লৌকিক এই দেবতা পুজোতে মেতেছে সুন্দরবনের গ্রামবাসী

Sheetala Puja: এই দেবীর পুজোর দিন বাড়িতে উনুন জ্বালতে নেই, গ্রামের সকলে পান্তা খেয়ে থাকেন

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: সুন্দরবনে বিভিন্ন দেব-দেবীর মধ্য বনবিবির পর‌ই স্থান এই দেবীর। সুন্দরবনের মৎস্যজীবী থেকে সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখেন এই দেবীর উপর। প্রাচীন সেই বিশ্বাস থেকে আজও চলে আসছে পুজো। এই লৌকিকদেবী ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় পূজিত হন। পুরান বা বেদ সেভাবে কোথাও উল্লেখ না থাকলেও দেবী শীতলা মা দুর্গার এক অংশ বলে মনে করা হয়।

সুন্দরবন সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ মনে করেন, বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে দেবী শীতলাই মুক্তি দিতে পারেন। তাঁর পুজোর দিন গৃহস্থের বাড়িতে উনুন জ্বলে না। মানুষ পান্তা খেয়ে থাকে। ঐদিন সব কিছু ঠান্ডা খেতে হয়। এক্ষেত্রে ধর্ম আর বিজ্ঞান যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। কারন একদিকে যেমন ধর্মে পুরো বিশ্বাস রেখে এই আয়োজন, তার পাশাপাশি বিজ্ঞানের ভাষাতেও এই তীব্র গরমে পান্তা খেলে শরীর ঠান্ডা হয় বলে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা সকলেই দাবি করে থাকেন।

আর‌ও পড়ুন: মায়ের শোক সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেল মেয়ে! একসঙ্গে হবে ময়নাতদন্ত

সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের নফরগঞ্জ অঞ্চলের বিরিঞ্চিবাড়ি চালধোয়া গ্রামে আয়োজিত হয়েছে দেবী শীতলার পুজো। এই পুজো উপলক্ষে বসেছে মেল। ৬৯ বছর আগে তৎকালীন জমিদার নফর পাল চৌধূরী উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এখানকার শীতলা মায়ের মন্দির। সেই সময় এখানে ডাক্তার বা কবিরাজ ছিল না। সেই সময় থেকে আজও মানুষ বসন্ত রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে দেবী শীতলার পুজো করে আসছে।

সুমন সাহা