জলপাইগুড়ি: এই এলাকার ভরসা রোহিনী। এই রোহিনী কে জানেন? ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় আত্মনির্ভর হওয়ার উপায় খোঁজেন অনেকেই, কিন্তু সঠিক দিশা খুঁজে পান না। বিশেষ করে মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো খুবই জরুরি। তাই জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মহিলাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকারই মহিলা রোহিনী। রোহিনী রায় নিজের পাশাপাশি আরও অনেক মহিলাকে একত্র করে স্বনির্ভর করে তুলছেন নিজ উদ্যোগে।
জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বাস বলে যেকোনও কাজ করতে গেলেই আতঙ্কে থাকতে হয়। আচমকাই জংলি হাতি কিংবা বাঘের আক্রমণে মুখে পড়ে মৃত্যুবরণ করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। তাই বনের মধ্যে কাঠ আনতে গেলে কিংবা কৃষি কাজে বা অন্য কোনও কাজে গেলে মৃত্যুভয় পিছু ছাড়ে না। এখানকার মহিলাদেরই একত্রিত করে চা বাগানের ব্যাগ তৈরি করছে রোহিনী রায়। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন এলাকার আরও অনেক মহিলা। এইভাবেই স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠী এলেই কদর বাড়ে এই পাখার, এখন দাম কত জানেন?
রাজ্যের অন্যান্য স্থানে রাজ্য সরকারের স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় গড়ে ওঠা সেলফ হেল্প গ্রুপের ছায়া পড়লেও, জলপাইগুড়ি জেলার বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল এলাকায় বসবাসকারী মহিলাদের আজও ভরসা সেই মহাজনের তৈরি স্বল্প পয়সায় অধিক উৎপাদন করিয়ে নেওয়া সেলফ হেল্প গ্রুপ। জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকায় কৃষি কাজে জংলি হাতির আক্রমণের ভয়। যে কারণে এইসব এলাকার কৃষি জমি এখন ক্ষুদ্র চা বাগানের রূপ নিয়েছে। সেই চা পাতা যে ব্যাগে ভরে কারখানায় পৌঁছে দেওয়া হয়, সেই ব্যাগ’ই তৈরি করেন রোহিনীরা। এভাবেই ধীরে ধীরে তাঁরা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন।
সুরজিৎ দে