Tag Archives: Health Center

Bangla News: বাংলার একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেখানে চিকিৎসক-নার্স সকলেই মহিলা! কোথায় বলুন তো?

আলিপুরদুয়ার: এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালিত হয় মহিলাদের দিয়ে। কোন পুরুষ কর্মী না থাকায় দুপুর গড়ালেই বন্ধ হয়ে যায় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকা জয়গাঁতে রয়েছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

এই এলাকাতে নেই কোনও হাসপাতাল। জয়গাঁবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে আসছে জয়গাঁ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। তবে, অবাক করার বিষয় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালান মহিলারা। আরজি করের ঘটনার পর যেখানে মহিলাদের কর্মস্থলের সুরক্ষা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে। সেখানে হয়ত এই মহিলারা দৃষ্টান্ত। জয়গাঁ এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে ৮ হাজার বাসিন্দা নির্ভরশীল এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর। হাসপাতাল না হলেও, যতটা সম্ভব প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সবথেকে বড় বিষয় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালিয়ে যাচ্ছেন চার জন মহিলা মিলে।

আরও পড়ুনঃ ‘স্বস্তি পেয়েছি, তবে…’ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর বড় দাবি নির্যাতিতার পরিবার

স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছেন ৩ জন নার্স ও একজন মহিলা চিকিৎসক। ঘড়ির কাটায় সকাল ৯ টা বাজতেই ভিড় জমে যায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গেটের সামনে। দুপুর দুটো, আড়াইটা পর্যন্ত লাগাতার কাজ। টেবিলে একবার বসলে মাথা তুলে তাকানোর সময় পর্যন্ত পান না তাঁরা। শিশুদের টিকা, গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অন্যান্য শারীরিক অসুবিধা নিয়ে আসা মানুষদের সঙ্গে কথা বলা, ওষুধ বুঝিয়ে দেওয়া সবটা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে ওঠেন নার্সরা।

এই বিষয়ে নার্স প্রিয়াঙ্কা মঙ্গরাতি জানান, “আমার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে যতটুকু জানি সব রোগী এক নয়। পরিজনেরা কখনও সমান হন না। কিছু রোগী একটু বুঝিয়ে দিলেই বোঝে, বাকিদের হাজারবার বললেও বুঝবে না। উল্টে তর্ক করবে, নিয়ম মাফিক চলবে না পরে কিছু হলে আমাদের উপর দোষ দিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝামেলা শুরু করে।”

আরও পড়ুনঃ ভাঙবে সব রেকর্ড! ধেয়ে আসছে ঘাতক ‘এল নিনো’! তছনছ হবে গোটা দেশ? জানুন আপডেট

জয়গাঁও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেখানে অবস্থিত সেখানে সুরক্ষার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। মাঝে মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার জয়গাঁ ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসানো হয়েছে ৬ টি সিসি টিভি ক্যামেরা। যার জন্য একটু নিশ্চিন্ত চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সরা। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক নম্রতা বিশ্বাস জানিয়েছেন, “এই প্রান্তিক এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং। আমরা কীভাবে কাজ করে যাচ্ছি, সেই অভিজ্ঞতাগুলি একান্তই আমাদের। আমাদেরও নরমে গরমে রোগী ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে হয়।”

Annanya Dey

South 24 Parganas News: স্বাস্থ্যকেন্দ্র না ভুতুড়ে বাড়ি! সুন্দরবনের মানুষকে চিকিৎসা পেতে ছুটতে হচ্ছে ৩৫ কিমি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভুতুড়ে বাড়ি। ঘাস, আগাছার জঙ্গলে ঢেকেছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিদিনই সাপ, কীটপতঙ্গের উপদ্রব বাড়ছে। পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা সর্বক্ষণ সাপের আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকেন। চিকিৎসা পরিষেবা একেবারে তলানিতে পৌঁছেচে। নিত্যদিন মানুষকে এর জন্য ৩৫ কিলোমিটার দূরে জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। এমনই চিত্র কুলতলি ব্লকের মৈপীঠের ভুবনেশ্বরী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন কারও নজর নেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে। যার জেরে প্রয়োজনীয় সুবিধা না পেয়ে গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ।

