উত্তর দিনাজপুর: এক বিশেষ প্রজাতির টম্যাটো এই গরমে দারুন ফলছে। আর তা চাষ করলেই হবে উপরি রোজগার। উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে এই বিশেষ টম্যাটো।
ঘটনা হল, টম্যাটো মূলত শীতকাল ও গরমকাল এই দুই সময় চাষ করা হয়। তবে বর্তমানে খুব বেশি গরমের কারণে গ্রামে গঞ্জের বহু কৃষক টম্যাটো চাষ করেও ভাল ফলন পাচ্ছেন না। টম্যাটো গাছ খরার কারণে মরে যাচ্ছে। তাই এই সময় বেছে নিতে হবে উচ্চ ফলনশীল কিছু প্রজাতির বীজ, যা খরা সহ্য করতে পারবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানী ধনঞ্জয় মণ্ডল এই প্রসঙ্গে জানান, উন্নত মানের টম্যাটোর বীজে অধিক ফলন পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে খরা সহ্য করতে পারে এমন অনেক জাতের টম্যাটো বীজ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাড়ি না পার্ক এক ঝলক দেখে বুঝতে পারবেন না! বসতভিটে দেখতে ছুটে আসছে মানুষ
প্রতিদিন যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে সেই অনুযায়ী বেছে নিতে হবে টম্যাটোর বেশ কিছু জাত। যে সমস্ত জায়গায় ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা থাকে সেই সব জায়গায় একচল্লিশ, জিরো ট্রু, বাষট্টি এই সমস্ত জাতের টম্যাটোগুলোর বীজ রোপণ করতে হবে। এই টম্যাটোর জাতগুলো ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে। আবার অন্যদিকে যে সমস্ত জায়গায় তাপমাত্রা আরও বেশি, অর্থাৎ ৩৯ বা ৪১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট থাকবে সেই সমস্ত জায়গায় আবার এর থেকে একটু উন্নত জাতের টম্যাটো লাগাতে হবে। নইলে গাছ মরে যাবে কিংবা গাছে রোগ, পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পাবে।
গ্রীষ্মকালীন টম্যাটো চাষের জন্য চৈত্র, বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা হয়। আর শীতকালীন টম্যাটো চাষের জন্য মধ্য কার্তিক থেকে মাঘের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা হয়। এছাড়াও আগাম চাষের জন্য ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও অনেকে টম্যাটো বীজ রোপণ করেন। টম্যাটো লাগানোর দু থেকে চার মাসের মধ্যেই ফল তোলা যায়।
পিয়া গুপ্তা