নি।

এই প্রসঙ্গে কাটোয়া-১ ব্লকের বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক জানান , খুব দ্রুত এই শিল্পীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lok Sabha Election 2024: ফ্লেক্স, ব্যানার ফেলে দেওয়াল জুড়ে ভোট সচেতনতা! শিল্পীর তুলিতে বদলে গেছে বালুরঘাট

নদী বাঁচলেই বাঁচবে বাস্তুতন্ত্র এমনই চিন্তা ভাবনাকে রং-তুলির মাধ্যমে ভোট প্রচারে ব্রতী হয়েছেন বালুরঘাটের বেশ কিছু চিত্রশিল্পী।সুস্মিতা গোস্বামী
নদী বাঁচলেই বাঁচবে বাস্তুতন্ত্র এমনই চিন্তা ভাবনাকে রং-তুলির মাধ্যমে ভোট প্রচারে ব্রতী হয়েছেন বালুরঘাটের বেশ কিছু চিত্রশিল্পী।সুস্মিতা গোস্বামী
বালুরঘাট হাইস্কুল ও জেলা পুলিশ সুপার অফিসের সামনে একাধিক বার্তা দিয়ে রং ও তুলির স্পর্শে বিভিন্ন ছবি এঁকে দেওয়াল ভরিয়ে তোলেন শিল্পীমহল।সুস্মিতা গোস্বামী
বালুরঘাট হাই স্কুল ও জেলা পুলিশ সুপার অফিসের সামনে একাধিক বার্তা দিয়ে রং ও তুলির স্পর্শে বিভিন্ন ছবি এঁকে দেওয়াল ভরিয়ে তোলেন শিল্পীমহল।সুস্মিতা গোস্বামী
রাস্তায় আঁকা হওয়ায় তা অনেকটাই মাধুর্য্য। অনেক দিন স্থায়ী থাকবে। প্রচুর মানুষ দেখতে পাবেন। শিল্পীদের হাতে আঁকা সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি করে আকর্ষণ করছে।সুস্মিতা গোস্বামী
রাস্তায় আঁকা হওয়ায় তা অনেকটাই মাধুর্য্য। অনেক দিন স্থায়ী থাকবে। প্রচুর মানুষ দেখতে পাবেন। শিল্পীদের হাতে আঁকা সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি করে আকর্ষণ করছে।সুস্মিতা গোস্বামী
বিশাল দেওয়াল জুড়ে শান্তির কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে ঠিক তেমনই বিধ্বংসী যুদ্ধ নয়, শান্তির আবহাওয়া তৈরি হোক বিশ্বজুড়ে। নির্বাচনের পূর্বে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বালুরঘাটের শিল্পীরা।সুস্মিতা গোস্বামী
বিশাল দেওয়াল জুড়ে শান্তির কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে ঠিক তেমনই বিধ্বংসী যুদ্ধ নয়, শান্তির আবহাওয়া তৈরি হোক বিশ্বজুড়ে। নির্বাচনের পূর্বে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বালুরঘাটের শিল্পীরা।সুস্মিতা গোস্বামী
বিস্তীর্ণ রাস্তা জুড়ে ভোটের চিত্রের পাশাপাশি বালুরঘাটের জীবনরেখা আত্রেয়ী নদীর সঙ্গে যুক্ত পাখি সহ একাধিক বিষয়ের ছবিও ফুটিয়ে তুলেছেন চিত্রশিল্পীরা।সুস্মিতা গোস্বামী
বিস্তীর্ণ রাস্তা জুড়ে ভোটের চিত্রের পাশাপাশি বালুরঘাটের জীবনরেখা আত্রেয়ী নদীর সঙ্গে যুক্ত পাখি সহ একাধিক বিষয়ের ছবিও ফুটিয়ে তুলেছেন চিত্রশিল্পীরা।সুস্মিতা গোস্বামী

Ram Navami 2024: ২৬৪০ বর্গফুটের রাম! দেখা যাবে এই বাংলাতেই

বীরভূম: বুধবার রামনবমী। সেই উপলক্ষে এই বছর ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রামনবমীকে তাদের মত করে প্রচারের কাজে ব্যবহার করবে বলাই বাহুল্য। এই এতকিছুর মধ্যেই রামনবমী উপলক্ষে এবার থাকছে এক অন্যরকম চমক। আর সেই চমক দিল বীরভূমের কয়েকজন যুবক-যুবতী।