আরও পড়ুন: রাতে একসঙ্গে খেতে বসেছিল সবাই, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মাটির দেওয়াল! নিমেষে শেষ

এই প্রসঙ্গে গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু প্রধান বলেন, সত্যি খুব খারাপ অবস্থা। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সব জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আর কুলতলির বিধায়ক বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর গুড়গুড়িয়া-ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের মানুষ নির্ভরশীল। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দশাও একেবারে শোচনীয়। ঘরের ছাদ থেকে জল পড়ে। দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০টি শয্যা আছে। তার অবস্থা ও খারাপ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢোকার রাস্তার দু’পাশ জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ঘাস, আগাছায় – রাস্তাটুকু ঢেকে গিয়েছে। একজন ফার্মাসিস্ট, একজন নার্স, একজন চিকিৎসক আছেন এখানে।

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! রিলস বানাতে গিয়ে জলে ঝাঁপ, ঘটে গেল বিরাট অঘটন, নাবালকের নির্মম পরিণতি!

ভুক্তভোগী রোগীরা বলেন, খুব খারাপ অবস্থা কয়েক বছর ধরে চলছে। সাপের ভয়ে অনেকে এখানে আসতে পারেন না। পঞ্চায়েত থেকে পরিষ্কারও করে দেয় না। এখানে ঠিকমতো চিকিৎসা পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় না ওষুধও। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র যে কোনও দিন ভেঙে পড়বে। সপ্তাহে সোমবার থেকে বুধবার একজন চিকিৎসকের আসার কথা। তাও ঠিকমতো তিনি আসেন না। বাকি দিন পরিষেবা দেয় ফার্মাসিস্ট ও নার্স। তারপরে নার্স না এলে ফার্মাসিস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেকে চলে যান। রোগের বাড়াবাড়ি হলে গাড়ি ভাড়া করে সাধারণ মানুষকে ৩৫’ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। অবিলম্বে প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুমন সাহা

Bangla Video: যেন ভুতুড়ে বাড়ি! স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে রোগ সারার বদলে….

পূর্ব বর্ধমান: স্বাস্থ্যকেন্দ্র না ভূতুড়ে বাড়ি! দেখলে ধরতে পারবেন না আপনি। চূড়ান্ত অব্যবস্থার চিহ্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সর্বত্র। ভেঙে পড়ছে ছাদ, ফাটল ধরেছে দেওয়ালের গায়েও। আগাছায় ভরে গিয়েছে চতুর্দিক। এতক্ষণ যে বিবরণ শুনলেন তা পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত চন্দ্রপুরের সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।

মালডাঙা কাটোয়া রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। বাইরে থেকে এক ঝলক দেখলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বলে মনেও হবে না। কার্যত ভূতুড়ে বাড়ির চেহারা নিয়েছে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। স্থানীয় ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, আগে বেডের ব্যবস্থা ছিল এখানে। সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসাও হত।কিন্তু এখন সেসবই অতীত। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, আমি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু আমাকে ডাক্তারবাবু না থাকার জন্য চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সীমান্তে চোরাচালান রুখবে মৌমাছি!

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিল্ডিং-এর শুধু যে বেহাল দশা তা নয়, সার্বিক পরিকাঠামোই ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। এমনকি নেই নির্দিষ্ট কর্মী। চন্দ্রপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যে নির্দিষ্ট কর্মীদের থাকার প্রয়োজন তার সংখ্যাও কম। এই প্রসঙ্গে চন্দ্রপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী ফার্মাসিস্ট চিরঞ্জিত পন্ডিত বলেন, আমি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী ফার্মাসিস্ট। অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আমি স্থায়ী কর্মী হিসাবে ডিউটি করি। কিন্তু আমাকে এখানে সপ্তাহে দু’দিন করে আসতে হয়। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশ কিছু স্টাফের প্রয়োজন রয়েছে। যদি স্থায়ী স্টাফের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে খুবই ভাল হয়।

চন্দ্রপুর সহ আশপাশ এলাকার বহু মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার জন্য আসেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে। তবে মাঝে মধ্যেই চিকিৎসক না থাকায় ফিরেও যেতে হয় অনেককে। সবমিলিয়ে বেহাল অবস্থা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। স্থানীয়রা বিষয়টি সব জায়গায় জানালেও এখনও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী