পানাগড়, পশ্চিম বর্ধমান : বিগ বাজেটের পুজোগুলির তুলনায় এখানে সেই অর্থে থাকবে না কিছুই। না থাকবে থিমের বিশাল চমক। থাকবে না চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। কিন্তু বহু বছরের প্রচেষ্টার ফল এই পুজো।
ইচ্ছাটা বহু বছর ধরে এলাকাবাসীর মনের মধ্যে সুপ্ত ছিল। চলছিল প্রয়াস। অবশেষে এগিয়ে এসেছেন এলাকার মহিলারা। তার ফলে প্রথমবার দুর্গা পুজো হতে চলেছে পানাগড়ের সারদাপল্লীতে।
আরও পড়ুন: সন্তান বড্ড জেদি হয়ে উঠছে? কেন জানেন! এর কারণ আপনি নয়তো? কী বলছেন শিশু বিশেষজ্ঞ
বিগত প্রায় চার দশকে সারদাপল্লীতে জনসংখ্যা বেড়েছে অনেকটা। দুর্গাপুজোর সময় এলাকাবাসীকে অন্য মণ্ডপে গিয়ে পুজো দিতে হত। অঞ্জলি দিতে হত। তাতে পুজো দেওয়া হত ঠিকই, কিন্তু মন ভরত না।
আরও পড়ুন: আলু পচে যাচ্ছে? ৪টে কথা মাথায় রাখুন, মাসের পর মাস ভাল থাকবে, রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
তাই অনেকদিন ধরেই সারদাপল্লীতে নিজেদের দুর্গাপুজো করার কথা ভাবছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিল না। তবে চলতি বছরে দুর্গাপুজো করার ব্যাপারে এগিয়ে আসেন মহিলারা। তারপরই প্রথমবারের জন্য সারদাপল্লীতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
পুজোর উদ্যোক্তা মহিলা এবং স্থানীয়রা বলছেন, এই পুজোয় বিশাল চাকচিক্য থাকবে না। বিশাল বড় আকারের মণ্ডপে হচ্ছে না চলতি বছরে। তবে সারদা পল্লীর পুজো ভক্তিভরে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
সকলে যাতে সুষ্ঠুভাবে অঞ্জলি দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা থাকবে। শুধু এলাকাবাসী নন, আশপাশে এলাকার মানুষজনকে এই পুজোয় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, হাতে মাত্র সপ্তাহ দুয়েক থাকলেও খুঁটি পুজোর মাধ্যমে পুজোর সূচনা করেছেন তারা। মাত্র দিন ১৫ আগে আলোচনার মাধ্যমে এই পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সকলে।
চলতি বছরের ছোট আকারে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। সেখানেই দেবী মহামায়ার আরাধনা হবে। যদিও উদ্যোক্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনে এই পুজো ধারে ভারে আরও বড় হবে।
কিন্তু সেখানে চাকচিক্য এলেও যাতে ভক্তিভরে পুজো দেওয়া এবং অঞ্জলি দেওয়ার সুব্যবস্থা বজায় থাকে,সেদিকে নজর রাখবেন উদ্যোক্তারা।
নয়ন ঘোষ