Tag Archives: Heat Wave

Jute Cultivation: গরমের পর কালবৈশাখী, দফারফা পাট চাষের!

কোচবিহার: এবার পাট চাষের মরশুমের শুরু থেকেই অস্বস্তির মুখে পড়েছিলেন চাষিরা। তীব্র গরম পাট চাষের অনেকটাই ক্ষতি করেছে। সেই ক্ষতির ধাক্কা এখনও পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি কৃষকেরা। জলসেচ পর্যাপ্ত পরিমাণে দিলেও পাটের চাষ খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এরই মাঝে জেলাজুড়ে কালবৈশাখের পূর্বাভাস অনেকটাই চিন্তায় ফেলেছে চাষিদের। গরমের দাবদাহে বেশিরভাগ জমির পাট ঝলসে গিয়েছে। এবার কালবৈশাখীর দাপটে বাকি পাট‌ও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় চাষিরা।

আরও পড়ুন: নতুন বাঁধ তৈরি না হলে শেষ হয়ে যাবে চাষবাস! এখানে ভয়ঙ্কর সঙ্কট

কোচবিহার জেলায় মোট চাষযোগ্য জমির প্রায় ৪০ শতাংশতেই পাট চাষ করা হয়। তীব্র গরমের মধ্যে মোট পাট চাষের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষকদের দাবি। জেলার এক পাট চাষি সুভাষ কাহালি জানান, তীব্র গরমে এবার পাট চাষের দফারফা হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ জমির পাট পর্যাপ্ত জল না পাওয়ার কারণে শুকিয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে পাটের চারা গজাতে অনেকটাই সময় লেগেছে। ফলে পাটের মরশুম অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই কারণে চিন্তায় বেশিরভাগ পাট চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে যদি দ্রুত পাট চাষিদের সহায়তা প্রদান করা না হয় তবে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দেবে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত জমিতে পাট অবশিষ্ট রয়েছে সেই জমিগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সেচের প্রয়োজন রয়েছে। না হলে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা।

সার্থক পণ্ডিত

Summer Tips: আপনার সিলিং ফ্যানে করুন এই ছোট কাজ, তাহলেই ঘরে উঠবে ঝড়! এসি-কুলার ছাড়াই মিলবে গরম থেকে মুক্তি

