Tag Archives: viral song

Police Viral Song: পুলিশ মানেই গম্ভীর নয়, থানার আই সি-র গানে মন ভরছে, পুলিশ অফিসারের গান ভাইরাল

মুর্শিদাবাদ: যিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেন, তিনি গান গাইতে সকলকে মোহিতও করতে পারেন ৷ সম্প্রতি এমন এক পুলিশ আধিকারিকের ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায় ৷ হরিহরপাড়া থানার আইসি অরূপ রায়ের গানের প্রশংসা এখন ঘুরছে লোকের মুখে মুখে৷ পুলিশের কাজ দক্ষ হাতে সামাল দিয়ে গান করেও মানুষের মন জয় করছেন আইসি।

ইতি মধ্যেই ট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে হরিহরপাড়া থানা চত্বরকে। পাশাপাশি, তৈরি হয়েছে আনন্দ আশ্রম। আর সেই আশ্রমে এখন সকাল হলেই বাউল গানের আসর বসাচ্ছেন হরিহরপাড়া থানার আইসি অরূপ রায়। পুলিশের ডিউটির মাঝেই গান করে ভাইরাল অরূপ রায় । তার গানে মুগ্ধ এখন সকলেই। মুর্শিদাবাদের সদর ডিভিশনের অধীনস্থ হরিহরপাড়া থানাকে ‘ট্যুরিস্ট অ্যাট্রাকশন সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে সম্প্রতি।

আরও পড়ুনরোগীর আশপাশে যখন তখন ঘুরছে সাপ! চাপে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা

ভ্রমণার্থীরা মুর্শিদাবাদে ঘুরতে এসে ঢুঁ মারতে পারেন এই থানাতে। শুধু ঘোরা নয়, থাকার জন্য দু’টি অত্যাধুনিক গেস্ট রুম করা হয়েছে এখানে। শুধুমাত্র ভ্রমণের জন্যও থানায় আসবেন মানুষ। মেহেগিনির জঙ্গলের ভেতর, পুকুরের ধারে পথ চলা শুরু করেছে ‘আনন্দ আশ্রম’। নানা পাখি, ঝাঁক বেঁধে ঘোরা মাছের দল দেখতে দেখতে কখন যে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবে পর্যটকরা টেরও পাবেন না।

বাড়তি পাওনা হবে, আনন্দ আশ্রমের প্রভাতী সংগীত, প্রভাতী সংগীতে দৈনন্দিন চলে গানের আসর। আর সেই আসরেই পুলিশের ডিউটির ফাঁকে বাউল গাইছেন আইসি অরূপ রায়। তবে ভ্রমণ পিপাসুরা সংগীতের আসরে মানুষের পাশাপাশি ছোট ছোট খরগোশ, কাঠবিড়ালি, এবং পাখিদের অংশগ্রহণ মানুষকে অবাক করবেই। মেডিটেশন করার একেবারে আদর্শ পরিবেশ এই আনন্দ আশ্রমে।

কৌশিক অধিকারী

Bado Badi Viral Song: ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল গান ‘বাদো বাদি’, কে এই গায়ক চাহাত ফতে আলি খান? মহিলা-ই বা কে? চমকে যাবেন

