সক্ষম আগারওয়াল

NEET UG 2024 Topper: সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় দেশের সেরা শিলিগুড়ির সক্ষম, কত নম্বর মেধাবীর জানেন?

শিলিগুড়ি: ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় দেশের সেরা শিলিগুড়ির সক্ষম আগরওয়াল। সম্প্রতি চলতি বছরের নিট ইউজির ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। আর তাতেই দেখা গেল ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০-ই পেয়েছেন শিলিগুড়ির নির্মাণ বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের কৃতী পড়ুয়া। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর দেখে সকলেই অবাক।

সক্ষমের কথায়, ‘ভাল ফল করা নিয়ে আত্মবিশ্বাস ছিল বটে, তবে নিটে দেশে সেরা হওয়া তার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল।’ এই পরীক্ষার জন্য স্কুলের পাশাপাশি সেবক রোডের বেসরকারি ইনস্টিটিউটে প্রস্তুতি চলছিল। সক্ষম বলেন, ‘স্কুলের পাশাপাশি ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছে। নিয়মিত তাঁদের ক্লাস করে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।’

আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় নজরকাড়া সাফল্য বাঙালির, বাংলার রূপায়ণের নম্বর শুনলে বিশ্বাস করতে পারবেন না!

স্কুলে মেধাবী পড়ুয়া হিসেবে পরিচিত সক্ষম । চলতি বছর দ্বাদশের পরীক্ষায় ৯০.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে সে । মাধ্যমিক পাশ করার পরেই সক্ষম ভেবে নিয়েছিল সে ডাক্তার হবে।নিটের প্রস্তুতি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে সক্ষম বলেন, ‘ অনেক কিছুই ত্যাগ করেছি। রোজ রুটিন মেনে পড়াশোনা করেছি। শিক্ষকদের পরামর্শ মেনে প্রস্তুতি নিয়েছি এতদিন। তবে বোর্ড পরীক্ষার থেকে নিটের প্রস্তুতিতে আমি বেশি জোর দিয়েছিলাম।’

আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় বাংলার বাজিমাত, প্রথম স্থানে ৩ জন! উজ্জ্বল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন

সক্ষমের কথায় , সোশ্যাল মিডিয়া অনেক ডিস্ট্রাকশন তৈরি করে। তাই সেটা থেকে একেবারেই দূরে থেকেছে সে। বাড়িতে পড়াশোনায় ছয় ঘণ্টা সময় দিত রোজ। এছাড়াও সক্ষম পিয়ানো বাজাতে পছন্দ করে। তাই মাঝে মাঝে সময় পেলে একটু পিয়ানো বাজিয়ে কিংবা গান শুনে মন ভাল করত সে। এই পথেই সাফল্য এসছে। তাঁর বাবা চিকিৎসক। তাই ছোট থেকে মনের কোণে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিলই। কারণ, এই পেশায় এলে মানুষকে সেবা করার সুযোগ মেলে। তাঁর বরাবর লক্ষ্য ছিল দিল্লি এইমস।

এদিন ফলপ্রকাশের পর সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে গেল সে। সক্ষমের কথায়, ‘যখন পড়াশোনায় কোনও অসুবিধা হয়েছে, বাবা সাহায্য করেছেন। মন খারাপ হলে তিনিই বোঝাতেন। বাবা আমার অনুপ্রেরণা। নিটের ফল জানার পর বাবাকে আমি কাঁদতে দেখেছি। বাবা-মা ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না।’

ছেলের নম্বর দেখে আনন্দে চোখে জল চলে এসেছিল সক্ষমের বাবা ডাঃ চেতনকুমার ও মা মায়াকুমারীর। চেতনকুমার বললেন, ‘ছেলের স্বপ্নপূরণ হোক, এটাই চেয়েছি সবসময় ও ছোট থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী। তার ফল পেল। ছেলেকে এটাই বলব যে আগামীতে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকুক । আমাদের আশীর্বাদ সবসময়ই তাঁর সঙ্গে থাকবে।’

অনির্বাণ রায়