Tag Archives: sheetala puja 2024

Sheetala Puja: এই দেবীর পুজোর দিন বাড়িতে উনুন জ্বালতে নেই, গ্রামের সকলে পান্তা খেয়ে থাকেন

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: সুন্দরবনে বিভিন্ন দেব-দেবীর মধ্য বনবিবির পর‌ই স্থান এই দেবীর। সুন্দরবনের মৎস্যজীবী থেকে সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখেন এই দেবীর উপর। প্রাচীন সেই বিশ্বাস থেকে আজও চলে আসছে পুজো। এই লৌকিকদেবী ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় পূজিত হন। পুরান বা বেদ সেভাবে কোথাও উল্লেখ না থাকলেও দেবী শীতলা মা দুর্গার এক অংশ বলে মনে করা হয়।

সুন্দরবন সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ মনে করেন, বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে দেবী শীতলাই মুক্তি দিতে পারেন। তাঁর পুজোর দিন গৃহস্থের বাড়িতে উনুন জ্বলে না। মানুষ পান্তা খেয়ে থাকে। ঐদিন সব কিছু ঠান্ডা খেতে হয়। এক্ষেত্রে ধর্ম আর বিজ্ঞান যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। কারন একদিকে যেমন ধর্মে পুরো বিশ্বাস রেখে এই আয়োজন, তার পাশাপাশি বিজ্ঞানের ভাষাতেও এই তীব্র গরমে পান্তা খেলে শরীর ঠান্ডা হয় বলে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা সকলেই দাবি করে থাকেন।

আর‌ও পড়ুন: মায়ের শোক সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেল মেয়ে! একসঙ্গে হবে ময়নাতদন্ত

সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লকের নফরগঞ্জ অঞ্চলের বিরিঞ্চিবাড়ি চালধোয়া গ্রামে আয়োজিত হয়েছে দেবী শীতলার পুজো। এই পুজো উপলক্ষে বসেছে মেল। ৬৯ বছর আগে তৎকালীন জমিদার নফর পাল চৌধূরী উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এখানকার শীতলা মায়ের মন্দির। সেই সময় এখানে ডাক্তার বা কবিরাজ ছিল না। সেই সময় থেকে আজও মানুষ বসন্ত রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে দেবী শীতলার পুজো করে আসছে।

সুমন সাহা

Sheetala Puja 2024: পান্তা ভাত ও ডালের বড়া মূল প্রসাদ, ৭৩ বছর ধরে পূজিতা হচ্ছেন মা শীতলা

রুদ্র নারায়ণ রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: দীর্ঘ প্রায় ৭৩ বছর আগে মহামারিতে আক্রান্ত হয় সীমান্ত এলাকার দত্ত পাড়ার নাথ পরিবার। বসন্ত রোগ ভয়ংকর আকার ধারণ করায় এলাকা ছেড়েও বহু মানুষ অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি রোগের ভয়ে পরিবারের সদস্যদের জল দেওয়ারও কেউ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ির বৃদ্ধা সদস্য টুকুবালা নাথ মেদিয়ার মন্দিরে একটানা প্রার্থনা করেন বিপদ কাটাতে।

কথিত, এরপরই দেবী স্বপ্নে দেখা দেন টুকুবালা দেবীকে। জানান, রোগ নিরাময়ের জন্য কোন এলাহি আয়োজন নয়, সাদামাটা ভাবে পান্তা ভাত ও ডালের বড়া দিয়েই পুজো দিলেই মিলবে রোগ মুক্তি। এরপর, বাড়িতে ফিরে কোনও রকমে শুরু করেন মা শীতলার পুজো। এই পুজোর বিশেষত্বই হল বাড়িতে অরন্ধন রেখে, পান্তা ভাত, সঙ্গে ডালের বড়া প্রসাদ দেওয়া। জনশ্রুতি ও বিশ্বাস যে এই প্রসাদেই পরিবার-সহ এলাকা থেকে প্রকোপ কমে মহামারির। সেই থেকেই বনগাঁর দত্তপাড়ায় হয়ে আসছে প্রাচীন এই নাথ বাড়ির শীতলা মায়ের পুজো।

