বেহাল অবস্থা 

Bangla Video: যেন ভুতুড়ে বাড়ি! স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে রোগ সারার বদলে….

পূর্ব বর্ধমান: স্বাস্থ্যকেন্দ্র না ভূতুড়ে বাড়ি! দেখলে ধরতে পারবেন না আপনি। চূড়ান্ত অব্যবস্থার চিহ্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সর্বত্র। ভেঙে পড়ছে ছাদ, ফাটল ধরেছে দেওয়ালের গায়েও। আগাছায় ভরে গিয়েছে চতুর্দিক। এতক্ষণ যে বিবরণ শুনলেন তা পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত চন্দ্রপুরের সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।

মালডাঙা কাটোয়া রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। বাইরে থেকে এক ঝলক দেখলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বলে মনেও হবে না। কার্যত ভূতুড়ে বাড়ির চেহারা নিয়েছে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। স্থানীয় ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, আগে বেডের ব্যবস্থা ছিল এখানে। সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসাও হত।কিন্তু এখন সেসবই অতীত। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, আমি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু আমাকে ডাক্তারবাবু না থাকার জন্য চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সীমান্তে চোরাচালান রুখবে মৌমাছি!

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিল্ডিং-এর শুধু যে বেহাল দশা তা নয়, সার্বিক পরিকাঠামোই ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। এমনকি নেই নির্দিষ্ট কর্মী। চন্দ্রপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যে নির্দিষ্ট কর্মীদের থাকার প্রয়োজন তার সংখ্যাও কম। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী ফার্মাসিস্ট চিরঞ্জিত পন্ডিত বলেন, আমি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী ফার্মাসিস্ট। অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আমি স্থায়ী কর্মী হিসাবে ডিউটি করি। কিন্তু আমাকে এখানে সপ্তাহে দু’দিন করে আসতে হয়। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশ কিছু স্টাফের প্রয়োজন রয়েছে। যদি স্থায়ী স্টাফের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে খুবই ভাল হয়।

চন্দ্রপুর সহ আশপাশ এলাকার বহু মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার জন্য আসেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে। তবে মাঝে মধ্যেই চিকিৎসক না থাকায় ফিরেও যেতে হয় অনেককে। সবমিলিয়ে বেহাল অবস্থা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। স্থানীয়রা বিষয়টি সব জায়গায় জানালেও এখনও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী