Tag Archives: Self Help Group

Nadia News: শুধু ১৫ নয়, ১৮ অগাস্টের জন্যও তৈরি হচ্ছে জাতীয় পতাকা, স্বনির্ভর হচ্ছেন স্কুল পাশ করা মহিলারা

এখন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে শুধু পোশাক নয় পতাকা তৈরিতেও স্বনির্ভর মেয়েরা। মেয়েদের সাবলম্বী করতে একের পর এক কার্যক্রম করছে সরকার। এবার বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সেলাই এর কাজ শিখে সাবলম্বী হচ্ছেন শান্তিপুর এর ব্লক তথা শহরের একাধিক নারীরা।
এখন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে শুধু পোশাক নয় পতাকা তৈরিতেও স্বনির্ভর মেয়েরা। মেয়েদের স্বাবলম্বী করতে একের পর এক কার্যক্রম করছে সরকার। এবার বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সেলাই এর কাজ শিখে সাবলম্বী হচ্ছেন শান্তিপুর এর ব্লক তথা শহরের নারীরা।
নদিয়ার শান্তিপুরে মালঞ্চ হাই স্কুলে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেখানে যারা সদ্য বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েছে কিংবা পড়াশোনা সদ্য শেষ করছে সেরকম অনেক মহিলা এসে এই সেলাই শিক্ষা নিয়ে সাবলম্বী হচ্ছে।
নদিয়ার শান্তিপুরে মালঞ্চ হাই স্কুলে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। সেখানে যারা সদ্য বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছে কিংবা পড়াশোনা সদ্য শেষ করছে সেই রকম অনেক মহিলা এসে সেলাই শিখে নিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
শুধু তাই নয় নাইটি, চুড়িদার, ব্লাউজ সহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি এবং বিক্রি করে অনেক মহিলারা আজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন তাই এই শিক্ষার কথা শুনে বহু বেকার যুবতী এগিয়ে আসছে হাতে কলমে কাজ শেখার জন্য।
শুধু তাই নয় নাইটি, চুড়িদার, ব্লাউজ-সহ বিভিন্ন পোশাক তৈরি এবং বিক্রি করে অনেক মহিলা আজ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন ,তাই এই শিক্ষার কথা শুনে বহু বেকার যুবতী এগিয়ে আসছে হাতে কলমে কাজ শেখার জন্য।
তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় অসুবিধে সেলাই মেশিনের অভাব। বিদ্যালর সূত্রে খবর এই শিক্ষা এখন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে তাতে মহিলারা বেশি এগিয়ে আসছেন। যদিও এই শিক্ষা পুরুষ মহিলা উভয়েই নিতে পারেন। তবে সেলাই এর কাজ বলে এখানে মহিলারা বেশি আসছেন।
তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় অসুবিধে সেলাই মেশিনের অভাব। বিদ্যালর সূত্রে খবর, এই শিক্ষা এখন খুবই জনপ্রিয় হয়েছে তাতে মহিলারা বেশি এগিয়ে আসছেন। যদিও এই শিক্ষা পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই নিতে পারেন। তবে সেলাইয়ের কাজ বলে এখানে মহিলারা বেশি আসছেন।
তবে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে তারা প্রায় পাঁচ শতাধিক জাতীয় পতাকা তৈরি করে বিক্রি করে যথেষ্ট লাভ পেয়েছিলেন গত দু'বছর আগে, তারপর থেকে প্রতিবছর দেশ সম্পর্কিত পালনীয় দিনগুলি তে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেন।
১৫ আগস্ট উপলক্ষে তারা প্রায় পাঁচ শতাধিক জাতীয় পতাকা তৈরি করে বিক্রি করে যথেষ্ট লাভ পেয়েছিলেন গত দু’বছর আগে, তারপর থেকে প্রতি বছর জাতীয় উৎসবের দিনগুলিতে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নেন।
তবে সম্প্রতি ১৮ আগস্ট এই তালিকার বাড়তি সংযোজন। ১৫ আগস্ট যেমন আড়ম্বরে পালিত হয় ইদানিং ১৮ আগস্ট তার থেকে কিছু কম যায় না। আর তারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ভারত অন্তর্ভুক্তির এই দিবস দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে মনে করা হয় যেখানে নদিয়া, কুচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকে।
তবে সম্প্রতি ১৮ আগস্ট এই তালিকার বাড়তি সংযোজন। ১৫ আগস্ট যেমন আড়ম্বরে পালিত হয় ইদানীং ১৮ আগস্ট তার থেকে কিছু কম যায় না। আর তারই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ভারত অন্তর্ভুক্তির এই দিবস দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে মনে করা হয় কিছু এলাকায়। তাই নদিয়া, কুচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশ ১৮ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকে।