দিন যতই এগোচ্ছে গরম ততই বাড়ছে। মাঝে মাঝে এমন অসহ্য গরম পড়ছে যা সহ্য করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এসি ও এয়ার কুলার কেনার চাহিদা। কারণ গরম থেকে বাঁচতে এসি বা কুলার ছাড়া এখন উপায় নেই।
দিন যতই এগোচ্ছে গরম ততই বাড়ছে। মাঝে মাঝে এমন অসহ্য গরম পড়ছে যা সহ্য করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এসি ও এয়ার কুলার কেনার চাহিদা। কারণ গরম থেকে বাঁচতে এসি বা কুলার ছাড়া এখন উপায় নেই।
তবে সকলের আবার এসি বা কুলার কেনার মত সামর্থ্য নেই। ফলে তাদের কাছে ফ্যানই গরম থেকেস বাঁচার একমাত্র উপায়। কিন্তু গরম কালে সকলেই চায় ফ্যানের স্পিড যদি আরও একটু বেশি হত, তাহলে কত ভাল হত।
তবে সকলের আবার এসি বা কুলার কেনার মত সামর্থ্য নেই। ফলে তাদের কাছে ফ্যানই গরম থেকেস বাঁচার একমাত্র উপায়। কিন্তু গরম কালে সকলেই চায় ফ্যানের স্পিড যদি আরও একটু বেশি হত, তাহলে কত ভাল হত।
অনেক সময় আমরা দেখি আমাদের ফ্যানের গতি অনেক ধীর হয়ে যায়। যদি ফ্যানটি ধীর গতিতে চলতে শুরু করে, তবে ঘরের বাতাস সঠিকভাবে সঞ্চালিত হয় না এবং গরম অবস্থাকে আরও খারাপ করে তোলে। অনেকে মনে করেন তাদের ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে এবং এখন তাদের নতুন সিলিং ফ্যানের জন্য ব্যয় করতে হবে।
অনেক সময় আমরা দেখি আমাদের ফ্যানের গতি অনেক ধীর হয়ে যায়। যদি ফ্যানটি ধীর গতিতে চলতে শুরু করে, তবে ঘরের বাতাস সঠিকভাবে সঞ্চালিত হয় না এবং গরম অবস্থাকে আরও খারাপ করে তোলে। অনেকে মনে করেন তাদের ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছে এবং এখন তাদের নতুন সিলিং ফ্যানের জন্য ব্যয় করতে হবে।
কিন্তু এমনটা অনেক সময় হয় না। কারণ  ফ্যানে ছোটখাটো কিছু জিনিসের কারণে গতি কমে গেছে তাও হতে পারে। তাই এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে বলি যা আপনার ফ্যানের গতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
কিন্তু এমনটা অনেক সময় হয় না। কারণ ফ্যানে ছোটখাটো কিছু জিনিসের কারণে গতি কমে গেছে তাও হতে পারে। তাই এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে বলি যা আপনার ফ্যানের গতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
ক্যাপাসিটর ডিফেক্ট:- ক্যাপাসিটর সিলিং ফ্যানে মোটরকে সঠিক পাওয়ার দেওয়ার জন্য কাজ করে। একটি ত্রুটিযুক্ত ক্যাপাসিটর ৯০ শতাংশের বেশি সিলিং ফ্যানের সমস্যা সৃষ্টি করে। যখন ক্যাপাসিটর খারাপ হয়ে যায়, তখন এটি মোটরে বিদ্যুৎ স্থানান্তর করতে অক্ষম হয়, যার কারণে ফ্যানের গতি যথেষ্ট আস্তে হতে শুরু করে।
ক্যাপাসিটর ডিফেক্ট:- ক্যাপাসিটর সিলিং ফ্যানে মোটরকে সঠিক পাওয়ার দেওয়ার জন্য কাজ করে। একটি ত্রুটিযুক্ত ক্যাপাসিটর ৯০ শতাংশের বেশি সিলিং ফ্যানের সমস্যা সৃষ্টি করে। যখন ক্যাপাসিটর খারাপ হয়ে যায়, তখন এটি মোটরে বিদ্যুৎ স্থানান্তর করতে অক্ষম হয়, যার কারণে ফ্যানের গতি যথেষ্ট আস্তে হতে শুরু করে।
তাই ফ্যান থেকে মুক্ত বাতাস চাইলে ক্যাপাসিটর পরিবর্তন করতে পারেন। বাজারে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত দামে ভালো ক্যাপাসিটর পাওয়া যায়। এটি পরিবর্তন করলে ফ্যানের গতি দ্বিগুণ হতে পারে। যা আপনাকে গরমে অনেকটাই আরাম দেবে।
তাই ফ্যান থেকে মুক্ত বাতাস চাইলে ক্যাপাসিটর পরিবর্তন করতে পারেন। বাজারে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত দামে ভালো ক্যাপাসিটর পাওয়া যায়। এটি পরিবর্তন করলে ফ্যানের গতি দ্বিগুণ হতে পারে। যা আপনাকে গরমে অনেকটাই আরাম দেবে।
অনেক সময় ফ্যানের ব্লেডের অ্যালাইনমেন্টে ব্যাঘাতের কারণে ফ্যানের গতিতে ত্রুটি শুরু হয়। ফ্যানের ব্লেড যদি কোথাও ধাক্কা লেগে বা অন্য কারণে বেঁকে যায়, তাহলে ফ্যানের হাওয়া সঠিকভাবে পাওয়া যায়না। সেটি দেখে নিলে বা সারিয়ে নিলে ফের দ্রুত হাওয়া পাওয়া যাবে।
অনেক সময় ফ্যানের ব্লেডের অ্যালাইনমেন্টে ব্যাঘাতের কারণে ফ্যানের গতিতে ত্রুটি শুরু হয়। ফ্যানের ব্লেড যদি কোথাও ধাক্কা লেগে বা অন্য কারণে বেঁকে যায়, তাহলে ফ্যানের হাওয়া সঠিকভাবে পাওয়া যায়না। সেটি দেখে নিলে বা সারিয়ে নিলে ফের দ্রুত হাওয়া পাওয়া যাবে।

Vegetable Cultivation: মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি! গরম বাড়ায় চাষির পেটে কিল

মুর্শিদাবাদ: তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলা। এবার বৈশাখে কালবৈশাখীর দেখা নেই। উল্টে সূর্যের তীব্র তাপে চারদিক যেন ঝলসে যাচ্ছে। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে চাষাবাদেও। ফলে মাথায় হাত সবজি চাষিদের।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা রাজ্যের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাতেও বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে মারাত্বক সঙ্কটে পড়েছেন হরিহরপাড়ার দস্তুরপাড়া, শ্রীহরিপুর, হোসেনপুর মাদারতলা রায়পুর সহ বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিরা। গরমে ঝলসে মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজি।

আর‌ও পড়ুন: একটা বনসাইয়ের দাম ১০ লক্ষ টাকা! বাংলাতেই আছে সেই বিরল বাগান

কৃষকরা জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পটল, বেগুন, করলা, লঙ্কা, শসা সহ বিভিন্ন সবজি গাছ জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য সরকারি সাহায্যের আরজি জানান চাষিরা। কৃষকরা এও জানান, এত বেশি তাপমাত্রা মুর্শিদাবাদ জেলাতে আগে কোনওদিন লক্ষ্য করা যায়নি। এবার তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রিতে সেলসিয়াসেও পৌঁছে গিয়েছিল। এর ফলে পটল, ঝিঙে, করলার মত সমস্ত সবজি মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘরে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। তীব্র তাপদাহে বার বার জল দিলেও মাটি শুকিয়ে ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড গরমে খাল, নদী, নালা শুকিয়ে যাওয়ায় সেচের জন্য পর্যাপ্ত জলও পাওয়া যাচ্ছে না

চাষিদের পাশাপাশি চিন্তায় পড়ছে জেলা কৃষি এবং উদ্যাণ পালন দফতরও। রাজ্য থেকে জেলার কৃষি কর্তারা সকলেই মানছেন, তীব্র দাবদাহে ক্ষতির একটা আশঙ্কা তো থাকেই। জেলায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার পারদ চড়েছে ভালোই। ৪১-৪২-৪৩ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামছে না। তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্যাণ পালন দফতরের এক কর্তা বলেন, সবজি চাষ এত তাপমাত্রার জন্য ক্ষতি হবে এটা খুব স্বাভাবিক।

কৌশিক অধিকারী

Heat Wave: খাঁ খাঁ করছে সবুজের দোকান, উপচে পড়া ভিড় এই বিক্রয় কেন্দ্রে! কেন জানেন?

জলপাইগুড়ি: দিনের পর দিন বাড়ছে তাপের দাপট। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। এই গরম থেকে বাঁচতে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চোখে পড়ছে নানান কর্মকাণ্ড। অনেকেই রাত হলেই ছাদ জুড়ে ঠান্ডা জল ঢালছেন। এই মজাদার কীর্তিগুলি বাদ দিয়ে বাইরে গেলেই চোখে পড়ে বাস্তবের করুণ দৃশ্য। বিক্রি নেই চারা গাছের। বরং ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রিক বিক্রির দোকানে এসি কেনার জন্য মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

দক্ষিণবঙ্গের মত না হলেও উত্তরবঙ্গেও এখন যথেষ্ট গরম। জলপাইগুড়িতে এখন বেলা বাড়তেই তাপমাত্রা পৌঁছে যাচ্ছে ৩৫-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মধ্য দুপুরে তাপমাত্রা যখন চরমে তখন জলপাইগুড়ির রাজপথ রীতিমত জনশূন্য হয়ে পড়ছে। উত্তরের বন জঙ্গল, ঝরনা, নদী, পাহাড় পরিবেশিত শান্ত ও শীতল এই শহরের তাপমাত্রাও যে এতটা বেড়ে যাবে তা কেউ কয়েক বছর আগেও কল্পনা করতে পারেননি। গত চার দশকের মধ্যে এই প্রথম তাপমাত্রা এতটা ঊর্ধ্বমুখী এই শহরে। কিন্তু আবহাওয়ার এমন আকাশ-পাতাল তফাতেও যেন হুঁশ ফিরছে না আমজনতার।

