Tag Archives: Animal attack

Stray dog bites man: মাথায় হাত দিতেই বিপদ! ব্যক্তিকে আক্রমণ রাস্তার কুকুরের, দেখুন ভিডিও

নয়াদিল্লি : কুকুর এবং মানুষের মধ্যে সম্পর্ক খুব বিশেষ। আমরা যদি তাদের একটুও ভালবাসি তবে তারা চিরকালের জন্য আমাদের হয়ে যায়। কিন্তু প্রাণীরা কথা বলতে পারে না, তাই আমরা সবসময় তাদের অনুভূতি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারি না। সম্প্রতি, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে একটি কুকুরের এমন আচরণ দেখা যাচ্ছে যা দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন : মাশরুমের নেশায় ভাসছিলেন, কুঠারের কোপে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটলানে ব্যক্তি, চমকে যাবেন আপনিও

প্রথমে কুকুরটি একজন অচেনা ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে, কিন্তু তারপরই হঠাৎ কোনও এক অজানা কারণে তার মেজাজ বিগড়ে যায়৷ লোকটিকে সে কামড় দিয়ে পালায়।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Anifowose Temi (@wtf.batshonline)

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে৷ যেখানে দেখা গিয়েছে, একটি কুকুর একজন লোকের সামনে এসে দাঁড়ায়৷ কুকুরটিকে দেখিয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন সেই ব্যক্তি৷ কুকুরটিও আদর খেয়ে লোকটি আরও কাছে চলে আসে৷ সেও লোকটির পায়ে ঘুরতে থাকে, লেজ নাড়িয়ে ভালবাসতে থাকে। কুকুর যখন ভালবাসা প্রকাশ করে, তারা তাদের লেজ নাড়াতে শুরু করে। এই ভিডিওতে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে কুকুরটি খুব শান্ত এবং ভাল মেজাজে রয়েছে। তারপরই হয় সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি৷

আরও পড়ুন : অপেক্ষা করে ক্লান্ত, কানাডায় ভারতীয়কে বাড়ি থেকে সরাতে চরম সিদ্ধান্ত মালিকের! দেখুন ভিডিও

ভিডিওটিতে দেখা যায়, লোকটি প্রথমে কুকুরের কপালে হাত ঘষে। এরপর সে বুঝতে পারে কুকুরটি কোনও কারণে রেগে আছে। তাই সে যখন কুকুরটিকে সরানোর চেষ্টা করে, তখনই এটি তার দুই পায়ে দাঁড়িয়ে সামনের দুটি পা ব্যক্তির উপর রাখে। এরপরই সে হিংস্র হয়ে ওঠে৷ সে রেগে গিয়ে লোকটির হাতে কামড় বসায়৷ অনেক কষ্টে লোকটি কুকুরটি হাত থেকে রেহাই পায়। সেখানে উপস্থিত আর এক ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ লোকটিকে উদ্ধার করতে এসে কুকুরটিকে তাড়িয়ে দেয়। কুকুরটিও তখনই সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ভিডিওটি প্রায় ১০ ​​কোটি ভিউ পেয়েছে এবং অনেকে মন্তব্য করেছেন৷ একজন লিখেছেন, যে রাস্তার কুকুরকে কখনও স্পর্শ করতে নেই৷ একজন লিখেছেন, কুকুরটি নিশ্চয়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল, তাই এটি লোকটিকে আক্রমণ করেছে।

Animal Attack: জঙ্গল ছেড়ে রাস্তায় গন্ডার, তাড়া করে পিষে মারল একজনকে! দেখুন সেই ভিডিয়ো

ডিসপুর: রবিবার মরিগাঁও জেলার পবিটোরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের কাছে একটি গন্ডারের তাড়া এবং আক্রমণের শিকার এক। মৃত অবস্থাতেই পাওয়া যায় সেই ব্যক্তিকে৷

জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তি কামরুপের বাসিন্দা৷ তাঁর বয়স ৩৭৷ নাম সাদ্দাম হুসেন৷ গন্ডারের আক্রমণের ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি রাস্তায় আপন মনেই মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন৷ হঠাৎই একটি গন্ডার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে বাইকটির পিছনে তাড়া করে৷ হঠাৎ এমন ঘটনায় হকচকিয়ে যান সেই ব্যক্তি৷ তিনি বাইক ফেলেই জঙ্গলে ঢুকে যান৷ দেখা যায় সেখানেও গন্ডারটি তাকে আক্রমণ করছে৷

আরও পড়ুন : প্রবল গতিতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা, ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৯, আহত একাধিক

স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখের সামনে ঘটনাটি ঘটলেও তারা কিছুই করতে পারেননি৷ গন্ডারটিকে ভয় দেখানোর জন্য সবাই চিৎকার শুরু করে৷ লাভ হয়নি তাতে৷ মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে মাঠে পাওয়া যায় হোসেনকে। “গন্ডারটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি” এএনআইকে জানিয়েছেন এক বনকর্তা৷ গন্ডারের ওজন ২৮০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে এবং ঘণ্টায় সেটি ৫৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। এমন একটি প্রাণী মানুষের শরীরের উপর দিয়ে চলে গেলে প্রাণে বেঁচে থাকা অসম্ভব৷ আর সেটাই হয়েছে হোসেনের সঙ্গে৷

আরও পড়ুন : ছিনতাই ডাকাতির সাজানো ছক! প্রাক্তন লাভার-এর থেকে মোবাইল পেতে প্রেমিকা যা করল…

আসামের রাজধানী গুয়াহাটির কাছে অবস্থিত পবিটোরা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য৷ ভারতে এক শিংওয়ালা গন্ডারের সর্বোচ্চ ঘনত্বের জন্য পরিচিত। বিশ্ব গন্ডার দিবসে প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্যে বলা হয়েছে যে ভারতে এক শিংওয়ালা গন্ডারের সংখ্যা গত চার দশকে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে৷ যা প্রায় ১৫০০ থেকে ৪০০০ মধ্যে রয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয় গন্ডার, যা তিনটি এশিয়ান প্রজাতির মধ্যে বৃহত্তম, প্রায় ৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। আসামের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ এক শিংওয়ালা গন্ডার রয়েছে।

Animal Attack: স্টান্ট দেখাতে গিয়ে ভয়ঙ্কর হাল! হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ আহত স্টান্টম্যান, দেখুন ভিডিয়ো

নয়াদিল্লি : সাহস ভালো তবে অতি সাহস ভালো নয়৷ আর এই অতি সাহস দেখাতে গিয়েই ভয়ঙ্কর সব বিপদের মুখে পড়েন অনেকে৷ এমনই এক ঘটনার ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল৷ যা দেখে রীতিমতো আতকে উঠেছেন সবাই৷

বাঘেদের বা সিংহদের সঙ্গে এক খাঁচায় খেলা, বা সাপ গলায় নিয়ে হেঁটে বেড়ানো৷ এমন অনেক ভিডিয়োই সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে আমাদের সামনে আসে৷ তবে প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যিনি এই কাজগুলি করে দেখান, তাঁরা প্রফেশনাল স্টান্টম্যান হয়ে থাকেন৷ এক্ষেত্রেও ব্যাপারটি তাই হয়েছিল৷ কিন্তু এখানে ভাগ্য স্টান্টম্যানের সঙ্গে ছিল না৷ ফলে নিজের হাতকে বিসর্জন দিয়ে হল দর্শকদের সামনে৷

আরও পড়ুন : ১০০ টাকায় চার বোতল হুইস্কি, ৩০০ টাকায় পাঁচ বোতল বিয়ার! মূর্গ তন্দুরী মিলত মাত্র ১৮০ টাকায়

ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল? এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কুমিরের খাঁচার মধ্যে লাল গেঞ্জি ও প্যান্ট পরে এক ব্যক্তি স্টান্ট দেখাচ্ছিলেন৷ তাঁর ঠিক সামনে শুয়ে রয়েছে একটি বিশাল কুমির৷ দেখা যায়, স্টান্ট ম্যানটি প্রথম কুমিরটিকে একটি থাপ্পর মারেন৷ তাতে হিংস্র প্রাণীটি প্রথম বড় করে মুখ খোলে৷ এরপরেই সেই ভয়ঙ্কর কাজটি করেন স্টান্টম্যান৷ তিনি নিজের হাতটি সরাসরি কুমিরের ওই মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন৷

আরও পড়ুন : ভরা ফ্লাইটে উদ্যম যৌনতা! ঘাড় ধরে নামিয়ে দেওয়া হল ব্রিটিশ দম্পতিকে৷

তাঁর সাহস দেখে সবাই হাততালি দিতে থাকে৷ কিন্তু এরপরই যা হল তা আশা করতে পারেননি কেউই৷ দেখা গিয়েছে হঠাৎই কুমিরটিকে চোখ খুলে ফেলে৷ তারপর সজোড়ে কামড় বসায় সেই স্টান্টম্যানের হাতে৷ হিংস্র জন্তুর মুহূর্তের আক্রমণে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন স্টান্টম্যান৷ একটা কামড় দেওয়ার পরই কুমিরটি সড়ে যায়৷ কিন্তু স্টান্টম্যানের হাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়৷ তিনি তখনই ওই জায়গাটি ছেড়ে চলে যান৷

দেখা গিয়েছি, ভিডিয়োটিতে প্রায় ৪২.৮ মিলিয়ন ভিউ এসেছে৷ লাইকের সংখ্যা সাত লাখেরও বেশি৷ ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনদের অনেকে সেই স্টান্টম্যানের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ কেউ লিখেছেন, লোকটি প্রতিদিন নিজের পরিবারের জন্য এত বড় ঝুঁকি নিচ্ছে৷ ওর সাহসকে কুর্ণিশ৷ একজন লিখেছেন, এমন কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো৷ কারণ, প্রাণ যাওয়ার ঝুঁকি থাকে৷ অন্য আর এক জন লিখেছেন, হিংস্র প্রাণীদের সঙ্গে এমন না করাই ভালো৷ ঘটনা থেকে স্টান্টম্যানের নিশ্চয়ই শিক্ষা হয়েছে!

এমন ঘটনা এই প্রথম নয়৷ এর আগেও হয়েছে৷ এই কুমিরের আক্রমণেরই শিকার হয়েছে আর এক স্টান্টম্যান৷ সেই ভিডিয়োটিও ভাইরাল হয়েছে৷ সেখানেও দেখা গিয়েছে, কুমিরের হাঁ করা মুখে একজন হাত ঢুকিয়েছেন৷ এবং মুহুর্তে কুমিরের কামড়ে ছিন্নভিন্ন হয়েছে স্টান্টম্যানের হাত৷

Monkey Attack: মায়ের কোল থেকে শিশু ছিনতাই শিম্পাজির, টুকরো টুকরো করল দেহ! শিউরে উঠবেন

বিসাউ: শিম্পাজির মাথা বিগড়োলে কী কী হতে পারে? আমাদের কারওর সেই ধারণা নেই। তবে গিনিতে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যার পরে শিম্পাজিকে মানুষের বন্ধু হিসাবে ভাবতে কষ্ট হবে। ঘটনাটি পুরো জানলে শিউরে উঠবে সবাই।

গিনির এক শবর বিসাউ। সেখানে হয়েছে ঘটনাটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এক মহিলার কোল থেকে আট মাসের শিশুকে ছিনিয়ে নেন এক শিম্পাজিকে৷ তারপর টানতে টানতে নিয়ে যায় জঙ্গলের ভিতর৷ সেখানে কামড়ে, আচড়ে টুকরো টুকরো করে শিশুটিকে৷ পরে যখন দেহটি উদ্ধার করতে যায় বনকর্মীরা, তারা রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিল৷ মেয়ের অবস্থা থেকে আর্তনাদ করতে শুরু করেন মা৷ বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিল সে৷

আরও পড়ুন : মাত্র ৯ হাজার টাকায় বাইক! গুটখা খাইয়ে কৃষককে সর্বশান্ত করল প্রতারকরা

