দুই আধিকারিক 

Nursery: সরকারি নার্সারিতে আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে চারাগাছ

পূর্ব বর্ধমান: আর কয়েকটা দিন পরই রাজ্যজুড়ে পালিত হবে অরণ্য সপ্তাহ। তারই আগে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের কেন্দ্রীয় নার্সারি পরিদর্শন করলেন রাজ্য বন দফতরের দুই আধিকারিক। জানা গিয়েছে, আউশগ্রামে এবার ২৫ হেক্টর জমিতে বনসৃজন করা হবে। সেইমত নার্সারিতে তৈরি হচ্ছে প্রচুর গাছের চারা।

পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে কেন্দ্রীয় নার্সারিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে চারাগাছ। জানা গিয়েছে, এখানে প্রায় ৭০ হাজারের বেশি বিভিন্ন গাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে। পুরানো পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে চারাগাছ। হয়ত অনেকেই জানেন, সাধারণত মাটিতে মাদার বেড তৈরি করে বা পলি পেতে নানা ধরনের গাছের চারা তৈরি করা হয়। তবে এই পদ্ধতিতে চারা তৈরি করলে অনেক সময় গাছের চারা মরে যায়। অনেক সময় গাছের শিকড় দূর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তবে এবার সেই পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক প্রযুক্তি ‘হাইকোপট’ পদ্ধতিতে আউশগ্রামে কেন্দ্রীয় নার্সারি তৈরি করা শুরু হয়েছে চারাগাছ। এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে নার্সারিতে চারা গাছ তৈরি করলে গাছের শিকড় মজবুত থাকবে।

আরও পড়ুন: সাহেব বাঁধের জলে পুরুলিয়ার জলসঙ্কট দূর করার চেষ্টা

আবার মাটিতে রোপণ করলে চারা গাছ মরে যা‌ওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে অনেক কম। রাজ্য বন দফতরের দুই আধিকারিক পিসিসিএফ জেনারেল সন্ধিয়াল এবং সিসিএফ বিদ্যুৎ সরকার এই নার্সারি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গে আউশগ্রামের বিট অফিসার হিমাংশু মণ্ডল বলেন, এবার অরণ্য সপ্তাহে যেসব বনসৃজন করা হবে তার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নার্সারিতে সেসব চারা তৈরি করা হচ্ছে৷ এদিন দফতরের আধিকারিকরা সেই কেন্দ্রীয় নার্সারিতে কেমন চারা তৈরি হচ্ছে তা পরিদর্শন করেন।

এই আধুনিক পদ্ধতিতে লোহার বড় মাপের খাঁচা এবং টেবিল তৈরি করা হয়েছে সর্বপ্রথম। তারপর সেই টেবিল এবং খাঁচার উপরে সঠিক জায়গায় ছোট ছোট প্ল্যাস্টিকের পাত্র বা ‘রুট ট্রেনার’ এ বসানো হয়েছে গাছের চারা। আবার চারা গাছের পরিচর্যা বা জল দেওয়ার আধুনিক ব্যাবস্থাও করা আছে।চারা গাছ গুলি বড় করা হচ্ছে কম্পোজ সার ব্যবহারের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে আউশগ্রামের কেন্দ্রীয় নার্সারিতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ রকমের গাছের চারা তৈরি করা হচ্ছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী