মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছে শান্তিপুর হাসপাতালে

Rural Doctor: যোগীর রাজ্যে দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু, ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেহ পাঠিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশ!

নদিয়া: পেশায় চিকিৎসক। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তাঁর দেহ‌’ই ময়নাতদন্ত না করে সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হল শান্তিপুরের বাড়িতে। বিষয়টি জানাজানি হতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যথেষ্ট বেদনাদায়ক এবং অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন পল্লী এলাকা। সেখানকার বাসিন্দা গোপীনাথ টিকাদার (২৬) গ্রামীণ চিকিৎসক ছিলেন। হঠাৎই তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত হন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপীনাথবাবু প্রথমে দিল্লিতে কাজ করতেন। তারপর উত্তরপ্রদেশের বড়লি উদয়পুরে চিকিৎসকের কাজ শুরু করেন। তাঁর সহকর্মী ছিলেন শান্তিপুরের একই এলাকার অনুপ বিশ্বাস। গত শুক্রবার রাতে কর্মস্থল থেকে তাঁরা বাইকে করে উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে ফিরছিলেন। তখন পথে একটি গরুকে ধাক্কা দিয়ে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন। সেই সময় নীল রঙের একটি বাস পিছন থেকে এসে তাঁদের দুজনকেই পিষে দিয়ে যায়। গোপীনাথ টিকাদার ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর জখম অবস্থায় অনুপ বিশ্বাসকে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন: বাইকে চেপে বাজার থেকে ফিরছিল তিন ভাই, রাস্তাতেই শেষ একজন…

আহত অনুপের থেকে ফোন নম্বর জোগাড় করে পরের দিন সকাল ভোর পাঁচটা নাগাদ গোপীনাথের বাড়িতে ফোন করে তাঁর মৃত্যুর কথা জানানো হয়। দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু বলে ডাক্তার সার্টিফিকেট‌ও দেন। কিন্তু কোন‌ও এক আশ্চর্য কারণে নিয়মমাফিক তাঁর ময়নাতদন্ত হয়নি সেখানে।

এদিকে শোকের মধ্যেও পরিবারের সদস্যরা আইন ভোলেননি। তাই মৃতদ এসে পৌঁছলে তাঁরা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ময়নাতদন্ত থানার দায়িত্ব। এক্ষেত্রে যেহেতু উত্তরপ্রদেশে মারা গেছে তাই সেখানকার থানা এই দায়িত্ব নিতে পারে। এক্ষেত্রে শান্তিপুর থানার খুব কিছু করার নেই বলে জানা যায়। সমস্যা মেটাতে হাসপাতালে হাজির হন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বুলা খাতুন কারিকর। বিষয়টি তিনি উচ্চ নেতৃত্বকে জানান। কথা চলাচলির পর শান্তিপুর থানা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের অনুমতি দিলে তা সম্পন্ন হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পরিবার।

মৈনাক দেবনাথ