রামনবমীর আগেই ২৬৪০ বর্গফুটের রামের ছবি এঁকে তাক লাগালেন সিউড়ির এইশিল্পীরা। আগামী দিনে এই ছবি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের স্বীকৃতির জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পীরা। ভগবান রামের এই বিশাল ছবিটি আঁকতে সময় লেগেছে তিন দিন। ছোট ছোট আর্টপেপারে ধাপে ধাপে বাড়ি রং করার কাজের জন্য ব্যবহৃত প্রাইম রং দিয়ে আঁকা হয়েছে পুরো ছবিটি। তারপরে সেই আর্ট পেপারগুলিকে পিভিসি টেপ দিয়ে জোড়া লাগানো হয়। সমস্ত আর্ট পেপার জোড়ার পড়ে তার দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৮০ ফুট এবং প্রস্থ ৩৩ ফুট।

আর‌ও পড়ুন: থেকে ‌যাবে স্মৃতি, নতুন ভোটারা গাছ লাগাল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে

মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে যে ছুটি থাকে সেটিকে কাজে লাগিয়েই এই ক্ষুদে শিল্পীরা এমন তাক লাগানো কাজ করেছেন। ২৬৪০ বর্গফুটের এই রামের ছবি দেখতে এখন সিউড়ির বেনীমাধব স্কুলের মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন শহরবাসীরা।

সৌভিক রায়

Ram Mandir: শিল্পীর অবাক করা কাজ! একদিনে বানিয়ে ফেললেন তিন ইঞ্চি উচ্চতার রাম মন্দির

দিনহাটা: ইতিমধ্যেই চলতি বছরে জাঁকজমকের সঙ্গে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। সেই রাম মন্দিরের একটি ক্ষুদ্রাকৃতি মডেল তৈরি করলেন এক ব্যক্তি। কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমা শহরের বাসিন্দা এই মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পী। পেশাগত ভাবে তিনি বামনহাটের পাথরসন শরণার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তবে পেশাগতভাবে শিক্ষক হলেও, নেশাগতভাবে তিনি একজন শিল্পী। এই রাম মন্দিরের ক্ষুদ্রাকৃতি মডেল তিনি তৈরি করেছেন চক ও কাটার দিয়ে। বর্তমান সময়ে তার এই মডেল দেখে রীতিমতো অবাক সকলে।

আরও পড়ুনঃ ‘নির্বাচনে হিংসা হলে দায়ী কে হবে…?‘ ডিআইজি বদল নিয়ে সরব মমতা!

মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পী বিজন সরকার জানান, “ছোটবেলার বয়স থেকেই তার মাইক্রো আর্টের প্রতি আগ্রহ। স্কুলে পড়ার সময় ক্লাসের ব্যবহৃত চক দিয়ে তিনি এগুলো তৈরি করতে ভালবাসতেন তিনি। বর্তমান সময়ে তিনি পেশাগত ভাবে একজন স্কুল শিক্ষক। তাই সেই চক বর্তমানে হয়ে উঠেছে তাঁর ক্যানভাস। সেখানেই তিনি তাঁর কারুকার্য করতে পছন্দ করেন। এবার তিনি কালারিং চকের মাধ্যমে ৩ ইঞ্চি উচ্চতার অযোধ্যার রাম মন্দিরের হুবহু অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন। নিপুণ হাতে তৈরি মন্দিরের উপরে থাকছে লম্বা চূড়া। পাশেই রয়েছে গেরুয়া পতাকা। মাত্র একদিনের প্রচেষ্টায় এই গোটা কর্মকাণ্ড তিনি করতে পেরেছেন।”

তবে, বর্তমান সময়ে তাঁর এই রাম মন্দিরের ক্ষুদ্র রেপ্লিকার কথা সকলের মুখে মুখে। বহু মানুষ তারই ক্ষুদ্র রেপ্লিকা দেখতে আসছেন তাঁর বাড়িতে। এছাড়া তাঁর পরিবারের মানুষেরাও এই রাম মন্দির দেখে রীতিমতো অবাক।আগামী দিনে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মডেল তৈরি করার।

Sarthak Pandit

Basanti Puja: শিক্ষক-স্বাস্থ্যকর্মীর যুগলবন্দি, বাসন্তী প্রতিমা গড়া থেকে পুজো সবই করবেন দুই বন্ধুতে

