Tag Archives: Hot Summer

Excess Electricity Demand: দিনে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার বসিয়ে ঘাটতি পূরণ

মালদহ: তীব্র গরমে এবার জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। যদিও সেই চাহিদা পূরণ সফলভাবেই করতে পেরেছে বিদ্যুৎ দফতর। অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার বসিয়ে প্রতিদিন গড়ে অতিরিক্ত ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে।

এবারের ভয়াবহ গরমে মালদহ জেলার অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। বিভিন্ন এলাকায় চাহিদা মত বসানো হয়েছে অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার। তীব্র গরমেও এই বছর তেমন একটা বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যায়নি মালদহে। গ্রামীণ এলাকায় কিছু সমস্যা থাকলেও শহরাঞ্চলে খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি সাধারণ মানুষকে। এর কারণ চাহিদা মত বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয়েছে অতিরিক্ত ট্রান্সফর্মার। আর এতেই গ্রাহকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে সক্ষম হয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।

আর‌ও পড়ুন: শহরের ব্যস্ততম রাস্তার বেহাল দশা, প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র দাবদহের সময় প্রতিদিন গড়ে ১০০ মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়েছে জেলায়। মালদহ জেলায় বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। গ্রীষ্মকালে প্রতি বছর দিনেরবেলায় জেলায় ২৮০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রয়োজন হয়। এই বছর অস্বাভাবিক গরম পড়ায় দৈনিক বিদ্যুতের সেই চাহিদা বেড়ে ৪০০ মেগাওয়াটে পৌঁছে যায়। মালদহ ডিভিশনের দক্ষিণ ক্ষেত্রের অধিকার্তা শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য জানান, তীব্র দাবদহের ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুত সরবরাহের প্রয়োজন পড়েছিল। এই গরমে মালদাবাসী যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তীব্র দাবদহকে উপেক্ষা করে বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করেছেন। আর তাতেই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

হরষিত সিংহ

AC Classroom: পড়ুয়াদের গরম থেকে বাঁচাতে মুর্শিদাবাদের স্কুলে বিরাট কাণ্ড! বেতনের টাকায় শিক্ষকরা যা করল শুনলে চমকে যাবেন…

মুর্শিদাবাদ: তীব্র দাবদাহে নাজেহাল সকলেই। বর্ষা চলে এলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে না। তার থেকেও বড় কথা বাতাসে আদ্রতা যেন কিছুতেই কমতে চাইছে না। এদিকে গরমের ছুটির পর খুলেছে স্কুল। কিন্তু গরমের জন্য স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার অনেকটাই কম। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ পদক্ষেপ করল মুর্শিদাবাদের একটি স্কুল।

মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি রসোড়া অম্বিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে স্কুলের সবকটি শ্রেণিকক্ষে বসাল এসি! শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেওয়া আর্থিক অনুদানে এসি-গুলো বসানো হয়েছে। বর্তমানে শ্রেণিকক্ষগুলোতে এসি ইনস্টলেশনের কাজ চলছে। আটটি শ্রেণিকক্ষে ইতিমধ্যেই এসি বসানো হয়ে গিয়েছে। স্কুলের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক খুশি পড়ুয়ারা। ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলে এই এসি বসানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্কুলের পক্ষ থেকে।

আর‌ও পড়ুন: বর্ষাকাল এলেই ব্যস্ততম রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ!

মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি রসোড়া অম্বিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন পাঠন হয়। গত কয়েক বছর ধরে স্কুলের মানোন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৯০০-এর অধিক। কিন্তু এবারের গ্রীষ্মের ছুটির পরও পড়ুয়ারা কমা আসায় চিন্তিত হয়ে পড়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পরিচালন সমিতি এবং শিক্ষকরা আলোচনা করে কথা বলেন কান্দি পুরসভা ও কান্দির বিধায়কের সঙ্গে। তাঁরা সম্মতি দেওয়ায় শিক্ষকরা বেতনের টাকা থেকে এবং স্কুলের শিক্ষকদের একটি কো-অপারেটিভ ফান্ড থেকে টাকা জোগাড় করে মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয় করে আটটি এসি লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে রুমে।

কৌশিক অধিকারী

New Umbrella: এই ছাতা টাঙিয়ে গরমে রাস্তা দিয়ে হাঁটলে ঠান্ডা লাগবে!

জলপাইগুড়ি: এবার বর্ষার শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গে চলছে ভারী বর্ষণ। এর‌ই মধ্যে জলপাইগুড়ির বাজারে দেখা মিলল এক অন্যরকমের আধুনিক ছাতার। যে ছাতার তলায় থাকলে নাকি গরমের দিনেও খানিক ঠান্ডা অনুভূত হবে, আবার ভারী বর্ষায় বৃষ্টির জলও গা স্পর্শ করতে পারবে না। তবে এই আধুনিক ছাতা বাজারে আসতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন সাধারণ ছাতা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছাতা সারাইয়ের কারিগররা।

ঠিক কেমন এই আধুনিক ছাতা? দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ ছাতার মতই। আকারে খানিকটা বড়। ছাতা ব্যবসায়ীদের কথায়, এই ছাতার কাপড় বেশ উন্নতমানের। তাই প্রখর রোদেও রোদের তাপ এই ছাতার কাপড় ভেদ কর‍তে পারে না। ফলত গরম কম লাগে। অনেকে মজা করে একে বলেন ‘এসি ছাতা’।

আর‌ও পড়ুন: বাঁধের অংশ তলিয়ে গিয়েছে নদীতে, আতঙ্কের প্রহর গুনছে গ্রামের মানুষ

এই ছাতা ভারী বর্ষণেও বেজায় কাজের। বৃষ্টির জল ছাতা চুঁয়ে চুঁয়ে শরীরে পড়বে না। বিষয়টা জানাজানি হতেই অনেকে এই নতুন ধরনের ছাতা কিনতে দোকানে ভিড় করছেন। প্রায় ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দরে বিকোচ্ছে এই আধুনিক ছাতা। দাম খানিক বেশি হলেও বেশি দাম দিয়ে উন্নত মানের আধুনিক ছাতা কিনতে কার্পণ্য করছে না জলপাইগুড়িবাসী। সাধারণ ছাতার বিক্রিও আধুনিক ছাতার চাপে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বাজারে এখন আধুনিক ছাতার চাহিদা তুঙ্গে তা বলাই বাহুল্য।

সুরজিৎ দে

Fishing Trawler: তীব্র গরমে গভীর সমুদ্রে যেতে পারল না মাছ ধরার ট্রলার, অপেক্ষা বৃষ্টির

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও আবহাওয়ার জন্য বিপাকে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। অত্যাধিক গরম থাকায় সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারল না মাছ ধরার ট্রলার। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন মৎস্যজীবীরা।

ইলিশের সন্ধানে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কয়েক হাজার ট্রলার গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছে। কিন্তু তীব্র আদ্রতা জনিত এই প্যাচপ্যাচে গরম ভাবাচ্ছে সকলকে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই ইলিশের সন্ধানে বেশিরভাগ ট্রলার বেরিয়ে পড়লেও বেশ কিছু টলার এই গরমের জন্য গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বাতিল করেছে। তাঁরা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছেন।

আর‌ও পড়ুন: টর্নেডোর ধাক্কা সামলানোর আগেই বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক সেই বার্নিশ গ্রামে

এখনও বেশ কিছু ট্রলার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে নোঙর করা রয়েছে। বর্ষার বৃষ্টি শুরুর জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা। শুধু গরমের জন্য কষ্ট দায়ী এমনটা নয়, ভাল বৃষ্টি না হলে মাছ পেতেও সমস্যা হয়। এদিকে সময় মত ট্রলার ছাড়তে না পারায় বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষের বৃষ্টি শুরু হবে এখন তারই দিন গোনার পর্ব চলছে।

সুমন সাহা

Drinking Water Crisis: টাইম কলে জল পড়ে না, আসছে না ট্যাঙ্কার, হাহাকার কুলটিতে

পশ্চিম বর্ধমান: জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসেও তীব্র দহন জ্বালায় নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। এরমধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকবার্তা। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র জল সঙ্কট। কুলটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভাল করে পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। গত ১০-১২ দিন ধরে জল আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ, টাইম কলে দীর্ঘদিন ধরে জল আসছে না। প্রাথমিকভাবে পুরসভার পক্ষ থেকে ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সেই জলের ট্যাঙ্কারও আসছে না। যার ফলে পানীয় জল পাচ্ছেন না এলাকার বাসিন্দারাও। এমন অবস্থায় তাঁদের ভরসা করতে হচ্ছে কুয়ো এবং পুকুরগুলির ওপর। কিন্তু সেই জল ব্যবহার করা কতটা স্বাস্থ্যকর, তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই।

আর‌ও পড়ুন: হাওড়ায় ইতিহাস! জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে ভূগর্ভস্থ পাইপ লাইনে নামবে ডুবুরি

কিন্তু কেন জল আসছে না? এই বিষয়ে ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানিয়েছেন, পাইপলাইনে কিছু সমস্যা রয়েছে। যে কারণে টাইম কলে জল আসছে না। তাছাড়াও যে সমস্ত জায়গাগুলিতে জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে, সেই জায়গাগুলি অপেক্ষাকৃত উঁচু। তার ফলে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যদিও এলাকায় জল সঙ্কট মেটাতে দুটি পাইপলাইন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে স্থানীয়দের দাবি, এই গরমে পানীয় জলের কষ্ট সহ্য করা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাঁরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন।

নয়ন ঘোষ

Jamai Sasthi 2024: গরমে কাহিল কারিগররা যেতে চাইছেন না ভিয়েনের সামনে, জামাইয়ের পাতের মিষ্টিতে টান

পশ্চিম বর্ধমান: উত্তরবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গ এই মুহূর্তে তীব্র গরমে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। প্যাচপ্যাচে ঘাম নিয়েই এবার জামাইষষ্ঠী সারতে হচ্ছে জামাইদের। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে এবারের জামাইষষ্ঠীর রীতিতে। অনেকেই অনেক চেষ্টা করেও জামাইয়ের জন্য পছন্দসই মিষ্টি কিনতে পারেননি। কারণ এই গরমে মিষ্টি তৈরির কারিগররা ভালভাবে কাজ করতে পারছেন না।

মিষ্টি তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরদের সারাক্ষণ প্রবল উত্তাপে জ্বলতে থাকা উনুন বা ভিয়েনের সামনে কাজ করতে হয়। দুধ জাল দেওয়া, সেটাকে ভালমত পাক দিয়ে নির্ধারিত মাত্রায় নিয়ে আসা এই সব কিছুই উনুনে হয়। কিন্তু এই তীব্র গরমে মিষ্টি তৈরির কারিগররা সহজে উনুনের সামনে যেতে চাইছেন না। আর তাতেই জামাইদের পাতে মিষ্টিতে টান পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গাতেই চাহিদা অনুযায়ী মিষ্টি পাননি শ্বশুররা।

আর‌ও পড়ুন: বর্ষা আসতেই জল বেড়েছে তোর্ষায়, দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছে মধুপুর

যে কারণে প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠীতে যে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দোকানগুলিতে পাওয়া যায়, সেখানে এবারে মিষ্টির ভ্যারাইটি অনেক কম। শহরের বিভিন্ন নামিদামি দোকানগুলিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, যেখানে প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি বানানো হয়, সেখানে দু-এক রকমের সন্দেশ ছাড়া আর তেমন কিছু নেই। তাছাড়াও জামাইষষ্ঠীর আগে মিষ্টির দোকানগুলিতে যেভাবে লম্বা লাইন দেখা যায়, সেই ছবিটাও এবার যেন অনেকটাই ফিকে হয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজার ভীষণভাবে খারাপ। প্রথমত কারিগররা মিষ্টি তৈরি করতে পারছেন না। তীব্র গরমের কারণে তাঁরা বেশিক্ষণ উনুনের সামনে থাকতেই পারছেন না। ফলে মিষ্টি তৈরিতে টান পড়েছে। আবার মানুষজনও সেইভাবে দোকানে আসছেন না। জামাইষষ্ঠীতে যে লাভের আশা মিষ্টি বিক্রেতাদের থাকে, এবারে সেই লাভে ভাটা পড়ছে। আবার গরমের ছোবলে জামাইদের পাতেও মিষ্টিতে টান পড়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, জামাইষষ্ঠীতে বিভিন্ন রকম মিষ্টি সাজিয়ে জামাইয়ের পাতে তুলে দিতে হয়। এটাই রীতি। কিন্তু দোকানে এবছর সেইভাবে ভ্যারাইটি মিষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। খালি জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বানানো কিছু সন্দেশ রয়েছে। আবার অনেক দোকানে তো সারা বছর যেরকম মিষ্টি পাওয়া যায়, তার থেকেও কম মিষ্টি রয়েছে এই সময়। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই গরমের কারণে জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান তাঁরা বাতিল করেছেন। নমো নমো করে সেরে ফেলছেন নিয়ম রক্ষার কাজটুকু।

নয়ন ঘোষ

Drinking Water Supply: জলের সমস্যা মেটাতে কী পদক্ষেপ পুরুলিয়া পুরসভার?

পুরুলিয়া: বেড়েই চলেছে গরমের দাপট। বৃষ্টির দেখা সেভাবে নেই পুরুলিয়া জেলাতে। আর তাতেই নাজেহাল অবস্থা জেলার মানুষের। একে গরমের দাপট তার উপর নেই যথাযথ জলের জোগান। তীব্র গরমের কারণে কাঁসাই নদীর জলস্তর কমে গিয়েছে।‌ একাধিক জায়গাতে হচ্ছে জলের সমস্যা। ‌ যদিও জলের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পুরুলিয়া পুরসভা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের‌ও।

এই বিষয়ে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মহালি বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কাঁসাই নদীর জলের স্তর একেবারেই নিচের দিকে চলে গিয়েছে। এর ফলে জলের একটা ক্রাইসিস রয়ে গিয়েছে। কারণ যতটা বোরিং করে জল তোলা সম্ভব তা সেভাবে তোলা যাচ্ছে না। ব্রেক দিয়ে দিয়ে পাম্প চালিয়ে জল তোলা হচ্ছে কাঁসাই নদী থেকে। এখনও পর্যন্ত শহরে প্রতিদিন পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে এই জলের সমস্যা মিটবে না বলেও জানান তিনি।

আর‌ও পড়ুন: ফল প্রকাশের পর গেরুয়া বা সবুজ কোন‌ও আবীর খেলাই হয়নি এই কেন্দ্রে! চিন্তায় বিক্রেতারা

রুক্ষ লালমাটির জেলা পুরুলিয়া। এই জেলার অন্যতম বড় সমস্যা জল। ‌কমবেশি সারা বছরই জলের সমস্যা দেখা যায় এই জেলায়। গ্রীষ্মকালে তা অনেকখানি বেড়ে যায়। কারণ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। ‌তাই প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে ব্যাপক হারে জলের সমস্যা তৈরি হয় জেলায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ‌কিন্তু পুরুলিয়া পুরসভা সমস্ত দিক থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে মানুষ জল কষ্টে না ভোগে।

অন্যান্য বছরগুলিতে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা গেলেও এ বছর পুরুলিয়া পুরসভার উদ্যোগে পানীয় জলের সমস্যা অনেকখানি মিটেছে। আগামী দিনে সম্পূর্ণভাবে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টায় রয়েছে পুরসভা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Artificial Reservoir: তীব্র গরমে বন্যপ্রাণীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, জঙ্গলে বাড়ল কৃত্রিম জলাশয়

আলিপুরদুয়ার: আবার গরমের দাপট শুরু হয়েছে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ মানুষের প্রাণ। ছাড় নেই উত্তরের মানুষদের‌ও। তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে। এতে শুধু মানুষ নয়, সমস্যায় পড়েছে বন্য প্রাণীরাও। গরমে বিভিন্ন জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীদের পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম জলাশয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের কোর এরিয়াগুলিতে ৯ টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। বৈচিত্রময় বক্সা জঙ্গলে রয়েছে হাতি, বাইসন, হরিণ সহ নানান বন্য প্রাণী। রয়েল বেঙ্গল টাইগার থাকার অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বক্সার জঙ্গলে। তার আগে বন্য প্রাণীদের তৃষ্ণা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।জঙ্গলের ভেতরে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম জলাশয়। জানা গিয়েছে প্রতিদিন ট্যাঙ্কার নিয়ে গিয়ে সেটা জলে পরিপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। শুধু জল নয়, তার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে লবণ।

আর‌ও পড়ুন: সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! দাঁড়িয়েছিল নাবালিকা, হঠাৎ সব শেষ

বন্যপ্রাণীদের কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি প্রসঙ্গে রাজাভাতখাওয়ার রেঞ্জ অফিসার অমলেন্দু মাঝি জানান, গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি মানুষের। পশুদের‌ও একই অবস্থা, কিন্তু ওরা বলতে পারে না। তাই তাদের জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই গরমে যাতে বন্যপ্রাণীদের সমস্যা না হয় তার জন্য মেডিকেল টিমও তৈরি করেছে বন দফতর।

অনন্যা দে

Watch Video: এই গরমেও স্নান করে না ডুয়ার্সের রাধারানি গ্রামের বাসিন্দারা! কারণ শুনলে অবাক হবেন

আলিপুরদুয়ার: প্রচন্ড গরম সত্ত্বেও এই গ্রামের বাসিন্দারা স্নান করতে পারছেন না। জলের অভাবে গত এক বছর ধরে এমনই দুর্বিসহ অবস্থায় দিন কাটছে রাধারানি গ্রামের বাসিন্দাদের। শরীরে প্রবল অস্বস্তি হলেও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়েই স্নান না করে থাকতে হচ্ছে তাঁদের।

