সুপারির খোসা ছাড়িয়ে আত্মনির্ভর বসিরহাটের মহিলারা

Self Reliant Women: সুপারির খোসা ছাড়িয়ে নিয়মিত আয় করছেন মহিলারা, ফিরছে সংসারের হাল

উত্তর ২৪ পরগনা: সুপারির খোসা ছাড়িয়ে আত্মনির্ভর হয়ে উঠছেন বসিরহাটের মহিলারা। এলাকার বিভিন্ন গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় সুপারি। সেই সুপারি ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। তারপর সেই সুপারির খোসা ছাড়ানোর কাজ হয় বসিরহাটে। আর সেই কাজ করেন এখানকার গ্রামের সাধারণ বাড়ির মহিলারা।

বসিরহাট, বাদুড়িয়া সহ একাধিক এলাকায় অনেকেই সুপারির ব্যবসাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। সুপারি ছাড়িয়ে বাড়ির মহিলারা দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয়ের মুখ দেখছেন। ফলে মাসের শেষে ৫-৬ হাজার টাকা হাতে আসছে। তাতে গ্রামীণ পরিবারগুলির সংসারের হাল ফিরছে।

আরও পড়ুন: গ্রামের এই প্রাচীন মন্দিরে আজও দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা

আয়ের এই অঙ্ক দেখে বহু পরিবারে ছোট থেকে বড় সকলেই হাত লাগিয়েছেন সুপারি ছাড়ানোর কাজে। স্থানীয়ভাবে এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘সুপারি সিজার’। ব্যবসায় লাভের সম্ভাবনা দেখে অনেকেই আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে এই কাজে নেমেছেন। সুপারির খোসা ছাড়িয়ে সিদ্ধ করে তা রোদে শুকিয়ে ফেলা হয়। পরে তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আড়তদাররা। সেগুলি তারা অন্যান্য জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও সরবরাহ করে।

বাসিরহাটের রাজেন্দ্রপুর সহ বাদুড়িয়ার আড়বালিয়া, বৈকারা, সর্দারপাড়া, উত্তর দিয়াড়া, তিলডাঙা গ্রামে গেলে দেখা মিলবে ঘরে ঘরে সুপারির খোসা ছাড়িয়ে চলেছেন মহিলারা। বহু ক্ষেত্রে হাত লাগিয়েছে ছোটরাও। পুরুষরাই মূলত গ্রামে গ্রামে ঘুরে সুপারি জোগাড় করে আনছেন। ব্যবসায়ীরা সুপারি বাড়িতে আনার পরে তা ছাড়ানোর জন্য গ্রামের মেয়েদের দেওয়া হয়। গুণতিতে ১৪০ থেকে ১৫০ টি ছাড়ানো সুপারিতে এক কেজি হয়। ১ কেজি সুপারি ছাড়ানো হলে ৭-৮ টাকা করে পাওয়া যায়। যা দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বাড়তি আয়ের পথ করে দিয়েছে মহিলাদের।

জুলফিকার মোল্যা