ডেইল স্টার নিউজ ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর প্রায় তিন কিলোমিটার শিশুটিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় শিম্পাজিটি৷ তার নাম জেজে৷ শিশুটির নাম রাখা হয়েছিল হেলেন৷ ঘটনাটি হল কীভাবে? জানা গিয়েছে, মেয়েকে নিয়ে মা গিয়েছিলেন শিমূল আলু তুলতে৷ সেই সময় পিছন থেকে আক্রমণ করে শিম্পাজিটি৷ প্রথমে মহিলাকে কামড় বসায়, তারপর শিশু কন্যাটিকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় বনের ভিতর৷ নিম্বা মাউন্টেইন নেচার রিসার্ভ থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায় বাচ্চাটির মৃতদেহ৷

আরও পড়ুন : জনপ্রিয় চ্যানেল হ্যাক! মুষড়ে পড়েছেন বিখ্যাত ইউটিউবার, লিখলেন…

শিশুটির লাশ দেখে চমকে গিয়েছিলেন সবাই৷ সাধারণত, মানুষ যে সমস্ত ছোটখাটো যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে, শিম্পাজিকে শিখিয়ে দিলে সেটা তারাও ব্যবহার করতে পারে৷ বনকর্মীদের ধারণা, কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটিকে টুকরো টুকরো করেছে শিম্পাজি৷ গোটা ঘটনায় ক্ষেপে যায় সাধারণ মানুষ৷ তারা ওই অঞ্চলের চিড়িয়াখানা ভাঙচুর করে৷ পুড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক ডকুমেন্ট৷

কিন্তু শিম্পাজির এতটা সাহস এলো কোথা থেকে৷ খুব ভালো সম্পর্ক না হলে সাধারণত মানুষের থেকে তারা দূরেই থাকে৷ এবিষয়ে মুখ খুলেছেন বাঁনর বিশেষজ্ঞ জেন ইয়ামাকোশি৷ তাঁর মতে, শিম্পাজিরা আগে মানুষকে অল্প হলেও ভয় পেত৷ তাই মিলেমিশে থাকত তারা৷ এখন পরিস্থিতি বদলেছে৷ তারা এত বেশি মানুষের সংস্পর্শে এসে গিয়েছে যে সেই ভয়টাই আর নেই৷ তার উপর খাবারের জন্য লড়াই তো আছেই৷ এই কারণগুলোই এদের আগ্রাসী করে তুলছে৷

Animal Attack: খাবার না পেয়ে মাথা গরম কুনকির! হাতের কাছে বনকর্মীকে পেয়ে ‌যা করল!

আলিপুরদুয়ার: সঠিক সময়ে খাবার না মেলায় রাগ, পাতাওয়ালাকে আক্রমণ জলদাপাড়ার এক কুনকির। মৃত্যু হল পাতাওয়ালার। কুনকি হাতির হামলায় মৃত্যু হল পাতাওয়ালা সুরেশ টিজ্ঞার। তার বয়স ৩৫ বছর। তিনি জলদাপাড়া বনবিভাগের কোদালবস্তির রেঞ্জের অধীন সিসি লাইন বীটে কর্মরত ছিলেন।

বনদফতর সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে কুনকি হাতিটি নদীর দিকে নিয়ে এলে, সে আচমকা হামলা করে পাতাওয়ালার ওপর। এরপর আহত পাতাওয়ালা সুরেশ টিজ্ঞাকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে তার মৃত্যু হয়।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বনদফতর।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন সালে অক্টোবর মাস ৩১ নয়, ২১ দিনে হয়েছিল? কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল ১০ দিন? সত‍্যিটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে

অপরদিকে, এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এ নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ বনকর্তারা। মৃত পাতাওয়ালা এক বছর ধরে এই কাজে কর্মরত ছিলেন বলেও দাবি বনদফতর সূত্রে খবর। এ বিষয়ে জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও পারভীন কশোয়ান জানান, ‘এখনই কিছু বলা যাবে না, তদন্ত চলছে।’