Alternative Income: ‘বাগানিয়ার বাজার’ চা বাগানের মহিলাদের মাথা তুলে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের ফসল

আলিপুরদুয়ার: আগে থেকেই নিজের হাতে বিভিন্ন সংস্কৃতির পোশাক তৈরি করতেন। এবারে নিজেদের তৈরি সেই পোশাক বিক্রির দোকান দিলেন মধু চা বাগানের মহিলারা। নাম দিয়েছেন ‘বাগানিয়ার বাজার’।

স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষে প্রথমে জৈবসার তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন মহিলারা। জৈব সারের ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করার পর তাঁরা শুরু করেন গয়না তৈরির কাজ। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন সংস্কৃতির নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাক তৈরির কাজ। চা বলয়ের আদিবাসি সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেন মহিলারা। সেই পোশাক নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন প্রদর্শনীতেও যান। সেইসব জায়গায় ভাল সাড়াও পেয়েছিলেন।

আর‌ও পড়ুন: দিদিকে বলো-তে এক ফোনেই সমাধান, ছুটে এলেন মন্ত্রী

এবার স্থায়ী দোকানের ভাবনা থেকেই হাসিমারা এলাকায় শুরু করেছেন বাগানিয়ার বাজার। এই বিষয়ে মধু বাগানের সমবায় সমিতির সম্পাদিকা কণিকা ধানওয়ার বলেন, বর্তমানে আমাদের সমতিতে ১০২ জন সদস্যা রয়েছেন। সকলেই মধু চা বাগানের। এই বাগানের কাজে সীমাবদ্ধ না থেকে বিকল্প আয়ের খোঁজে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি।সম্প্রতি সরকারি সহায়তায়’ বাগানিয়ার বাজার’ শুরু করেছি।

ডুয়ার্সে এই প্রথম আদিবাসি সহ নানান সম্প্রদায়ের পোশাক বিক্রির জন্য এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মধু চা বাগানের মহিলাদের।
বাগানের শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাতে শুধু চা বাগানের ওপর নির্ভর করে না থাকে, বিকল্প আয়ের পথও যাতে বেছে নেয়, সেই লক্ষ্যে গত এক বছর আগে বাগানের বেশ কিছু শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা মিলে সমবায় সমিতি তৈরি করেন। সেই সমিতির হাত ধরেই ধীরে ধীরে ছবিটা বদলাচ্ছে।

অনন্যা দে

Self Help Group: মহিলারা কীভাবে ব্যবসার জন্য লোন পাবেন! কত টাকা পাওয়া ‌যায় প্রথমে

: আপনি কি মহিলা? লোন নিয়ে নিজের ব্যবসা করতে চাইছেন? কীভাবে পাবেন সেল্ফ হেল্প গ্রুপের লোন? কত টাকা পাবেন প্রথম অবস্থায় । একটা সময় ছিল যখন মহিলারা শুধুমাত্র সংসার ও সন্তান সামলাতেন। কিন্তু বর্তমানে সংসার সামলানোর পাশাপাশি মহিলারা স্বনির্ভর। বাড়ির চার দেওয়ালে আর নিজেকে আটকে না রেখে তারা এখন বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন ।
: আপনি কি মহিলা? লোন নিয়ে নিজের ব্যবসা করতে চাইছেন? কীভাবে পাবেন সেল্ফ হেল্প গ্রুপের লোন? কত টাকা পাবেন প্রথম অবস্থায় । একটা সময় ছিল যখন মহিলারা শুধুমাত্র সংসার ও সন্তান সামলাতেন। কিন্তু বর্তমানে সংসার সামলানোর পাশাপাশি মহিলারা স্বনির্ভর। বাড়ির চার দেওয়ালে আর নিজেকে আটকে না রেখে তারা এখন বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন ।
আর এই মহিলাদের স্বনির্ভর করতে বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করছে রাজ্য সরকার। আপনিও যদি মহিলা হন আর ক্ষুদ্র কুটির শিল্প বা বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ জানা থাকে তবে আপনিও সেলফ হেল্প গ্রুপে যুক্ত হয়ে পেয়ে যাবেন লোন।
আর এই মহিলাদের স্বনির্ভর করতে বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করছে রাজ্য সরকার। আপনিও যদি মহিলা হন আর ক্ষুদ্র কুটির শিল্প বা বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ জানা থাকে তবে আপনিও সেলফ হেল্প গ্রুপে যুক্ত হয়ে পেয়ে যাবেন লোন।
শুধু লোনই নয় আপনি যে কাজ করতে চাইছেন সে কাজে যথাযথ ট্রেনিং ও পাবেন। আপনার যদি বিউটিশিয়ান ,টেলারিং, হাতের কাজ, পশুপালন বা কৃষি কাজ করার ইচ্ছা থাকে তবে সে বিষয়ে যথাযথ ট্রেনিং প্রদান করে আপনাকে অল্প সুদে লোন প্রদান করবে এই সেল্ফ হেল্প গ্রুপ।
শুধু লোনই নয় আপনি যে কাজ করতে চাইছেন সে কাজে যথাযথ ট্রেনিং ও পাবেন। আপনার যদি বিউটিশিয়ান ,টেলারিং, হাতের কাজ, পশুপালন বা কৃষি কাজ করার ইচ্ছা থাকে তবে সে বিষয়ে যথাযথ ট্রেনিং প্রদান করে আপনাকে অল্প সুদে লোন প্রদান করবে এই সেল্ফ হেল্প গ্রুপ।
জানা যায় জেলার প্রতিটা ব্লকে ব্লকে মহিলাদের নিয়ে এই সেল্ফ হেল্প গ্রুপ গঠন করা হয়। হেমতাবাদ ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রধান,ফুলাইয়া বেগম বলেন, হেমতাবাদ ব্লকে ইতিমধ্যে দুটো সেল্ফ হেল্প গ্রুপ রয়েছে । এই গ্রুপে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একেকজন মহিলা সদস্যকে বছরে ৫৯৩ টাকা জমা রাখতে হবে সরকারের কাছে।তারপর সেই মহিলাদেরকে প্রথম বছরে এক লাখ টাকা লোন দেওয়া হয়।
জানা যায় জেলার প্রতিটা ব্লকে ব্লকে মহিলাদের নিয়ে এই সেল্ফ হেল্প গ্রুপ গঠন করা হয়। হেমতাবাদ ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রধান,ফুলাইয়া বেগম বলেন, হেমতাবাদ ব্লকে ইতিমধ্যে দুটো সেল্ফ হেল্প গ্রুপ রয়েছে । এই গ্রুপে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একেকজন মহিলা সদস্যকে বছরে ৫৯৩ টাকা জমা রাখতে হবে সরকারের কাছে।তারপর সেই মহিলাদেরকে প্রথম বছরে এক লাখ টাকা লোন দেওয়া হয়।
দু- বছরে আড়াই লক্ষ টাকা ও তারপর তিনবছর পর তিন লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়। ফুলাইয়া বেগম জানান,হেমতাবাদ ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ইতিমধ্যেই সত্তর শতাংশ মহিলা ছয় লক্ষ টাকার মতো লোন পেয়েছে। এই লোন নিয়ে তারা কেউ কৃষিকাজ করছে ,কেউ বা ছাগল প্রতিপালন করছে কেউ বা আবার বাড়িতেই জৈব সার কিংবা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছেন। Input- Piya Gupta
দু- বছরে আড়াই লক্ষ টাকা ও তারপর তিনবছর পর তিন লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়। ফুলাইয়া বেগম জানান,হেমতাবাদ ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ইতিমধ্যেই সত্তর শতাংশ মহিলা ছয় লক্ষ টাকার মতো লোন পেয়েছে। এই লোন নিয়ে তারা কেউ কৃষিকাজ করছে ,কেউ বা ছাগল প্রতিপালন করছে কেউ বা আবার বাড়িতেই জৈব সার কিংবা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছেন। Input- Piya Gupta

