নদিয়া: উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহল নয়, এবার রানাঘাট লোকসভায় হাতির হানা! তবে এ হাতি মানে না কোনও জোট, সে একাই একশো। এটাই দুর্দম গতিতে এগিয়ে চলার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সে। সেই লক্ষ্যেই রানাঘাট লোকসভায় ‘বহেনজি’ মায়াবতীর দল বিএসপির প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লব বিশ্বাস। উল্লেখ্য বহুজন সমাজবাদী পার্টি বা বিএসপির প্রতীক হল হাতি।
ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৮৪ সালে বহুজন সমাজবাদী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কাশীরাম। ১৯৮৯ এর সাধারণ নির্বাচনে বিএসপি প্রথম হাতি চিহ্ন নিয়ে নির্বাচনী লড়াই অংশগ্রহণ করে। জয়লাভ করেছিল তিনটি আসনে। তবে ভি পি সিং, চন্দ্রশেখর, নরসিংহ রাও, আই কে গুজরাল এমনকি পরবর্তীতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিজেপি সরকারকে পর্যন্ত সমর্থন করেনি সরকার গড়ার ক্ষেত্রে। যদিও ১৯৯৩-এর উত্তর প্দেশ নির্বাচনে ৬৭ টি আসন পেয়ে বিজেপির সমর্থনে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন মায়াবতী। এরপরে আরও দুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি, তবে তা ক্ষণস্থায়ী। শেষবার ২০০৭ সালে ২০৬ টি আসনে জিতে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মায়াবতী। যদিও তার ওর থেকে তার দলের যেন পতন শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বেশ কোণঠাসা মায়াবতী ও তাঁর দল। তবে ভারতীয় রাজনীতিতে বিএসপির প্রভাব যথেষ্টই আছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মত রাজ্যগুলিতে ভাল পরিমাণ ভোট আছে দলটির।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের মধ্যেই কাকদ্বীপে কেটে ফেলা হল হাজার হাজার গাছ!
তবে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের ৮০ টি আসনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রেই এবার প্রার্থী দিয়েছে বহুজন সমাজবাদী পার্টি। সেই লক্ষ্যেই রানাঘাটে তাঁদের প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লব বিশ্বাস। স্বল্প সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়েই তিনি জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন। পরিস্থিতিতে বহুজন সমাজবাদী পার্টি দলিত ভোট বেশি করে পেলে অন্য কোন হেভিওয়েটের কপাল পুড়তে পারে।
মৈনাক দেবনাথ