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম খুললে একটাই ভাইরাল গান শোনা যাচ্ছে। 'বাদো বাদি বাদো বাদি'। গোটা দেশজুড়ে রিলস, ভিডিওতে বাজছে এমন এক অদ্ভুত গান। ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে গানটি। কেন এত ভাইরাল হয়েছে এই গানটি? গানের ভিডিওতে এই দুই ব্যক্তিই বা কে?
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম খুললে একটাই ভাইরাল গান শোনা যাচ্ছে। ‘বাদো বাদি বাদো বাদি’। গোটা দেশজুড়ে রিলস, ভিডিওতে বাজছে এমন এক অদ্ভুত গান। ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে গানটি। কেন এত ভাইরাল হয়েছে এই গানটি? গানের ভিডিওতে এই দুই ব্যক্তিই বা কে?
এই গানের গায়কের নাম চাহাত ফতে আলি খান। গানের ভিডিওতে তাঁর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে এক মহিলাকেও। তিনিই বা কে? ইউটিউবে এই গানটি প্রায় ২৮ মিলিয়ন ভিউজ পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও গানটি ইউটিউব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন?
এই গানের গায়কের নাম চাহাত ফতে আলি খান। গানের ভিডিওতে তাঁর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে এক মহিলাকেও। তিনিই বা কে? ইউটিউবে এই গানটি প্রায় ২৮ মিলিয়ন ভিউজ পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও গানটি ইউটিউব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন?
সব মিলিয়ে চাহাত ফতে আলি খানের 'বাদো বাদি' গানটি বিতর্ক, ট্রোল ও মনোরম হাসির খোরাক হিসেবে মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের রিল হয়ে থেকে যাচ্ছে। গায়ক ও ভিডিওতে দেখা যাওয়া অভিনেত্রী দু'জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। চাহাত ফতে আলি খানের আসল নাম কাশিফ রানা। লাহোরে জন্মগ্রহণকারী, ৫৬ বছর বয়সি চাহাত ফতেহ আলি খান বিখ্যাত পাকিস্তানি গায়ক রাহাত ফতে আলির সঙ্গে মিলিয়ে নিজের নামকরণ করেছেন।
সব মিলিয়ে চাহাত ফতে আলি খানের ‘বাদো বাদি’ গানটি বিতর্ক, ট্রোল ও মনোরম হাসির খোরাক হিসেবে মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের রিল হয়ে থেকে যাচ্ছে। গায়ক ও ভিডিওতে দেখা যাওয়া অভিনেত্রী দু’জনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা। চাহাত ফতে আলি খানের আসল নাম কাশিফ রানা। লাহোরে জন্মগ্রহণকারী, ৫৬ বছর বয়সি চাহাত ফতেহ আলি খান বিখ্যাত পাকিস্তানি গায়ক রাহাত ফতে আলির সঙ্গে মিলিয়ে নিজের নামকরণ করেছেন।
ভিডিওতে যে অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে তাঁর নাম ওয়াজধন রাও রঙ্গর। ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে খুবই জনপ্রিয় তিনি। পাকিস্তানে ট্রাভেল ভ্লগার হিসেবেও দেখা যায় তাঁকে। মডেলিং করেন।
ভিডিওতে যে অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে তাঁর নাম ওয়াজধন রাও রঙ্গর। ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে খুবই জনপ্রিয় তিনি। পাকিস্তানে ট্রাভেল ভ্লগার হিসেবেও দেখা যায় তাঁকে। মডেলিং করেন।
জানা গিয়েছে, অর্থের অভাবের জেরেই মাত্র ৪ হাজার টাকায় এই ভিডিওতে শ্যুট করতে রাজি হন ওয়াজধন রাও রঙ্গর। যদিও এর সত্যতা বিচার করেনি নিউজ ১৮ বাংলা।
জানা গিয়েছে, অর্থের অভাবের জেরেই মাত্র ৪ হাজার টাকায় এই ভিডিওতে শ্যুট করতে রাজি হন ওয়াজধন রাও রঙ্গর। যদিও এর সত্যতা বিচার করেনি নিউজ ১৮ বাংলা।
বাদো বাদি একটি পঞ্জাবি শব্দ, অর্থ জোর করা। এই গানই ভাইরাল হয়েছে। ২৮ মিলিয়ন ভিউজ পাওয়ার পরেও ইউটিউব থেকে এই গান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, কপিরাইটের মামলা হয়েছে গানটি নিয়ে।
বাদো বাদি একটি পঞ্জাবি শব্দ, অর্থ জোর করা। এই গানই ভাইরাল হয়েছে। ২৮ মিলিয়ন ভিউজ পাওয়ার পরেও ইউটিউব থেকে এই গান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, কপিরাইটের মামলা হয়েছে গানটি নিয়ে।
ভারতীয় ছবি 'বানারসি ঠগ' ছবিতে নূর জাহানের কণ্ঠে এই গানটি হয়েছিল। সেই গানটির নাম 'আঁর লরি বাদো বাদি'। সেই গান থেকেই চাহাত ফতে আলি খান এমন একটি গান তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করেন গত এপ্রিল মাসে। তারপরেই সেটি ভাইরাল হয়। এবং পরে কপিরাইটের সমস্যার কারণে গানটি তুলে নেওয়া হয়।
ভারতীয় ছবি ‘বানারসি ঠগ’ ছবিতে নূর জাহানের কণ্ঠে এই গানটি হয়েছিল। সেই গানটির নাম ‘আঁর লরি বাদো বাদি’। সেই গান থেকেই চাহাত ফতে আলি খান এমন একটি গান তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করেন গত এপ্রিল মাসে। তারপরেই সেটি ভাইরাল হয়। এবং পরে কপিরাইটের সমস্যার কারণে গানটি তুলে নেওয়া হয়।
যদিও চাহাত ফতে আলি খানের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি এই বাদো বাদি ২ গান নিয়ে তিনি আসছেন দুনিয়া কাঁপাতে।
যদিও চাহাত ফতে আলি খানের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি এই বাদো বাদি ২ গান নিয়ে তিনি আসছেন দুনিয়া কাঁপাতে।

Ma Lo Ma Viral Song: ‘মা লো মা-আমি করলাম কী’- তুমুল ভাইরাল বাংলা কোক স্টুডিও-র এই গান! শুরু বিতর্ক!