Annanya Dey

Unknown Animal Attack: অজানা জন্তুর আক্রমণ! হঠাৎ উদয় হয়ে পরপর কামড়, আতঙ্কে কাঁপছে গোটা গ্রাম

কোচবিহার: আচমকাই এক অজানা জন্তুর আক্রমণে আহত হলেন দু’জন। এদিন এক মহিলা তাঁর বাড়ির পিছনদিকে উনুনে জ্বাল দেওয়ার জন্য খড় আনতে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই এক অজানা জন্তু আক্রমণ করে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ওই মহিলার পরিবারের আরেক সদস্য‌ও আক্রান্ত হন।

তাঁদের দু’জনের চিৎকার শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি। তবে তিনি এসে সেখানে কিছুই দেখতে পাননি। এরপর দ্রুত আহত দু’জনকে উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে হানাবাড়ি বলে ভ্রম হতে পারে! আতঙ্ক নিয়েই চলছে পড়াশোনা

অজানা জন্তুর এই আক্রমণ প্রসঙ্গে আক্রান্তদের এক পরিজন সম্রাট ঘোষ জানান, তিনি পাশেই এক দোকানে বসেছিলেন। তখনই এক শিশুর চিৎকারের আওয়াজ শুনে তিনি তড়িঘড়ি ছুটে যান। সেখানে দেখতে পান একটি অজানা জন্তু সেই শিশুটির পা কামড়ে ধরেছে। পরবর্তীতে সেই শিশুটি তাঁর পাশে পড়ে থাকা একটি লাঠি দিয়ে জন্তুটিকে আঘাত করে। ঠিক তখনই তাকে ছেড়ে আরেকজন ব্যক্তিকে কামড়ায় সেই অজানা জন্তুটি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত মহিলা জানান, জন্তুটিকে দেখতে অনেকটা চিতাবাঘের মত। তবে সেটি আদৌ চিতা বাঘ কি না সে বিষয়ে কোনও প্রমাণ তাঁর কাছে নেই। তবে জন্তুটির আক্রমণে তাঁরা বেশ অনেকটাই জখম হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা রীতিমত আতঙ্কে আছেন। বাচ্চাদের বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে এখনও পর্যন্ত বন দফতরের পক্ষ থেকে সেই আক্রমণ চিতাবাঘের কিনা সেই বিষয়ে কোন‌ও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

সার্থক পণ্ডিত

Bison Attack: বাড়ির গরু ভেবে সামনে যেতেই আঁতকে উঠলেন কৃষক!

জলপাইগুড়ি: সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে বাইসনের গুঁতোয় আহত হয়েছেন এক বনকর্মী। সেই ছবি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। কদিন যেতে না যেতেই বৃহস্পতিবার সেইরকমই একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল ধুপগুড়িতে। ফের লোকালয়ে দেখা মিলল বাইসনের।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সাত সকালে এলাকার চাষের জমিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল একটি বাইসন। গৃহপালিত গরুর সঙ্গে মিশে যাওয়ায় তাকে সহজে আলাদা করাটাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায় কৃষকদের কাছে। এমনিতে বাইসন গৃহপালিত গরুর তুলনায় আকারে বড় হলেও দূর থেকে চেনা বেশ মুশকিল। ফলে এদিন বুঝতে না পেরে বাড়ির মালিক গৃহপালিত গরু মনে করে ওই বাইসনকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে গিয়ে হঠাৎই বুঝতে পারেন সেটা গরু নয়! সঙ্গে সঙ্গে বিপদ আঁচ করে ওই ব্যক্তি কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।

আর‌ও পড়ুন: ঘুম ভেঙে পবিত্র চিত্তে সাত সকালে গঙ্গার ঘাটে যেতেই চমক, কী ভয়ঙ্কর কাণ্ড!

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ধুপগুড়ির ঝাড় আলতা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত ও ঝাড় আলতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার কথা চাউর হতেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। জানা যায়, এদিন সকালে প্রথমে মধ্য ডাউকিমারি এলাকায় বাইসনের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। তারপরই সেটা এখানে চলে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।

সুরজিৎ দে

সাপ-বিছের থেকেও ভয়ঙ্কর…! প্রতিবছর ১০ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নেয় এই ‘প্রাণী’! গ্রীষ্মকাল এলেই ঘরে ঘরে বাড়তে থাকে সংখ্যায়

সাপ, বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, বিছে এই সব প্রাণীকে সাধারণত মানব জীবনের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না আমাদের চারপাশে আমাদের বাড়িতেই বংশবৃদ্ধি করছে এমন একটি প্রাণী যা বাঘ-সিংহের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর এবং মারাত্মক। বলুন তো দেখি এই প্রাণীটি আসলে কী এবং কেন এটি বন্য প্রাণীর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক?
সাপ, বাঘ, সিংহ, চিতাবাঘ, বিছে এই সব প্রাণীকে সাধারণত মানব জীবনের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না আমাদের চারপাশে আমাদের বাড়িতেই বংশবৃদ্ধি করছে এমন একটি প্রাণী যা বাঘ-সিংহের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর এবং মারাত্মক। বলুন তো দেখি এই প্রাণীটি আসলে কী এবং কেন এটি বন্য প্রাণীর চেয়েও বেশি বিপজ্জনক?
সাপ, সিংহ, চিতাবাঘ, বাঘ ও বিছের চেয়েও ভয়ঙ্কর একটি প্রাণীর প্রতিদিন মুখোমুখি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। শুধু তাই নয়, এই ভয়ঙ্কর প্রাণীটির সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসও করে থাকে মানুষ।
সাপ, সিংহ, চিতাবাঘ, বাঘ ও বিছের চেয়েও ভয়ঙ্কর একটি প্রাণীর প্রতিদিন মুখোমুখি হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। শুধু তাই নয়, এই ভয়ঙ্কর প্রাণীটির সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসও করে থাকে মানুষ।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী হল আমাদের বাড়িতে আমাদের চোখের সামনে হামেশাই উড়ে বেড়ানো মশা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতি বছর শুধু মশার কামড়ে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী হল আমাদের বাড়িতে আমাদের চোখের সামনে হামেশাই উড়ে বেড়ানো মশা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতি বছর শুধু মশার কামড়ে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর সারা বিশ্বে সাপের কামড়ে দেড় লাখ মানুষ মারা যায়। আবার কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগে বিশ্বে প্রতি বছর ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ রিপোর্টে দাবি, সিংহ, চিতাবাঘ বা বাঘের আক্রমণেও প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী এত বেশি মৃত্যু হয় না। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে মাত্র কয়েক হাজার মানুষ এই বন্য প্রাণীদের আক্রমণে প্রাণ হারায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর সারা বিশ্বে সাপের কামড়ে দেড় লাখ মানুষ মারা যায়। আবার কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগে বিশ্বে প্রতি বছর ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। অথচ রিপোর্টে দাবি, সিংহ, চিতাবাঘ বা বাঘের আক্রমণেও প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী এত বেশি মৃত্যু হয় না। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে মাত্র কয়েক হাজার মানুষ এই বন্য প্রাণীদের আক্রমণে প্রাণ হারায়।
রিপোর্ট বলছে, ছোট শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক প্রমাণিত হয় ম্যালেরিয়া। WHO -এর মতে, আফ্রিকায় ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর ৮০ শতাংশই ঘটে ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের।
রিপোর্ট বলছে, ছোট শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক প্রমাণিত হয় ম্যালেরিয়া। WHO -এর মতে, আফ্রিকায় ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর ৮০ শতাংশই ঘটে ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের।
এ ছাড়া ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস এবং ফাইলেরিয়াসিসের মতো বিপজ্জনক রোগও ছড়ায় মশার মাধ্যমে। এগুলির কারণেও প্রতিবছর গোটা বিশ্বে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস এবং ফাইলেরিয়াসিসের মতো বিপজ্জনক রোগও ছড়ায় মশার মাধ্যমে। এগুলির কারণেও প্রতিবছর গোটা বিশ্বে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
মশার বংশবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জল। একই সঙ্গে মানুষও জলের উপর নির্ভরশীল। এমতাবস্থায় দুজনকেই কার্যত একে অপরের সঙ্গে থাকতে বাধ্য হতে হয়। স্ত্রী মশার বংশবৃদ্ধির জন্য মানুষের রক্ত ​​চুষে খাওয়া প্রয়োজন।
মশার বংশবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জল। একই সঙ্গে মানুষও জলের উপর নির্ভরশীল। এমতাবস্থায় দুজনকেই কার্যত একে অপরের সঙ্গে থাকতে বাধ্য হতে হয়। স্ত্রী মশার বংশবৃদ্ধির জন্য মানুষের রক্ত ​​চুষে খাওয়া প্রয়োজন।
আর এই স্ত্রী মশা যখন মানুষের ত্বকে হুল ঢুকিয়ে রক্ত ​​চুষে খায়, তখন এটি জীবাণুগুলিকে একজনের রক্তপ্রবাহ থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে স্থানান্তরিত করে। এতে ম্যালেরিয়া-সহ একাধিক সংক্রামক রোগ হতে পারে বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
আর এই স্ত্রী মশা যখন মানুষের ত্বকে হুল ঢুকিয়ে রক্ত ​​চুষে খায়, তখন এটি জীবাণুগুলিকে একজনের রক্তপ্রবাহ থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে স্থানান্তরিত করে। এতে ম্যালেরিয়া-সহ একাধিক সংক্রামক রোগ হতে পারে বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

