Tag Archives: Mayawati

মায়াবতী: জীবন, সাফল্য, কেরিয়ার একনজরে!

পুরো নাম

কুমারী মায়াবতী।

জন্ম

১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে।

পরিবার

মায়াবতী অবিবাহিতা।

বাবা – শ্রী প্রভু দাস

মা – শ্রীমতী রাম রাঠি।

রাজনৈতিক দল

বহুজন সমাজ পার্টি। 

মায়াবতী সম্পর্কে

রাজনৈতিক মহল তাঁকে চেনে ‘বহেনজি’ নামে। বর্তমানে বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো। চারবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৪ সালে বসপা-র প্রতিষ্ঠা করেন কাঁসিরাম। সেই সময় থেকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মায়াবতী। পরবর্তীকালে দলের সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন। বহুজন সমাজ পার্টি অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং অনগ্রসর শ্রেণীর সঙ্গে বহুজন বা দলিতদের উন্নতি, উন্নয়ন এবং কল্যাণের জন্য তৈরি হয়েছিল।

২০১২ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর ৭ মার্চ দলীয় নেতার পদ থেকে ইস্তফা দেন মায়াবতী। তারপর সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন।

মায়াবতীই প্রথম দলিত মহিলা যিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি দলিতদের আইকন। শুধু উত্তর প্রদেশবাসী নয় জাতীয় রাজনীতিতেও তাঁর পরিচয় ‘বহেনজি’ নামে। দলীয় নেত্রী হিসেবে বহুজন সমাজ পার্টির জন্য বিপুল তহবিল সংগ্রহ করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর।

ব্যক্তিগত এবং পেশাদারি পরিচয়

১৯৫৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মায়াবতী দিল্লির শ্রীমতী সুচেতা কৃপলানি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রভু দাস গৌতম বুদ্ধ নগরের বদলপুরে ডাক বিভাবের কর্মী ছিলেন। মা মায়া রাঠি গৃহবধূ। ১৯৭৫ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কালিন্দী মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন মায়াবতী। ১৯৭৬ সালে গাজিয়াবাদের ভিএমএলজি কলেজ থেকে বিএড করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন এলএলবি।

রাজনীতিতে প্রবেশ

বিএড শেষ করার পর কিছুদিন প্রাইভেট টিউশনি করেছেন মায়াবতী। সেই সময় আইএএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর জীবন বার বার বাঁক বদল করেছে। ১৯৭৭ সালের কোনও এক সময় মায়াবতীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন কাঁসিরাম। সেই সময় তিনি ছিলেন দলিত রাজনীতির প্রধান মুখ। মায়াবতীর স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা এবং কথা বলার ধরনে আকৃষ্ট হন। কাঁসিরাম। বলা যায়, তিনিই মায়াবতীকে রাজনৈতিক গুরু। ১৯৮৪ সালে বহুজন সমাজ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন কাঁসিরাম। তাঁর দলে যোগ দেন মায়াবতী। ভারতীয় রাজনীতিতে এটাই মায়াবতীর আনুষ্ঠানিক প্রবেশ। ১৯৮৯ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মায়াবতী। ২০০৬ সালে প্রয়াত হন কাঁসিরাম। সন্তানের মতো তাঁর শেষকৃত্য করেন মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এটা ছিল বহুল আলোচিত একটা ঘটনা। কারণ, হিন্দু ধর্মে প্রয়াত ব্যক্তির শেষকৃত্য করেন কোনও পুরুষ। সে দিক থেকে মায়াবতীর এই পদক্ষেপ ছিল লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ।

রাজনৈতিক জীবন

১৯৯৫ সালে উত্তরপ্রদেশের তৃতীয় এবং ভারতের প্রথম দলিত মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস তৈরি করেন মায়াবতী। ১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০০২ সালের ৩ মে তৃতীয়বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মায়াবতী। ২০০৭ সালে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। একাধিকবার লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন। ২০১২ সালের বিধানসভা ভোটে হারের মুখ দেখে বসপা। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে কমতে থাকা ‘মায়া ম্যাজিক’।

Mayawati removes nephew Akash Anand: ভাইপো আনন্দকে হঠাৎ দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দিলেন, ভোটের মধ্যেই মায়াবতীর সিদ্ধান্তে জোর জল্পনা

লখনউ: নিজের ভাইপো আকাশ আনন্দকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দিলেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী৷ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই মায়াবতীর এই সিদ্ধান্তে উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ মায়াবতী অবশ্য দাবি করেছেন, রাজনীতিতে পরিণত হলেই ভাইপোকে দলীয় পদে ফিরিয়ে আনবেন তিনি৷

গতকাল মায়াবতী নিজেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান৷ তিনি লেখেন, ‘আকাশ আনন্দকে আমি বিএসএপি সর্বভারতীয় আহ্বায়ক পদে বসিয়েছিলাম এবং আমার উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেছিলাম৷ কিন্ত দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি এই দুই দায়িত্ব থেকেই তাকে অব্যাহতি দিলাম, যতক্ষণ না সে পরিণত হচ্ছে৷’

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মধ্যেই বড় ধাক্কা বিজেপির, হরিয়ানায় সঙ্কটে নায়েব সিং সরকার

একই সঙ্গে মায়াবতী যোগ করেন, ‘সবাই জানে যে বিএসপি আন্দোলনের মাধ্যমেই বি আর আম্বেদকরকে সম্মান জানিয়ে এসেছে এবং সামাজিক সংস্কারের জন্য আমি এবং কাঁসি রামজি সেই লক্ষ্যেই নিজেদের জীবন সমর্পণ করেছি৷ নতুন প্রজন্মকেও সেই আন্দোলনে গতি আনতে হবে৷’

তবে মায়াবতী জানিয়েছেন, আকাশের বাবা আনন্দ কুমার আগের মতোই বিএসপির হয়ে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন৷ তবে মায়াবতীর ব্যাখ্যার পরেও এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিএসপি-র অভ্যন্তরের অন্য কোনও অঙ্ক আছে কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে৷

সম্প্রতি মায়াবতীর ভাইপো সহ চারজনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করে নির্বাচন কমিশন৷ তার পর পরই এই সিদ্ধান্ত নিলেন মায়াবতী৷

Lok Sabha Election 2024: ভোটের রানাঘাটে এবার হাতির হানা! কাটাকুটির অঙ্কে চাপে রাম-বাম-জোড়া ফুল

নদিয়া: উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহল নয়, এবার রানাঘাট লোকসভায় হাতির হানা! তবে এ হাতি মানে না কোনও জোট, সে একাই একশো। এটাই দুর্দম গতিতে এগিয়ে চলার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সে। সেই লক্ষ্যেই রানাঘাট লোকসভায় ‘বহেনজি’ মায়াবতীর দল বিএসপির প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লব বিশ্বাস। উল্লেখ্য বহুজন সমাজবাদী পার্টি বা বিএসপির প্রতীক হল হাতি।

ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৮৪ সালে বহুজন সমাজবাদী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কাশীরাম। ১৯৮৯ এর সাধারণ নির্বাচনে বিএসপি প্রথম হাতি চিহ্ন নিয়ে নির্বাচনী লড়াই অংশগ্রহণ করে। জয়লাভ করেছিল তিনটি আসনে। তবে ভি পি সিং, চন্দ্রশেখর, নরসিংহ রাও, আই কে গুজরাল এমনকি পরবর্তীতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর বিজেপি সরকারকে পর্যন্ত সমর্থন করেনি সরকার গড়ার ক্ষেত্রে। যদিও ১৯৯৩-এর উত্তর প্দেশ নির্বাচনে ৬৭ টি আসন পেয়ে বিজেপির সমর্থনে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন মায়াবতী। এরপরে আর‌ও দুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি, তবে তা ক্ষণস্থায়ী। শেষবার ২০০৭ সালে ২০৬ টি আসনে জিতে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মায়াবতী। যদিও তার ওর থেকে তার দলের যেন পতন শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বেশ কোণঠাসা মায়াবতী ও তাঁর দল। তবে ভারতীয় রাজনীতিতে বিএসপির প্রভাব যথেষ্টই আছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মত রাজ্যগুলিতে ভাল পরিমাণ ভোট আছে দলটির।

আর‌ও পড়ুন: তাপপ্রবাহের মধ্যেই কাকদ্বীপে কেটে ফেলা হল হাজার হাজার গাছ!

তবে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের ৮০ টি আসনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রেই এবার প্রার্থী দিয়েছে বহুজন সমাজবাদী পার্টি। সেই লক্ষ্যেই রানাঘাটে তাঁদের প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লব বিশ্বাস। স্বল্প সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়েই তিনি জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন। পরিস্থিতিতে বহুজন সমাজবাদী পার্টি দলিত ভোট বেশি করে পেলে অন্য কোন হেভিওয়েটের কপাল পুড়তে পারে।

মৈনাক দেবনাথ

Women CM: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো পশ্চিমবঙ্গের প্রথম, বলুন তো দেশের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কে? উত্তর দিতে হিমশিম অনেকেই

এখন পর্যন্ত ১৬ জন মহিলা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে, ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের মাঝে শুধু পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নারী। এখন পর্যন্ত ভারতে ১৩টি রাজ্যে নারীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ১৬ জন মহিলা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে, ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের মাঝে শুধু পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নারী। এখন পর্যন্ত ভারতে ১৩টি রাজ্যে নারীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
এর মধ্যে তামিলনাড়ু, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে দুজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন পাঁচজন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, চারজন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং দুইজন সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গমের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হন।
এর মধ্যে তামিলনাড়ু, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে দুজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন পাঁচজন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, চারজন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং দুইজন সর্বভারতীয় আন্না দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গমের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হন।
ভারতে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যাঁরা হয়েছেন, তাঁরা হলেন, সুচেতা কৃপালিনী, নন্দিনী শতপতি, শশিকলা কাকোড়কার, সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর, ভি এন জনকী, জয়ললিতা জয়রাম, মায়াবতী, রাজিন্দর কাউর ভাট্টাল, রাবড়ি দেবী, সুষমা স্বরাজ, শীলা দীক্ষিত, উমা ভারতী, বসুন্ধরা রাজে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মেহবুবা মুফতি।
ভারতে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যাঁরা হয়েছেন, তাঁরা হলেন, সুচেতা কৃপালিনী, নন্দিনী শতপতি, শশিকলা কাকোড়কার, সৈয়দা আনোয়ারা তৈমূর, ভি এন জনকী, জয়ললিতা জয়রাম, মায়াবতী, রাজিন্দর কাউর ভাট্টাল, রাবড়ি দেবী, সুষমা স্বরাজ, শীলা দীক্ষিত, উমা ভারতী, বসুন্ধরা রাজে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মেহবুবা মুফতি।
অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সকলের মধ্যে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন সুচেতা কৃপালিনী। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সকলের মধ্যে প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন সুচেতা কৃপালিনী। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
তিনিই ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত তিনি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪২-তে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তার আগে ১৯৪০-তে কংগ্রেসের মহিলা শাখা তৈরি করেন সুচেতা কৃপালিনী।

তিনিই ছিলেন ভারতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত তিনি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪২-তে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও তার আগে ১৯৪০-তে কংগ্রেসের মহিলা শাখা তৈরি করেন সুচেতা কৃপালিনী।
তিনি বৃটিশ ভারতের পঞ্জাবের অধুনা হরিয়ানার আম্বালায় এক ব্রাহ্ম-পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পঞ্জাব-প্রবাসী ডাক্তার সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার। পাঞ্জাবের লাহোর শহরে শিক্ষারম্ভ হলেও পিতার বদলির চাকরির জন্য তাঁকে বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন স্কুলে যেতে হয়েছিল।
তিনি বৃটিশ ভারতের পঞ্জাবের অধুনা হরিয়ানার আম্বালায় এক ব্রাহ্ম-পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা পঞ্জাব-প্রবাসী ডাক্তার সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার। পাঞ্জাবের লাহোর শহরে শিক্ষারম্ভ হলেও পিতার বদলির চাকরির জন্য তাঁকে বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন স্কুলে যেতে হয়েছিল।
তবে তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ পড়াশোনা করে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এম.এ পাশ করেন। তাঁর ছাত্রাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সে সময় জাতীয়তাবাদী ভাবনায় দেশবাসী উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তিনিও কেবল দৃঢচেতা মানসিক শক্তি নিয়ে জন্মান নি, তার মধ্যে অনুকরণীয় নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রকট ছিল।

তবে তিনি দিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজ পড়াশোনা করে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এম.এ পাশ করেন। তাঁর ছাত্রাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সে সময় জাতীয়তাবাদী ভাবনায় দেশবাসী উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তিনিও কেবল দৃঢচেতা মানসিক শক্তি নিয়ে জন্মান নি, তার মধ্যে অনুকরণীয় নেতৃত্বের গুণাবলীর প্রকট ছিল।
স্বাধীনতার পর তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৫২ সালে তিনি নতুন দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী মনমোহন সেহগলকে পরাস্ত করে কিষাণ মজদুর প্রজা পার্টি'র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন।

স্বাধীনতার পর তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৫২ সালে তিনি নতুন দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী মনমোহন সেহগলকে পরাস্ত করে কিষাণ মজদুর প্রজা পার্টি’র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন।
এক বছর আগে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত অল্প সময়ের এই দলে যোগদান করেন। পাঁচ বছর পর ওই কেন্দ্র থেকেই পুনঃনির্বাচিত হন কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে। ১৯৬৭ সালে শেষবারের মতো উত্তর প্রদেশের গোণ্ডা লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন।
এক বছর আগে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত অল্প সময়ের এই দলে যোগদান করেন। পাঁচ বছর পর ওই কেন্দ্র থেকেই পুনঃনির্বাচিত হন কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে। ১৯৬৭ সালে শেষবারের মতো উত্তর প্রদেশের গোণ্ডা লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন।
ইতিমধ্যে তিনি উত্তর প্রদেশের বিধানসভার সদস্য হন। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের শ্রম, সমষ্টি উন্নয়ন ও শিল্প দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।
ইতিমধ্যে তিনি উত্তর প্রদেশের বিধানসভার সদস্য হন। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের শ্রম, সমষ্টি উন্নয়ন ও শিল্প দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।
১৯৬৩ সালের অক্টোবরে তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। ভারতের কোনও রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তাঁর সময়কালে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৬২ দিনের ধর্মঘটের মোকাবিলা করাটা ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

১৯৬৩ সালের অক্টোবরে তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। ভারতের কোনও রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তাঁর সময়কালে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৬২ দিনের ধর্মঘটের মোকাবিলা করাটা ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
যখন কংগ্রেস ভাগ হয়, তখন তিনি মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে সংগঠন কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং সংগঠন কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে ১৯৭১ সালে ফৈজাবাদ লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হন। ১৯৭১ সালেই তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নির্জনে কাটিয়েছন।
যখন কংগ্রেস ভাগ হয়, তখন তিনি মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে সংগঠন কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং সংগঠন কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে ১৯৭১ সালে ফৈজাবাদ লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হন। ১৯৭১ সালেই তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নির্জনে কাটিয়েছন।