উত্তর দিনাজপুর: ক্ষুদ্র হলেও কোনও কাজই তুচ্ছ নয়। আজকাল গ্রাম বাংলার মহিলারা নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য নানা রকমভাবে পরিশ্রম করে চলছেন। আর তাতে যা উপার্জন হচ্ছে তা দিয়ে সংসারের কিছুটা হলেও অভাব মিটছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বাঘন বটতলির একটি পাড়া জুড়ে বেশিরভাগ মহিলারাই শোলার কাজের সঙ্গে যুক্ত।
শোলার কাজ করে এখানকার মহিলারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। পাইকারদের কাছ থেকে শোলা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে নিজেরা বাড়িতে বসে ফুল সহ শোলার বিভিন্ন ধরনের কাজ করছেন। বর্তমানে এই অঞ্চলের বহু গ্রামের মানুষজন শোলার উপর ভর দিয়ে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন। এখানকার শিল্পীরা জানান, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে যুগ যুগ শোলার ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই পাইকরাদের কাজ থেকে শোলা কিনে নিয়ে এসে নিজেদের অবসর সময় তাঁরা একত্রিত হয়ে বিয়ের টোপর, দেব দেবীর সাজ, চাঁদমালা, চালির নকশা, মুকুট, মালা, কদম ফুল, নব প্রতিমার পট, ঘটকাপালি সহ আরও বিভিন্ন ধরনের শোলার কাজ করেন।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ভোটের বড়সড় প্রভাব পশ্চিম বর্ধমানে! সীমান্তে যা হচ্ছে…
এই শোলার কাজ করে তাঁরা মাসিক বাড়িতে বসে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা উপার্জন করেন। তেমনই একজন শিউলি সরকার রায় জানান, সংসারের কাজের পর বাড়তি সময়ে শোলার জিনিস তৈরি করি। এখান থেকে যা উপার্জন হয় তা সংসারের জন্য অনেকটা কাজে লাগে। প্রায় সাত বছর ধরে এই শোলার কাজ করে আসছি। তবে এখানকার শোলা শিল্পীরা জানিয়েছেন, সরকারের কিছুটা সহযোগিতা পেলে পেশাগত ক্ষেত্রে তাঁদের আরও সুবিধা হত।
পিয়া গুপ্তা