Bison Attack: ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই বাইসনের আতঙ্ক, গুঁতোয় জখম একের পর এক গ্রামবাসী

কোচবিহার: শুক্রবার প্রথম দফার নির্বাচনে ভোট হয়েছে কোচবিহার কেন্দ্রে। উত্তরবঙ্গের যে তিনটি আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল এই কোচবিহার। নির্বাচনের পরেও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। সেই নিয়ে সর্বত্র একটা আতঙ্ক ছিলই। কিন্তু সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বন্য জন্তুর আতঙ্ক মাথাভাঙায়।

শনিবার বাইসনের হানায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মাথাভাঙা শহরে। এদিন সকালে পঞ্চানন মোড় সংলগ্ন এলাকায় বাইসনটিকে প্রথম দেখেন স্থানীয়রা। বাইসনটিকে দেখতে ভিড় করতে শুরু করেন অনেকে। তখনই সেটি চলে যায় মধ্য বাইশগুড়ি এলাকায়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর বাইসনটি পৌঁছায় বড় কাউয়ার ডারা এলাকায়। আর সেখানেই শুরু করে নিজের তাণ্ডব। দ্রুত খবর পাঠানো হয় মাথাভাঙা বন দফতরের কর্মীদের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরা।

আর‌ও পড়ুন: মাত্র ২০ মিনিটেই ১ বিঘা জমির ধান কেটে ঝাড়াই হয়ে গোলায় উঠে যাচ্ছে!

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আচমকাই এলাকায় একটি বাইসন ঢুকে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু লোক মাঠে কাজ করছিলেন। তাঁরা সেখানেই আক্রান্ত হন। আবার অনেকেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘর থেকে বেরোতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন বাইসনের গুঁতোয় জখম হন মধ্য বাইশগুড়ি এলাকার চার গ্রামবাসী। জখমরা হলেন অর্চনা সূত্রধর, ঊষারানী ভদ্র, মল্লিকা বিশ্বাস ও গৌতম বিশ্বাস। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁরা সেখানেই চিকিৎসাধীন।

কোচবিহারের সহ বন-অধিকর্তা বিজন কুমার নাথ জানান, আচমকাই বাইসনটি লোকালয়ে প্রবেশ করায় আতঙ্ক ছড়ায়। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করার পর বন কর্মীরা ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাইসনটিকে কাবু করতে সক্ষম হন। তারপর সেটিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরনিকটবর্তী পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সার্থক পণ্ডিত