জলপাইগুড়ি: জীবন গড়ার লক্ষ্যের মাঝে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাভাব। টাকার অভাবে স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না মেধাবী মেয়েটি। নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসারে স্বপ্নের নাগাল পেতে প্রয়োজন টাকার। তা ফের প্রমাণ হল তথাকথিত প্রগতিশীল এই সমাজে। মাত্র ৩০০ টাকার জন্য আটকে গেল ডুয়ার্সের বন বস্তিবাসী এক পড়ুয়ার স্কুলে ভর্তি। ভেঙে চুরমার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন।
জলপাইগুড়ি সংলগ্ন আদিবাসী অধ্যুষিত বন বস্তির নবম শ্রেনীর ছাত্রী স্বপ্না ওঁরাওয়ের রোজকার জীবন কাটে কঠিন লড়াই করে। নেই বাবা-মা কেউ। দাদা-বোনের সংসারে দাদার অদম্য পরিশ্রমের জোরেই বড় হয়ে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখে স্বপ্না। দাদা চা বাগানের শ্রমিক। মজুরি হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই কোনও রকমে পেট চালিয়ে চলে বোনের পড়াশোনার খরচ।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর বাদে ভোট দিলেন শতায়ু! বাড়িতে বসেই বাজিমাত করলেন বৃদ্ধা
আরও পড়ুন: জেলা জুড়ে কমছে কলেজে ভর্তির হার! ভিড় বাড়ছে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে
ছোট থেকেই স্বপ্নার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে দাদাও চেয়েছিলেন উচ্চশিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক বোনের জীবন। তাই কষ্ট হলেও চালিয়ে গিয়েছেন বোনের পড়াশোনার যাবতীয় খরচ। এভাবে স্থানীয় পানবাড়ীর একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণী অবধি পড়াশোনা করলেও এবারে মাত্র ৩০০ টাকার কমতি হওয়ায় নবম শ্রেণীতে ভর্তিই হতে পারল না স্বপ্না। এবারে যেন লড়াই থেকে পিছু হটতে হবে স্বপ্নাকে। স্বভাবতই দিশেহারা দাদা- বোন।
সুরজিৎ দে