কোচবিহার: শুক্রবার প্রথম দফার নির্বাচনে ভোট হয়েছে কোচবিহার কেন্দ্রে। উত্তরবঙ্গের যে তিনটি আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল এই কোচবিহার। নির্বাচনের পরেও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। সেই নিয়ে সর্বত্র একটা আতঙ্ক ছিলই। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বন্য জন্তুর আতঙ্ক মাথাভাঙায়।
শনিবার বাইসনের হানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মাথাভাঙা শহরে। এদিন সকালে পঞ্চানন মোড় সংলগ্ন এলাকায় বাইসনটিকে প্রথম দেখেন স্থানীয়রা। বাইসনটিকে দেখতে ভিড় করতে শুরু করেন অনেকে। তখনই সেটি চলে যায় মধ্য বাইশগুড়ি এলাকায়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর বাইসনটি পৌঁছায় বড় কাউয়ার ডারা এলাকায়। আর সেখানেই শুরু করে নিজের তাণ্ডব। দ্রুত খবর পাঠানো হয় মাথাভাঙা বন দফতরের কর্মীদের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: মাত্র ২০ মিনিটেই ১ বিঘা জমির ধান কেটে ঝাড়াই হয়ে গোলায় উঠে যাচ্ছে!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আচমকাই এলাকায় একটি বাইসন ঢুকে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু লোক মাঠে কাজ করছিলেন। তাঁরা সেখানেই আক্রান্ত হন। আবার অনেকেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘর থেকে বেরোতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন বাইসনের গুঁতোয় জখম হন মধ্য বাইশগুড়ি এলাকার চার গ্রামবাসী। জখমরা হলেন অর্চনা সূত্রধর, ঊষারানী ভদ্র, মল্লিকা বিশ্বাস ও গৌতম বিশ্বাস। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন।
কোচবিহারের সহ বন-অধিকর্তা বিজন কুমার নাথ জানান, আচমকাই বাইসনটি লোকালয়ে প্রবেশ করায় আতঙ্ক ছড়ায়। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করার পর বন কর্মীরা ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাইসনটিকে কাবু করতে সক্ষম হন। তারপর সেটিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরনিকটবর্তী পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সার্থক পণ্ডিত