জলের তীব্র সঙ্কট চলছে ডুয়ার্সের রাধারানি চা বাগানে। এই চা বাগানে পিএইচই থেকে বড় পানীয় জলের প্রকল্প করা হয়েছে। কয়েকবছর পূর্বে প্রতিটি ঘরে পাইপ লাইনের কানেকশন দেওয়া হয়েছিল। এখনও সেই পাইপ লাইন রয়েছে, কিন্তু তা থেকে আর জল পড়ে না। বাসিন্দারা জানান প্রথম তিনদিন জল পেয়েছিলেন। তারপর থেকে সেই কল শুকনো খটখটে হয়ে পড়ে আছে। জল প্রকল্পের জলাধার দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ জানানো হয়েছে পিএইচই-র দফতরে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দফতরের কোনও কর্মী একদিনের জন্য‌ও আসেনি এলাকায়। বর্তমানে এখানে জল সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

আরও পড়ুন: শোলার কাজ করেই স্বনির্ভর গ্রামের মহিলারা

এখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে জল সংগ্রহ করতে কয়েক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে নদীতে যেতে হয়। এক সপ্তাহের জল সেখান থেকেই আনা হয়। পানীয় জল পান করার পর যতটুকু জল বাঁচে তা দিয়ে স্নান সারেন তাঁরা। গরমে প্রতিদিন স্নান না করতে পেরে অস্বস্তি বাড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই।

অনন্যা দে

Summer Tourist Spot: গরমেও পাবেন আরাম, এই জায়গায় এলে প্রাণ জুড়াবে আপনারও

পূর্ব বর্ধমান: ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু এই তীব্র গরমের জন্য কোথাও যেতে পারছেন না? বর্ধমানে এমন এক জায়গার সন্ধান দেব আজ যেখান থেকে ঘুরে এলে শান্তি পাবেন। কারণ এই জায়গাটি অন্যান্য জায়গার থেকে অনেকটা ঠান্ডা। গরমের সময় ঘুরে বেশ কিছুটা স্বস্তি পাবেন। তবে চিন্তা করবেন না, বেশি সময় লাগবে না। মাত্র ১ দিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন পূর্ব বর্ধমানের এই জায়গা থেকে।

বর্ধমান শহরে রয়েছে রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক। এই পার্কের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের পশুপাখি। পাশাপাশি মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন আপনারাও। গরমের সময় দারুণ ঠান্ডা থাকে এই জায়গা, তাই গরম নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক প্রসঙ্গে জু-সুপারভাইজার তরুণকান্তি ব্যানার্জী বলেন, এই বর্ধমান শহরের মধ্যে রমনাবাগান একটা ছোট্ট জায়গা। ১৪-১৫ হেক্টর জায়গার মধ্যে গড়ে উঠেছে পার্কটি। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বর্ধমান শহরের অন্যান্য জায়গার থেকে এই জায়গায় অনেক ঠান্ডা। বেশ কয়েক ডিগ্রি তাপমাত্রায় এখানে কম থাকে। বাগানকে আরওনতুন রূপে সাজিয়ে তোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন রূপে রমনাবাগানকে দেখতে পাবে সকলে।

আরও পড়ুন: প্রাক্তনদের লড়াইয়ে জমজমাট বিষ্ণুপুর, হ্যাটট্রিক করতে পারবেন সৌমিত্র?

বর্ধমান ষ্টেশন থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দুরেই রয়েছে এই রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক। ষ্টেশন থেকে টোটো অথবা টাউন সার্ভিস বাসে করে সহজেই চলে আসতে পারবেন এই জায়গায়। কেউ যদি মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে চান তাহলেও আসতে পারবেন। পার্কিং-এর যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে এই জায়গায়। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের প্রত্যেকদিন এই রমনাবাগান জুলজিক্যাল পার্ক খোলা থাকে বলেই জানা গিয়েছে। সকাল ১০ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই জুলজিক্যাল পার্ক। পার্কের সামনে আসার পর টিকিট কেটে প্রবেশ করতে পারবেন ভিতরে। ভিতরে প্রবেশ করলেই পুরোটা ঘুরে দেখতে পাবেন চিতা বাঘ, হরিণ , ময়ূর, ভাল্লুক, কুমির সহ আরও বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি।

এছাড়াও পার্কের মধ্যে বসার জায়গা এবং পানীয় জলের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। একদিনের জন্য এই জায়গায় মনোরম পরিবেশে সময় কাটিয়ে আসতে পারেন আপনিও। এখানে রাত্রি যাপনের কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে বর্ধমান শহরে প্রচুর থাকার এবং খাবার হোটেল রয়েছে। বাড়ি ফেরার সমস্যা থাকলে তাঁরা সেই সমস্ত হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে পারেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী