মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গাতে বেপরোয়া টোটোর দৌরাত্ম্যের ফলে পথ চলতি মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। প্রায় দিনই জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বিভিন্ন জায়গায় টোটোর কোনও রকম রেজিস্ট্রেশন নম্বর না থাকায় সমস্যায় পড়তে হত পুলিশ প্রশাসনকে। অনেক সময় দুষ্কৃতীরা এই টোটো নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অসাধু কাজকর্ম চালায় বলে অভিযোগ।

Heat Stroke: নলকূপের জল পানের পর‌ই ঢলে পড়লেন টোটো চালক! গোটাটা দেখে ভয় পাবেন আপনিও

বাঁকুড়া: রোজের মত‌ই সকালে টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। প্রচন্ড গরম থাকলেও না বেরিয়ে উপায় ছিল না টোটো চালক শোভন পুজারুর। না হলে যে সংসার চলবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর। প্রচন্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই একটি নলকূপ থেকে জল নিয়ে পান করেন। কিন্তু কেইবা জানত এটাই ছিল তাঁর জীবনের শেষ জলপান! জলপান করার পর‌ই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন ওই টোটো চালক। দ্রুত আশেপাশের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণের সব শেষ।

টোটো চালকের এমন হঠাৎ মৃত্যুতে রীতিমত বিচলিত বাঁকুড়া শহরের মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, টোটো চালক শোভন শহর লাগোয়া আঁচুড়ি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন। অন্যান্য দিনের মত মঙ্গলবারও তিনি টোটো নিয়ে শহরে যান। দুপুর নাগাদ প্রবল গরমে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন ওই যুবক। তাই শহরের পাঁচবাগা এলাকার একটি নলকূপের জল পান করেন। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: গত বছরের দুঃসহ স্মৃতি আজও টাটকা, বর্ষা আসতেই তিস্তার আগ্রাসীর রূপ নিয়ে চিন্তা

বাঁকুড়ার উপ-পুরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ সহ স্থানীয় বাসিন্দারা ওই অসুস্থ যুবককে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে বাঁকুড়া পুরসভার উপ-পুরপ্রধান জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী