গ্রামীণ শীতলা দেবী

Old Temple: গ্রামের এই প্রাচীন মন্দিরে আজও দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে লৌকিক দেবতা। যাকে ঘিরে থাকে অগাধ বিশ্বাস ও কিংবদন্তি। দূর দূরান্ত থেকে সেই বিশ্বাসে বহু মানুষ ছুটে আসেন আরাধ্য দেবতার কাছে। মনস্কামনা জানিয়ে পুজো দেন। এভাবেই ধীরে ধীরে ব্যপ্তি ঘটতে থাকে লৌকিক দেবতার। গ্রামীণ এলাকায় লোকায়ত নানা বিশ্বাসে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আসেন পুজো দিতে। এমনই এক শত বছরের পুরানো মন্দির রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে। যাকে ঘিরে নানান লোককথা প্রচলিত। এখানে বিশ্বাস এবং ভক্তি যেন মিলেমিশে একাকার।

মন্দিরের মাটির দেওয়াল ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। তবে প্রায় ১১০ বছরের প্রাচীন মন্দিরে আজও ভিড় করেন ভক্তেরা। পারিবারিক শান্তি, চুরি হয়ে যাওয়া কোনও জিনিস ফিরে পাওয়া সহ মনের নানান ইচ্ছে জানিয়ে পুজো দেন সকলে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা কলেজের সামনে রয়েছে শীতলা দেবীর মন্দির। প্রতিদিন নিত্য পুজোয় ভক্ত সমাগমে ভরে ওঠে। বছরে নির্দিষ্ট সময়ে হয় বড় পুজো।

আরও পড়ুন: যোগীর রাজ্যে পাড়ি বাংলার আমের, চাহিদা পূরণ নিয়ে চিন্তায় চাষিরা

জানা যায়, এই মন্দিরটি প্রায় ১১০ বছরের পুরানো। স্মৃতি, ঐতিহ্য এবং নানা লোকগাথা নিয়ে আজ মন্দিরের ব্যাপ্তি। এলাকার মানুষের বিশ্বাস ভক্তি ভরে পুজো দিয়ে মানত করলে মনের আশা পূরণ হয়। পার্শ্ববর্তী ব্লকের মানুষ নয়, দুর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন।

টিমটিম করে জ্বলছে আলো। চারিদিকে মাটির দেওয়াল তাও আবার কোথাও ভেঙে পড়েছে। তবে আজও প্রতি নিয়ত এলাকার মানুষজন ভক্তিভরে পুজো দিতে আসেন দেবীর কাছে। মন্দিরের গঠনগত কারণে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসে এতটুকুও ছেদ পড়েনি।

রঞ্জন চন্দ