কলকাতা: কোক স্টুডিও বাংলা দেশের গানকে এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে! এখানে শুধু যে বাংলা দেশের গান গাওয়া হয়, তা নয়! দুই বাংলার গানই জায়গা করে নিয়েছে! হিন্দি কোক স্টুডিয়োর মতোই দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলা দেশের কোক স্টুডিও ! এই বাংলা কোক স্টুডিয়োতে মিউজিক পরিচালনা করছেন অর্ণব! শুধু মিউজিক নয় গোটা বিষয়টাই তাঁর মাথায় থাকে! সম্প্রতি এখানে মুক্তি পেয়েছে নতুন গান ‘মা লো মা’! যা ইতিমধ্যে গোটা বিশ্বে সারা ফেলেছে! এই গানে কণ্ঠ দেন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান ও আলি হাসান। প্রকাশের পরই শ্রোতারা লুফে নেয় গানটি। এরইমধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে রয়েছে এটি।

তবে মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে এই গান নিয়ে বির্তকও শুরু হয়েছে! কোক স্টুডিও বাংলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই গানটির গীতিকার বাউল আব্দুল খালেক দেওয়ান! এই নাম নিয়েই শুরু হয় সমস্যা! নেত্রকোণার সংস্কৃতি কর্মীরা বলছেন, এই গানটি খুব জনপ্রিয় ভাটি গান! এটি প্রয়াত বাউল রশিদ উদ্দিনের গান! এই নিয়ে সভাও করা হয়! ভুল প্রচার করা হচ্ছে বলে নানা মন্তব্য উঠে আসছে! এমনকি মামলা করার কথাও বলা হচ্ছে! এই গানটিতে বাংলাদেশের লোক শিল্পের ছোঁয়া রয়েছে!

যদিও কোক স্টুডিও বাংলার তরফ থেকে জানা যায়, ‘মালো মা’ গানটি লিখেছিলেন ঢাকার সাধক-কবি ও শিল্পী খালেক দেওয়ান। প্রায় একই সুরে এবং কথায় ‘মাগো মা’ নামের একটি গান লেখেন নেত্রকোনার বাউলসাধক রশিদ উদ্দিন। এই দুটি গানের মধ্যে মিল থাকার জন্যই নানারকম প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন ‘মাগো মা’ কে বদলে ‘মা লো মা’ করা হয়েছে! বাকি সবটাই নাকি এক! যদিও এই বিতর্কের মাঝেই এই গান এখন টপ ভাইরাল! বিশ্বের মানুষ এই গানের প্রেমে পড়েছেন! বাংলাদেশের বিশেষ কিছু মিউজিক তুলে এনে বসানো হয়েছে এই গানে! যা আপনাকে ভাবাতে বাধ্য করবে! বিতর্কের জল কতদূর গড়াবে বলা মুশকিল! তবে এই গান যে মন ছুঁয়ে যাবে, তা নিয়ে সন্দেহের জায়গাই নেই!

Viral Song-Lok Sabha Election 2024: ‘আসছে ভোটে আমি নেতা হতে চাই!’ নির্বাচন নিয়ে গান দুই যুবকের! গান নয়তো যেন হট কেক! তুমুল ভাইরাল

মুর্শিদাবাদ: বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনের পর্ব চলছে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। সামনেই তৃতীয় দফার নির্বাচন। তৃতীয় দফাতে আছে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। এবার জঙ্গিপুর লোকসভার অন্তর্গত রঘুনাথগঞ্জের কিছু যুবকরা তারা রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গান বাঁধলেন। কোনও নির্দিষ্ট দলের হয়ে গান না বেঁধে সমস্ত রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে গান বেঁধে সুর দিয়েছেন তন্ময় কুন্ডু।

লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষেই রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে নিয়ে এই গান বেঁধেছেন তন্ময় কুন্ডু সহ কিছু যুবক। নেতাদের যে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক দল ভোটের পরে সাধারণ মানুষকে ভুলে যান, তাই তাদের যে সামাজিক কর্তব্য সেই কর্তব্য সাধারণ মানুষের জন্য তাদের কাছে পৌঁছে দিতেই জঙ্গিপুর লোকসভার হয়ে এই গানটা ইতিমধ্যেই উৎসর্গ করা হয়েছে।

ইতি মধ্যেই জমে উঠেছে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচার। তৃণমূল থেকে বিজেপি এমনকি বাম কংগ্রেস কেও কাওকে এক চুল জমি ছাড়তে নারাজ। সকল রাজনৈতিক দল তারা তাদের মতো করেই ভোটের নির্বাচনী প্রচার করে চলেছেন। তাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতেই রাজনৈতিক দল কে নিয়ে গান বেঁধেছেন তারা।

আরও পড়ুন: গরমে একটু শান্তি চাইছেন? তাহলে চলে আসুন এখানে! অবাক হবেন

শিল্পীদের কথায়, ৭ই মে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন তাই ভোটের মুখে রাজনৈতিক দলে সমস্ত নেতাদের জন্য এই গান বেঁধেছেন। রাজনৈতিক নেতাদের যে নৈতিক দায়িত্ব তারা অনেকেই ভুলে যান। তাই নৈতিক দায়িত্ব পালন করানোর জন্যই এই গান বানানো হয়েছে। এক মাস মতন সময় লেগেছে এই গানটি তৈরি করতে নিজেই সুর এবং নিজেই মিউজিক অ্যারেঞ্জ করেছেন তন্ময় কুন্ডু।

কৌশিক অধিকারী

Viral Video: “আলোকের এই…”-মংপুতে নেপালি ‌যুবকের কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত! তুমুল ভাইরাল ভিডিও

দার্জিলিং: পাহাড়ি নিস্তব্ধতায় হঠাৎ কানে ভেসে আসল ‘আলোকের এই ঝর্না ধারায়।’ পাহাড়ি এলাকায় নেপালি যুবকের কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনে থমকে যাচ্ছিলেন সবাই। বেশিরভাগ বাঙালি পড়েছেন ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’। মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা এই বই পড়ে থাকলে সবার অন্তত একবার ইচ্ছে করবেই মংপুতে ঘুরে আসার। আসলে পাহাড়ের কোলে মংপুতে বিশ্বকবি যে মাঝে মাঝেই আসতেন তা হয়ত আমরা সকলেই জানি। কবিকে ঘিরে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে মংপুতে । কবির স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনের গুরুত্ব ও সৌন্দর্য অপরিসীম। ৩৭৫৯ ফুট উচ্চতায় মংপু এখন ছোট পাহাড়ি শহর, কবির সময় তা ছিল পাহাড়ি গণ্ডগ্রাম। সিঙ্কোনা চাষের জন্যই এর প্রথম খ্যাতি ছড়ায়। তবে এখন রবি ঠাকুরের বাড়ি হিসেবে সকলেই চেনে এই গ্রামকে।

১৯৪৪ সালের ২৮ মে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটিকে রবীন্দ্রভবন বা রবীন্দ্র সংগ্রহশালা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে লোকজনের আনাগোনা রয়েছে। আর সেখানেই রবীন্দ্র ভবনে রবীন্দ্র মূর্তির সামনে দাড়িয়ে এক নেপালি যুবককে রবীন্দ্র সংগীত চর্চা করতে দেখা গেল। বাংলাভাষার জড়তা থাকা সত্বেও এত সুন্দর করে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইছিলেন যে প্রাণ ভরে যায় । গান শুনে অনেক পর্যটকরা মন দিয়ে তাঁর গানও শুনছিলেন। সেই নেপালি যুবকের নাম কুশল রাই । তিনি আসলে রবীন্দ্র ভবনের তত্ত্বাবধায়ক এর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন গত ২ বছর ধরে। রবীন্দ্র ভক্তি এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রতি যে তার অমোঘ ভালবাসা রয়েছে সেটা তার সঙ্গে কথা বলেই বোঝা যায়।

আরও পড়ুন: জমিদার বাড়ির উঠোন খুঁড়তেই কলস ভর্তি একী পাওয়া গেল! মাটি খুঁড়ছে বহু মানুষ

গান শেষ হওয়ার পর তাকে কোথায় শিখেছেন প্রশ্ন করায় কুশল জানান, ‘আমি কোথাও শিখিনি। রবি ঠাকুরকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। এই গ্রামেই আমার বড় হয়ে ওঠা । ছোট বেলা থেকেই বাঙালি লোকেদের আনাগোনা। সেখান থেকেই বাংলা শেখা। আর আমার রবীন্দ্র সঙ্গীত এত ভাল লাগে যে শুনতে শুনতেই বেশ কয়েকটি গান রপ্ত করে ফেলেছি আমি।’ পাহাড়ে ঘুরতে এসে ঋতব্রত কুন্ডু বলেন, ‘ আমি রবীন্দ্র ভবন দেখতে এসেছিলাম। এখানে এসে এই ভদ্রলোকের কন্ঠে রবীন্দ্র সংগীত শুনে আমি সত্যিই ভীষণ মুগ্ধ। তিনি এত সুন্দর করে গানটি গাইলেন যে না দাড়িয়ে পারলাম না।’

অনির্বাণ রায়