East Bardhaman News: বাজারে আলুর আগুন দাম! ক্রেতাদের ন্যায্য দামে দিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা

পূর্ব বর্ধমান: বর্তমানে সবথেকে চর্চিত একটি বিষয় হল আলু। গত  কয়েক দিনে বাজারে ব্যাপক ভাবে আলুর দাম বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছিল। আলু কিনতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছিল মধ্যবিত্তকে। এর পরই আলুর কালোবাজারি বন্ধ করতে সচেষ্ট হয় প্রশাসন।

প্রশাসনের তরফ থেকে অভিযান চালানো হয় পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে কথা বলেন আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। অবশেষে প্রশাসনের তরফে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দ্বারা ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো এবার আলু বিক্রি করতে দেখা গেল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের।

পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু জায়গাতেই ন্যায্য মূল্যে আলু বিক্রি করতে শুরু করেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নিমতলা বাজার, উত্তর শ্রীরামপুর বাজার, ও বিদ্যানগর বাজার এলাকাতেও ন্যায্য দামেই বিক্রি করা হচ্ছে আলু। এই প্রসঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তরফে সমুদ্রগড় মহিলা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের, সংঘ কো-অর্ডিনেটর সবিতা মজুমদার বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি বাজারে আলু কোথাও ৪০ টাকা আবার কোথাও ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ন্যায্য মূল্যে আমরা আলু বিক্রি করছি। এতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।”

প্রসঙ্গত প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ধর্মঘটের ফলে বাজারে আলুর দাম বেড়েছিল অনেকটাই। ধর্মঘট ওঠার পরবর্তীতে বর্তমানে বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। তবে আলুর দাম বেশি থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের। তাই সকলের কথা ভেবে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। সে কারণেই ন্যায্য মূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের দ্বারা আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে।

বর্তমানে সাধারণ ক্রেতাদের সুবিধা দিতে বাজারের থেকেও অনেকটা কম দামে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। কম দামে আলু কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারাও। এই প্রসঙ্গে আলু কিনতে এসে ক্রেতা বিমল ভৌমিক বলেন, “বাজারের থেকে অনেকটাই কম দামে এখানে আলু পাওয়া যাচ্ছে। আলু কেনার জন্যই আমি এখানে এসেছিলাম। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ, আমাদেরও সুবিধা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন- মদের দাম বাড়ছে রাজ্যে! কোন কোন সুরার উপর কী হারে, জেনে নিন 

জানা গিয়েছে, যতদিন না বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্টলে ন্যায্য মূল্যে পাওয়া যাবে আলু। স্বল্প লাভ রেখে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা এই আলু বিক্রি করছেন বলে জানা গিয়েছে। কম দামে আলু কিনে খুশি ক্রেতারাও।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bangla Video: মুরগি প্রতিপালন করে হয়ে উঠুন স্বনির্ভর! ব্যবসার মূল উপকরণ দেবে সরকার

মুর্শিদাবাদ: বাড়িতে মুরগি পালন করে হয়ে উঠুন স্বনির্ভর। বিশেষ করে পরিবারের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে বিরাট উদ্যোগ নিল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের সবর্ত্র মহিলাদের স্বনির্ভর করার কাজ জোরকদমে চলছে। গরিব মহিলাদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি রাজ্যে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রক।

হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে মোট ৪৮১ জনকে ১০ টি করে মুরগির বাচ্চা দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী অসহায় দুঃস্থ মহিলারা যাতে ডিম উৎপাদন করে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারেন তার জন্যই এমন পদক্ষেপ। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ, বিএলডিও সন্তু দত্ত সহ আরও অনেকে।

আর‌ও পড়ুন: আলুর দোকানদারি করছেন বিডিও! ফিরল স্বস্তি, দেখুন ভিডিও

প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার সব সময় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা প্রদান করছে। আর সেই লক্ষ্যেই পরিবারের মহিলাদের হাতে মুরগির ছানা তুলে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই মুরগির বাচ্চাগুলোকে বড় করে সেই ডিম বিক্রির মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবেন মহিলারা। সরকারি প্রাণী মিত্ররা নির্দিষ্ট সময় অন্তর মুরগিগুলিকে ভ্যাকসিন দেবেন। তাছাড়া কীভাবে মুরগি প্রতিপালন করতে হবে তার নির্দেশিকা সম্বলিত একটি করে পুস্তিকা প্রত্যেক মহিলাকে দেওয়া হয়েছে।

কৌশিক অধিকারী

Potato price hike: আলুচাষিদের মুখে হাসি ফোটাতে বিশেষ উদ্যোগ নবান্নের! বন্ড কিনবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী

কলকাতা: আলুর আগুনদাম নিয়ে জ্বলছে বাজার। প্রশাসনের নির্দেশে জোর করে দাম কমাতে গিয়ে বিপাকে আলু চাষিরা। তাঁরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। স্থানে স্থানে ধর্মঘট আলুচাষিদের। এই পরিস্থিতিতে খবর, আলুচাষিদের থেকে এবার আলুর বন্ড কিনবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। একাধিক আলুব্যবসায়ীর ধর্মঘট মোকাবিলা করতে আপাতত এই পদক্ষেপ রাজ্যের। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে জেলায় জেলায় আলু বিক্রির স্টল দেওয়া হবে। কৃষকদের থেকে আলু কিনে সরাসরি বাজারে বিক্রি করবে। সোমবার এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

গত কয়েকদিনে আকাশ ছোঁয়া হয়েছিল সবজি-সহ আলুর দাম। শেষে দাম নিয়ন্ত্রণে নবান্ন থেকে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে বাজারে টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা ঘুরতে থাকেন। তাতে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩২ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন বাজারে। তবে এবার আরও কম দামে আলু পেলেন বসিরহাটে বেশ কিছু বাসিন্দা।

জেলার বসিরহাটের খোলাপোতা ও কচুয়া এলাকায় সরকারি উদ্যোগে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। বসিরহাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে কম দামে আলু বিক্রি করা হয়। খোলা বাজারের থেকে এতটা কম দামে আলু পেয়ে তা কিনতে উপচে পড়ে সাধারণ মানুষের ভিড়।

আরও পড়ুন- ৯ বছর বয়সেই জাতীয় স্তরে সাফল্য! ছোট্ট মেয়ের কৃতিত্বে গর্বিত সকলে

বসিরহাট-২ ব্লকের বিডিও সৌমিত্র প্রতি প্রধানের উপস্থিতিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মাত্র ২৭ টাকা কেজি ধরে আলু বিক্রি করেন। এই বিষয়ে বসিরহাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বুলবুল ইসলাম জানান, সাধারণ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য আলু। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে অনেক পরিবারের সমস্যা হচ্ছে। সেজন্য সরকারি উদ্যোগে আলু বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আমরা লক্ষ্য রাখছি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে খোলা বাজারে বিভিন্ন জায়গায় আউটলেট করে এ ভাবে আলু বিক্রিতে বাজারদর কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হবে তা বলাই বাহুল্য।

 

Potato Price: ২৭ টাকায় আলু! কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল মানুষ

উত্তর ২৪ পরগনা: গত কয়েকদিনে আকাশ ছোঁয়া হয়েছে সবজি সহ আলুর দাম। শেষে দাম নিয়ন্ত্রণে নবান্ন থেকে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে বাজারে টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা ঘুরতে থাকেন। তাতে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩২ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন বাজারে। তবে এবার আরও কম দামে আলু পেলেন বসিরহাটে বেশ কিছু বাসিন্দা।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের খোলাপোতা ও কচুয়া এলাকায় সরকারি উদ্যোগে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। বসিরহাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে কম দামে আলু বিক্রি করা হয়। খোলা বাজারের থেকে এতটা কম দামে আলু পেয়ে তা কিনতে উপচে পড়ে সাধারণ মানুষের ভিড়।

আর‌ও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের কতটা প্রভাব পড়েছে সুন্দরবনের মিন সংগ্রহকারী মহিলাদের উপর?

বসিরহাট-২ ব্লকের বিডিও সৌমিত্র প্রতি প্রধানের উপস্থিতিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মাত্র ২৭ টাকা কেজি ধরে আলু বিক্রি করেন। এই বিষয়ে বসিরহাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বুলবুল ইসলাম জানান, সাধারণ মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য আলু। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে অনেক পরিবারের সমস্যা হচ্ছে। সেজন্য সরকারি উদ্যোগে আলু বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আমরা লক্ষ্য রাখছি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে খোলা বাজারে বিভিন্ন জায়গায় আউটলেট করে এভাবে আলু বিক্রিতে বাজারদর কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হবে তা বলাই বাহুল্য।

জুলফিকার মোল্যা

Mangrove Plantation: কাঁকড়া চারা রোপণ! সুন্দরবনকে বাঁচাতে গুরু দায়িত্বে ভূমিকন্যারা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের ভঙ্গুর নদীর বাঁধে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির কাঁকড়া চারা রোপণ! ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় হাত থেকে জন্মভূমি সুন্দরবনকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন গ্রামের মহিলারা। আর তার জন্যই নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

কথায় আছে ‘নদীর ধারে বাস, চিন্তা বারো মাস’। আয়লা থেকে আমফান, একের পর এক ঘূর্ণিঝড় এসে গোটা সুন্দরবনকে তছনছ করে দিয়ে যায়। প্রতিবছরই কোন‌ও না কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে সুন্দরবনের মানুষজন। আশ্রয়হীন হন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, এই সকল ঘূর্ণিঝড় ঠেকাতে হলে সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। কারণ ম্যানগ্রোভ বনভূমি যত ঘন হবে তত ঘূর্ণিঝড় প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আর তবেই বাঁচবে সুন্দরবন।

আরও পড়ুন: বর্ষা এলেই প্রাণ কাঁপে নদী পাড়ের মানুষগুলোর! সুন্দরবন জুড়ে এখন শুধুই আতঙ্কের ছবি

কিন্তু এই চরম সত্যটি জানার পরও সুন্দরবনে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে ম্যানগ্রোভ বনভূমি নিধন ক্রমাগত ঘটেই চলেছে। গাছ কাটা হচ্ছে, পাচার হয়ে যাচ্ছে দামি দামি ম্যানগ্রোভ গাছ। অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা ম্যানগ্রোভ কেটে তৈরি করছেন ফিশারি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত কয়েক বছরে সুন্দরবন জুড়ে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা বসানো হয়েছে। সেই উদ্যোগে শামিল হয়ে বাসন্তী ব্লকের প্রত্যান্ত ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হেড়োভাঙা মৌজায় ত্রিদিব নগর বালিখাল বাজার সংলগ্ন এলাকায় জিরো গ্রাউন্ডে জয় গোপালপুর গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রর উদ্যোগে ভঙ্গুর নদী বাঁধে ম্যানগ্রোভের কাঁকড়া প্রজাতির চারা রোপণ করলেন এখানকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

সুমন সাহা

Utkarsh Bangla: পথ দেখাচ্ছে কচুরিপানা! উৎকর্ষ বাংলার হাত ধরে রোজগারের নতুন দিশা

মুর্শিদাবাদ: গয়না থেকে কচুরিপানা, উৎকর্ষ বাংলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে হরেক রকম জিনিস তৈরি করা শিখছে আজকের প্রজন্ম। আর এই পথ ধরেই হয়ে উঠছে স্বনির্ভর। এইদিকে লক্ষ্য রেখেই বহরমপুরে উৎকর্ষ বাংলার সেমিনার আয়োজন করা হল।

উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আগামী দিনে সাবলম্বী হতে পারবেন। সেই লক্ষ্যে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন ধরনের গয়না তৈরি থেকে শুরু করে মাটির কাজ এমনকি পাটের সামগ্রী তৈরির কাজও শিখছে সবাই।

আরও পড়ুন: গান লিখে দিকে দিকে ছড়িয়ে দেন পরিবেশ রক্ষার বার্তা, ৭৪-এর বৃদ্ধর উদ্যোগ অবাক করবে

এই উৎকর্ষ বাংলা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে পাট থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা শেখানো হচ্ছে। এছাড়াও কচুরিপানা থেকে হস্তশিল্পের নজরকাড়া সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে আজকের দিনে। এইভাবেই বাংলার মানুষের কাছে পরিত্যাজ্য কচুরিপানা হয়ে উঠেছে রোজগারের পথ দেখানোর নতুন হাতিয়ার।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় উৎকর্ষ বাংলায় প্রশিক্ষণে নিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমশ বাড়ছে। হস্তশিল্প থেকে টেলারিং, মাটির কাজ থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ সবকিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখানে। উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে বহরমপুরে ৩০০ জনের বেশি কর্মী প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। যার কারণে বহরমপুর ব্লকে প্রশিক্ষিতদের নিয়ে শুরু হয় কর্মশালা। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার বহুকেন্দ্রে চলছে উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ। বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজশ্রী মিত্র সহ উৎকর্ষ বাংলার নোডাল আধিকারিক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা । অন্যদিকে এই প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি সকলে।

কৌশিক অধিকারী

Coconut Rope Doormat: নারকেল দড়ির পাপোশ তৈরি করে মালামাল হয়ে যান

দক্ষিণ দিনাজপুর: পাট ও নারকেল দড়ি দিয়ে তৈরি হচ্ছে পাপোশ। সেই পাপোশ বাজারজাত করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন মহিলারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মহিলারা এভাবেই ধীরে ধীরে নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন।

গত দু’মাস ধরে বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ জন মহিলাকে নারকেল দড়ি ও পাট থেকে পাপোশ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এমনকি শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ নয়, স্বল্প পুঁজিতে নিজেদের উৎপাদিত জিনিস বাজারজাত করার সুবন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। এতে এলাকার অনেক মহিলার সামনে নিজস্ব উপার্জনের পথ খুলে যাওয়ায় তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারছেন।

আর‌ও পড়ুন: কোভিড লকডাউনে শিল্প বিপ্লব! নারকেলের খোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে একের পর এক মূর্তি

এই বিষয়ে প্রশিক্ষক অপর্ণা সরকার বলেন, স্বল্প পুঁজিতে মহিলারা যাতে পাট এবং নারকেলের দড়ি দিয়ে তৈরি পাপোশ বানিয়ে স্বনির্ভর হতে পারেন সেই কারণে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিবিরে আসা মহিলারা প্রত্যেকেই মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাইজ অনুযায়ী এক একটি পাপোশ মেশিনে তৈরি করতে সময় লাগছে ২ থেকে ৩ দিন। পাশাপাশি হাতে বোনা পাটের পাপোশ তৈরি করতে সময় লাগছে ৭ থেকে ১০ দিন। পাশাপাশি পাপোশের সাইজ অনুযায়ী বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০০- ১২০০ টাকায়। এই চাহিদাতেই তাঁরা হাতের কাজের এসব সামগ্রী বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।

এমনকি দেশের পাশাপাশি এই সমস্ত হাতে তৈরি পাপোশের চাহিদা আছে বিদেশের বাজারে‌ও। এছাড়াও, দূষণ রুখতে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ জোগাচ্ছে সরকার। এই সকল জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আর সেক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। সহজলভ্য পাটের কাজ শিখে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তাঁরা।

সুস্মিতা গোস্বামী