আরও পড়ুন : আসছে নীলষষ্ঠী ব্রত! সন্তানের কল্যাণে এই বিশেষ ফুল দিন দেবাদিদেব মহাদেবকে ও এই ফুলে পুজো করুন দেবী নীল চণ্ডিকার

তবে এখন আর সাদামাটা নয়, অনেকটাই এলাহি আয়োজনে হয় মায়ের পুজোর। এলাকাবাসীদের বিশ্বাস মা-কে সন্তুষ্ট রাখলেই ছুঁতে পারবে না কোন মহামারি ব্যাধি। তাই আজ এলাকার অনেক মহিলাই উপবাস করে এই মায়ের পুজোর কাজে অংশ নেন। ফল প্রসাদের পাশাপাশি পান্তা ভাত ডালের বড়া পরিবেশন করা হয় ভক্তদের। দূর দূরান্ত থেকেও মানুষজন আসেন এই মায়ের পুজোর ভোগ নিতে।

বর্তমানে বাড়ির তৃতীয় প্রজন্ম সামলাচ্ছেন এই পুজার দায়িত্ব। মা শীতলার এই পুজোকে ঘিরে রীতিমতো উৎসবের চেহারা নিয়েছে দত্তপাড়া এলাকা। পাত পেড়ে বসে চলছে পান্তা ভাত ডালের বড়া খাওয়া। পরম তৃপ্তিতে মায়ের সেই প্রসাদী ভোগ খাচ্ছেন ভক্তরাও। তাই হয়তো বলে, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।

Sheetala Ashtami Dos & Donts: আজ শীতলাপুজোয় এই চেনা গাছে জল দিন! অর্থপ্রাপ্তি, সন্তানের মঙ্গল ও দাম্পত্য সুখের হবেই

দোলপূর্ণিমার পর আজ, মঙ্গলবার, কৃষ্ণক্ষের অষ্টমী তিথিতে মা শীতলার পুজো। বাংলার লৌকিক দেবদেবীদের মধ্যে অন্যতম শীতলাদেবী।
দোলপূর্ণিমার পর আজ, মঙ্গলবার, কৃষ্ণক্ষের অষ্টমী তিথিতে মা শীতলার পুজো। বাংলার লৌকিক দেবদেবীদের মধ্যে অন্যতম শীতলাদেবী।

 

সাধারণত এই পুজো পালিত হয় ফাল্গুন মাসে। কিন্তু এ বছর দোলপূর্ণিমা চৈত্রমাসে পড়ায় শীতলাপুজোও পড়েছে বাংলা বছরের শেষ মাসেই।
সাধারণত এই পুজো পালিত হয় ফাল্গুন মাসে। কিন্তু এ বছর দোলপূর্ণিমা চৈত্রমাসে পড়ায় শীতলাপুজোও পড়েছে বাংলা বছরের শেষ মাসেই।

 

প্রচলিত বিশ্বাস, শীতলাদেবীর পুজো করলে সন্তান সন্ততি-সহ পরিবারের সকলে বসন্ত ও অন্যান্য ছোঁয়াচে সংক্রামক অসুখ থেকে রেহাই পায়। দূরে থাকে মহামারি।
প্রচলিত বিশ্বাস, শীতলাদেবীর পুজো করলে সন্তান সন্ততি-সহ পরিবারের সকলে বসন্ত ও অন্যান্য ছোঁয়াচে সংক্রামক অসুখ থেকে রেহাই পায়। দূরে থাকে মহামারি।

 

রাজস্থান, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশেও এই লৌকিকদেবীর পুজো অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ৷ মনে করা হয় শীতলাদেবীর হাতের ঝাঁটা সংসারের অভাব, অনটন, দুঃখ, দুর্দশা দূর করে৷
রাজস্থান, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশেও এই লৌকিকদেবীর পুজো অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ৷ মনে করা হয় শীতলাদেবীর হাতের ঝাঁটা সংসারের অভাব, অনটন, দুঃখ, দুর্দশা দূর করে৷

 

আজ, মঙ্গলবার রাত ৮.০৯ পর্যন্ত অষ্টমী তিথি আছে দৃকসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী৷ অন্য পঞ্জিকা মতে অষ্টমী তিথি আছে দুপুর ৩.২০ পর্যন্ত৷
আজ, মঙ্গলবার রাত ৮.০৯ পর্যন্ত অষ্টমী তিথি আছে দৃকসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী৷ অন্য পঞ্জিকা মতে অষ্টমী তিথি আছে দুপুর ৩.২০ পর্যন্ত৷

 

অনেক পরিবারেই এদিন অরন্ধন ব্রত পালন করা হয়৷ উনুন ধরানো হয় না৷ কোনও রান্না করা হয় না৷ আগের দিন রাঁধা শীতল খাবার খাওয়া হয়৷ শীতলাপুজোয় কোনও গরম বা উষ্ণ খাবার গ্রহণ করার নিয়ম নেই৷
অনেক পরিবারেই এদিন অরন্ধন ব্রত পালন করা হয়৷ উনুন ধরানো হয় না৷ কোনও রান্না করা হয় না৷ আগের দিন রাঁধা শীতল খাবার খাওয়া হয়৷ শীতলাপুজোয় কোনও গরম বা উষ্ণ খাবার গ্রহণ করার নিয়ম নেই৷

 

এই তিথিতে কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে শীতলাদেবীকে টকদই ও হলুদ নিবেদন করা হয়৷ ব্রতপালনের পর সাত্তিক আহার গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করা হয়৷
এই তিথিতে কাকভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে শীতলাদেবীকে টকদই ও হলুদ নিবেদন করা হয়৷ ব্রতপালনের পর সাত্তিক আহার গ্রহণ করে উপবাস ভঙ্গ করা হয়৷

 

শীতলাদেবীর পুজোয় নিমগাছে জলদান করুন৷ নিমগাছ প্রদক্ষিণ করুন৷ গবাদি পশুকে আহার করান৷
শীতলাদেবীর পুজোয় নিমগাছে জলদান করুন৷ নিমগাছ প্রদক্ষিণ করুন৷ গবাদি পশুকে আহার করান৷

 

প্রচলিত বিশ্বাস, শীতলাপুজো নিষ্ঠাভরে পালন করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় সংসারে৷ সুখের হয় বিবাবিহত জীবন ও দাম্পত্য৷ কল্যাণ ও মঙ্গলসাধন হয় সন্তানদের৷
প্রচলিত বিশ্বাস, শীতলাপুজো নিষ্ঠাভরে পালন করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায় সংসারে৷ সুখের হয় বিবাবিহত জীবন ও দাম্পত্য৷ কল্যাণ ও মঙ্গলসাধন হয় সন্তানদের৷

Sheetala Puja 2024 Date & Timing: এ বছর শীতলাপুজো কবে, জানুন শুভ মুহূর্তের দিন ক্ষণ! সন্তানের মঙ্গলকামনায় এই রঙের ফুলের মালা নিবেদন করবেন দেবীকে

বাংলার লৌকিক দেবদেবীদের মধ্যে মা শীতলা অন্যতম৷ প্রতি বছর বসন্ত ঋতুতে পূজিতা হন এই দেবী৷ প্রচলিত বিশ্বাস, এই লৌকিক দেবীর পুজো করলে বসন্ত-সহ ঋতু পরিবর্তনের অন্য রোগবালাইয়ের মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷
বাংলার লৌকিক দেবদেবীদের মধ্যে মা শীতলা অন্যতম৷ প্রতি বছর বসন্ত ঋতুতে পূজিতা হন এই দেবী৷ প্রচলিত বিশ্বাস, এই লৌকিক দেবীর পুজো করলে বসন্ত-সহ ঋতু পরিবর্তনের অন্য রোগবালাইয়ের মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷

 

প্রতি বছর দোলপূর্ণিমার পরে কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে শীতলাদেবীর পুজো করা হয়৷ এ বছর আজ, সোমবার পালিত হবে শীতলা সপ্তমী৷ আগামিকাল, মঙ্গলবার উদযাপিত হবে শীতলা অষ্টমী৷
প্রতি বছর দোলপূর্ণিমার পরে কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে শীতলাদেবীর পুজো করা হয়৷ এ বছর আজ, সোমবার পালিত হবে শীতলা সপ্তমী৷ আগামিকাল, মঙ্গলবার উদযাপিত হবে শীতলা অষ্টমী৷

 

শীতলা সপ্তমী শুরু হয়েছে ৩১ মার্চ, রাত ৯.৩০ টায়৷ এই তিথি থাকবে সোমবার, ১ এপ্রিল রাত ৯.০৯ পর্যন্ত৷
শীতলা সপ্তমী শুরু হয়েছে ৩১ মার্চ, রাত ৯.৩০ টায়৷ এই তিথি থাকবে সোমবার, ১ এপ্রিল রাত ৯.০৯ পর্যন্ত৷

 

শীতলা সপ্তমীর পুজো নিবেদন করুন ভোর ৫.৪০ থেকে সন্ধ্যা ৬.০১ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে কোনও এক সময়ে৷
শীতলা সপ্তমীর পুজো নিবেদন করুন ভোর ৫.৪০ থেকে সন্ধ্যা ৬.০১ পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে কোনও এক সময়ে৷

 

শীতলাপুজোর শুভ তিথিতে ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নেন ব্রতীরা৷ তার পর ঘরবাড়ি এবং পুজোর স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন৷
শীতলাপুজোর শুভ তিথিতে ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নেন ব্রতীরা৷ তার পর ঘরবাড়ি এবং পুজোর স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন৷

 

মা শীতলাকে নিবেদন করুন দুধ, ভোগপ্রসাদ, ঘি, মাটির প্রদীপ, ধূপকাঠি, ফলপ্রসাদ এবং ফুল৷ দেবীকে দিন সাদা বা হলুদ রঙের ফুলের মালা৷
মা শীতলাকে নিবেদন করুন দুধ, ভোগপ্রসাদ, ঘি, মাটির প্রদীপ, ধূপকাঠি, ফলপ্রসাদ এবং ফুল৷ দেবীকে দিন সাদা বা হলুদ রঙের ফুলের মালা৷

 

মা শীতলার সামনে প্রজ্বলন করুন দেশি ঘিয়ের প্রদীপ৷ মন্দিরে বা নিজের ঘরে, যে কোনও জায়গাতেই পুজো করতে পারেন দেবীর৷
মা শীতলার সামনে প্রজ্বলন করুন দেশি ঘিয়ের প্রদীপ৷ মন্দিরে বা নিজের ঘরে, যে কোনও জায়গাতেই পুজো করতে পারেন দেবীর৷

 

দেবীবন্দনার পাশাপাশি এই শুভ তিথিতে নিমগাছে জলদান করতে পারেন৷ তার পর সন্তানের মঙ্গলকামনায় নিমগাছ প্রদক্ষিণ করুন সাত বার৷ প্রচলিত বিশ্বাস, এতে সন্তানের মঙ্গল হয়৷
দেবীবন্দনার পাশাপাশি এই শুভ তিথিতে নিমগাছে জলদান করতে পারেন৷ তার পর সন্তানের মঙ্গলকামনায় নিমগাছ প্রদক্ষিণ করুন সাত বার৷ প্রচলিত বিশ্বাস, এতে সন্তানের মঙ্গল হয়৷

 

অনেক পরিবারে এই দিনে অরন্ধন রীতি পালিত হয়৷ আগের দিনের রান্না করা খাবার খাওয়া হয় পুজোর দিন৷
অনেক পরিবারে এই দিনে অরন্ধন রীতি পালিত হয়৷ আগের দিনের রান্না করা খাবার খাওয়া হয় পুজোর দিন৷