Tag Archives: Post Mortem

Post Mortem Report: অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কীভাবে পাওয়া যায় জানেন? জানুন পুলিশের কাছে, দেখুন ভিডিও

কলকাতা: ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দ্রুত পেতে কী করতে হবে, তা সমাজমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে জানাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। কীভাবে সেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে, তার কয়েকটি প্রক্রিয়াও ব্যক্ত করা হয়েছে ওই ভিডিওতে।

হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীর বক্তব্য ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক সময়ই মৃতের পরিবারের অনেকে অভিযোগ তোলেন, এই রিপোর্ট পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। হয়রানির অভিযোগও ওঠে কোনও কোনও ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় বটগাছ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, কোথায় রয়েছে সেই গাছ জানেন? বয়স শুনলে চমকে যাবেন

অনেক সময় আবার দালালচক্রের খপ্পড়ে পড়ে যান মৃতের আত্মীয়েরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া মোটেই জটিল বিষয় নয় বলেই জানাল রাজ্য পুলিশ।

কীভাবে পাবেন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট?

আরও পড়ুন: বুড়িয়ে যাচ্ছে চামড়া? রাতে শোওয়ার আগে ‘এই’ এক কাজে চকচক করবে মুখ! রইল গোপন টিপস

অস্বাভাবিক মৃত্যুর যে কোনও ঘটনায় ময়নাতদন্ত বা পোস্টমর্টেম হওয়াটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু মৃতের আত্মীয়স্বজন কোথায় কীভাবে সেই পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাবেন,সে নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে, ধোঁয়াশা রয়েছে। সেই ধোঁয়াশা কাটাতেই এই উদ্যোগ।

আবীর ঘোষাল

Rural Doctor: যোগীর রাজ্যে দুর্ঘটনায় চিকিৎসকের মৃত্যু, ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেহ পাঠিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশ!

নদিয়া: পেশায় চিকিৎসক। কিন্তু অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তাঁর দেহ‌’ই ময়নাতদন্ত না করে সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হল শান্তিপুরের বাড়িতে। বিষয়টি জানাজানি হতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যথেষ্ট বেদনাদায়ক এবং অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন পল্লী এলাকা। সেখানকার বাসিন্দা গোপীনাথ টিকাদার (২৬) গ্রামীণ চিকিৎসক ছিলেন। হঠাৎই তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াত হন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপীনাথবাবু প্রথমে দিল্লিতে কাজ করতেন। তারপর উত্তরপ্রদেশের বড়লি উদয়পুরে চিকিৎসকের কাজ শুরু করেন। তাঁর সহকর্মী ছিলেন শান্তিপুরের একই এলাকার অনুপ বিশ্বাস। গত শুক্রবার রাতে কর্মস্থল থেকে তাঁরা বাইকে করে উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে ফিরছিলেন। তখন পথে একটি গরুকে ধাক্কা দিয়ে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন। সেই সময় নীল রঙের একটি বাস পিছন থেকে এসে তাঁদের দুজনকেই পিষে দিয়ে যায়। গোপীনাথ টিকাদার ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর জখম অবস্থায় অনুপ বিশ্বাসকে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন: বাইকে চেপে বাজার থেকে ফিরছিল তিন ভাই, রাস্তাতেই শেষ একজন…

আহত অনুপের থেকে ফোন নম্বর জোগাড় করে পরের দিন সকাল ভোর পাঁচটা নাগাদ গোপীনাথের বাড়িতে ফোন করে তাঁর মৃত্যুর কথা জানানো হয়। দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু বলে ডাক্তার সার্টিফিকেট‌ও দেন। কিন্তু কোন‌ও এক আশ্চর্য কারণে নিয়মমাফিক তাঁর ময়নাতদন্ত হয়নি সেখানে।

এদিকে শোকের মধ্যেও পরিবারের সদস্যরা আইন ভোলেননি। তাই মৃতদ এসে পৌঁছলে তাঁরা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ময়নাতদন্ত থানার দায়িত্ব। এক্ষেত্রে যেহেতু উত্তরপ্রদেশে মারা গেছে তাই সেখানকার থানা এই দায়িত্ব নিতে পারে। এক্ষেত্রে শান্তিপুর থানার খুব কিছু করার নেই বলে জানা যায়। সমস্যা মেটাতে হাসপাতালে হাজির হন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বুলা খাতুন কারিকর। বিষয়টি তিনি উচ্চ নেতৃত্বকে জানান। কথা চলাচলির পর শান্তিপুর থানা মৃতদেহ ময়নাতদন্তের অনুমতি দিলে তা সম্পন্ন হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পরিবার।

মৈনাক দেবনাথ