Viral Video: “আলোকের এই…”-মংপুতে নেপালি ‌যুবকের কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত! তুমুল ভাইরাল ভিডিও

দার্জিলিং: পাহাড়ি নিস্তব্ধতায় হঠাৎ কানে ভেসে আসল ‘আলোকের এই ঝর্না ধারায়।’ পাহাড়ি এলাকায় নেপালি যুবকের কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনে থমকে যাচ্ছিলেন সবাই। বেশিরভাগ বাঙালি পড়েছেন ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’। মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা এই বই পড়ে থাকলে সবার অন্তত একবার ইচ্ছে করবেই মংপুতে ঘুরে আসার। আসলে পাহাড়ের কোলে মংপুতে বিশ্বকবি যে মাঝে মাঝেই আসতেন তা হয়ত আমরা সকলেই জানি। কবিকে ঘিরে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে মংপুতে । কবির স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনের গুরুত্ব ও সৌন্দর্য অপরিসীম। ৩৭৫৯ ফুট উচ্চতায় মংপু এখন ছোট পাহাড়ি শহর, কবির সময় তা ছিল পাহাড়ি গণ্ডগ্রাম। সিঙ্কোনা চাষের জন্যই এর প্রথম খ্যাতি ছড়ায়। তবে এখন রবি ঠাকুরের বাড়ি হিসেবে সকলেই চেনে এই গ্রামকে।

১৯৪৪ সালের ২৮ মে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটিকে রবীন্দ্রভবন বা রবীন্দ্র সংগ্রহশালা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে লোকজনের আনাগোনা রয়েছে। আর সেখানেই রবীন্দ্র ভবনে রবীন্দ্র মূর্তির সামনে দাড়িয়ে এক নেপালি যুবককে রবীন্দ্র সংগীত চর্চা করতে দেখা গেল। বাংলাভাষার জড়তা থাকা সত্বেও এত সুন্দর করে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইছিলেন যে প্রাণ ভরে যায় । গান শুনে অনেক পর্যটকরা মন দিয়ে তাঁর গানও শুনছিলেন। সেই নেপালি যুবকের নাম কুশল রাই । তিনি আসলে রবীন্দ্র ভবনের তত্ত্বাবধায়ক এর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন গত ২ বছর ধরে। রবীন্দ্র ভক্তি এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রতি যে তার অমোঘ ভালবাসা রয়েছে সেটা তার সঙ্গে কথা বলেই বোঝা যায়।

আরও পড়ুন: জমিদার বাড়ির উঠোন খুঁড়তেই কলস ভর্তি একী পাওয়া গেল! মাটি খুঁড়ছে বহু মানুষ

গান শেষ হওয়ার পর তাকে কোথায় শিখেছেন প্রশ্ন করায় কুশল জানান, ‘আমি কোথাও শিখিনি। রবি ঠাকুরকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। এই গ্রামেই আমার বড় হয়ে ওঠা । ছোট বেলা থেকেই বাঙালি লোকেদের আনাগোনা। সেখান থেকেই বাংলা শেখা। আর আমার রবীন্দ্র সঙ্গীত এত ভাল লাগে যে শুনতে শুনতেই বেশ কয়েকটি গান রপ্ত করে ফেলেছি আমি।’ পাহাড়ে ঘুরতে এসে ঋতব্রত কুন্ডু বলেন, ‘ আমি রবীন্দ্র ভবন দেখতে এসেছিলাম। এখানে এসে এই ভদ্রলোকের কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত শুনে আমি সত্যিই ভীষণ মুগ্ধ। তিনি এত সুন্দর করে গানটি গাইলেন যে না দাড়িয়ে পারলাম না।’

অনির্বাণ রায়