জলপাইগুড়ি: দুর্গা পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত এই দুই যুবক। নিজের হাতে প্রতিমা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা। এমনকি পুজোও করবেন নিজেরাই। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এই অসময়ে দুর্গাপুজো? বসন্ত ঋতুতে মাতৃকাদেবীর আরাধনা হয় দেবী বাসন্তী রূপে ৷ বসন্তকালে এই পুজো করা হয় বলে একে বাসন্তী পুজো বলা হয়৷ আদিতে এটাই নাকি ছিল দুর্গোৎসব৷ পরবর্তীতে শরৎকালে দেবী দুর্গার অকালবোধন হওয়ার পর থেকে বর্তমানের সময়ে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে।

আর‌ও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে শুরু সারাইয়ের কাজ, বেহাল রাস্তা দেখাতে না পারার আক্ষেপ জয়গাঁবাসীর

সাধারণত চৈত্রমাসে বাসন্তীপুজো করা হয়৷ তবে, এবছর বাসন্তীপুজো পালিত হবে বৈশাখ মাসে৷ ছোট থেকেই পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে দেব দেবীর ভক্ত জলপাইগুড়ি সানু পাড়ার বাসিন্দা আবির বোস। গত চার বছর ধরে বন্ধু রূপমের সহায়তায় নিজেরাই বানাচ্ছেন বাসন্তী প্রতিমা। সমস্ত নিয়মকানুন মেনে পুজো হয় ধুমধাম করে। কোনও পুরোহিত নয়, পুজো করেন নিজেরাই। পেশায় একজন স্বাস্থ্য কর্মী, অন্যজন শিক্ষক।

এই দুই বন্ধুই মাটির সরঞ্জাম বানাতে বেশ আগ্রহী। কোনওরকম প্রথাগত প্রশিক্ষণ ছাড়াই কুমারটুলির আদলে এতোদিন বাসন্তী প্রতিমা বানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এই কাজ আরও নিখুঁত করতে সম্প্রতি রুপম যোগদান করেছে কোমলটুলির প্রশিক্ষণে। সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক সহ বাসন্তী ঠাকুর দেখতে আবিরদের বাড়ি ভিড় করে সাধারণ মানুষ। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বাসন্তী পুজা। তার আগে এই দুই যুবকের বানানো প্রতিমার সৌন্দর্যের মুগ্ধ সকলে।

সুরজিৎ দে

Stone Art: পাথর শিল্পীর অনন্য সৃষ্টি ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ’

বাঁকুড়ার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত পাথর শিল্পী সনাতন কর্মকারের বিখ্যাত সৃষ্টি ভারতের নিরক্ষরতা দূরীকরণের রূপ।
বাঁকুড়া রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত পাথর শিল্পী সনাতন কর্মকারের বিখ্যাত সৃষ্টি ভারতের নিরক্ষতা দূরীকরণের রূপ।
পাথরের উপরে খোদাই করে ভারতের ম্যাপ এঁকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আঞ্চলিক মৌলিকতা। মূল মন্ত্র নিরক্ষরতা দূরীকরণ
পাথরের উপরে খোদাই করে ভারতের ম্যাপ এঁকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আঞ্চলিক মৌলিকতা। মূল মন্ত্র নিরক্ষরতা দূরীকরণ।
ভারতের সবাই শিক্ষিত হবে একদিন। এমন স্বপ্ন নিয়েই এই বিশেষ সৃষ্টি করেছেন তিনি।
ভারতের সবাই শিক্ষিত হবে একদিন। এমন স্বপ্ন নিয়ে এই বিশেষ সৃষ্টি করেছেন তিনি।
২০০৭ সালে ৮ ইঞ্চির কৃষ্ণ বানিয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান সনাতন কর্মকার।
২০০৭ সালে ৮ ইঞ্চির কৃষ্ণ বানিয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান সনাতন কর্মকার।
এখনও পাথর শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখে কাজ করে চলেছেন এই শিল্পী। তারই অন্যতম সৃষ্টি নিরক্ষরতা দূরীকরণে ভারত।
এখনো পাথর শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখে কাজ করে চলেছেন এই শিল্পী। তারই অন্যতম সৃষ্টি নিরক্ষরতা দূরীকরণে ভারত।
শিল্পী নিজে জানান,
শিল্পী নিজে জানান, “নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করলে শিল্পসত্ত্বা আরও ভালোভাবে ফুটে ওঠে। আমি এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসি।”