আর‌ও পড়ুন: ধান ছেড়ে ‘সুপার ফুড’ কাউনের চাষ, ভাগ্য খুলে গিয়েছে কৃষকদের

দেখা যাচ্ছে ইলেকট্রনিক দোকানের পাশেই খাঁ খাঁ করছে চারা গাছ বিক্রির দোকানগুলো। সরকারি নার্সারিতে লক্ষাধিক টাকার চারা গাছ পড়ে রয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি বেশি করে গাছ লাগালে তবেই একমাত্র জলবায়ুর হাল ফিরতে পারে। কিন্তু চট জলদি নিস্তার পাওয়ার আশায় সকলে এখন এসি, কুলার ইত্যাদি কেনার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এর পরিণতি আগামী দিনে ভয়াবহ হতে পারে বলে পরিবেশপ্রেমীদের আশঙ্কা।

সুরজিৎ দে

Biri Demand: গরম বাড়তেই বেড়েছে বিড়ির চাহিদা, যোগান দিয়ে উঠতে পারছেন না শ্রমিকরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: এই তীব্র গরমে স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা পানীয় জলের চাহিদা বেড়েছে। তবে আরও এমন একটা জিনিসের চাহিদা বেড়েছে যা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিড়ির চাহিদা! কিন্তু এই তুঙ্গ চাহিদা সামলে উঠতে পারছেন না বিড়ি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দোকানদার কেউই। কারণ গরমের জন্য বেশি কাজ করতে পারছেন না বিড়ি শ্রমিকরা। ফলে চাহিদা ও যোগানের বিরাট ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, কুলতলি গোসাবা, বাসন্তি, ক্যানিং, বজবজ এই সমস্ত এলাকায় বহু মানুষ বিড়ি বাঁধাই শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এই প্রচন্ড গরমের জন্য এই সব বিড়ি শ্রমিকরা ইচ্ছে থাকলেও বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। ফলে বিড়ির বাড়তি চাহিদা যোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ভোট কাটাকুটির অঙ্কে মুর্শিদাবাদে ‘পদ্ম’ ফোটানোর আশা

বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বেশ কম। তার উপর দীর্ঘদিন এই কাজ করার ফলে নানান কঠিন অসুখে তাঁরা আক্রান্ত হন। তবেৎসংসার সামাল দিতে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। একটাই এই গরমের মধ্যে বিড়ি তৈরি করতে গেলে এই সমস্ত শ্রমিকদের তাই একই জায়গায় একভাবে বসে থেকে সারাদিন ধরে বিড়ি তৈরি করতে হয় এবং এবং বাধা হয়ে গেলে সেগুলি আবার আগুনে সেঁকে নিতে হয়। কিন্তু এই গরমে বেশিক্ষণ এইভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই চাহিদা থাকলেও বিড়ির যোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে অনেক সময় বাজারে বিড়ি কিনতে গিয়ে হতাশ হতে হচ্ছে বিড়িপ্রেমীদের।

সুমন সাহা

Bangla Video: ওদের জন্য শহরজুড়ে বসল জলের পাত্র

হাওড়া: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। সকাল ১০ টার পর থেকে নিতান্তই প্রয়োজন না থাকলে আর রাস্তায় বেরোচ্ছে না কেউ। কিন্তু মানুষের কাছে যে সুযোগ আছে তা তো আর পথকুকুর বা অন্যান্য পথচারী প্রাণীদের নেই। এই গরমে শারীরবৃত্তীয় কারণে সারমেয়দের কষ্ট আরও বেশি হয়। তাছাড়া তীব্র তাপে চারিদিক শুকিয়ে যাওয়ায় তারা ঠিক করে জল পান’টুকুও করতে পারছে না। এই অবস্থায় পথকুকুরদের জন্য এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাওড়া শহরজুড়ে জলের পাত্র বসাল পুরসভা।

আর‌ও পড়ুন: পটে আঁকা ছবি গরম থেকে মুক্তির পথ দেখাবে!

এই গরমে হাওড়া পুরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পওশম হাওড়ার’ এমন উদ্যোগের ফলে কুকুরদের পাশাপাশি বিড়াল, পাখিরাও স্বস্তি পাবে। হাওড়া পুরসভা, শরৎ সদন, মেট্রো গেট, কোর্ট চত্বর, মঙ্গলা হাট সহ ৩০ টি জায়গায় এই জলের পাত্র বসানো হয়েছে। যেখানে এই গরমের দিনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশু এবং পাখিরা তৃষ্ণা মেটাতে পারবে।

এই প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা শৈলেশ উপাধ্যায় জানান, তাঁরা সারা বছরই এই ধরনের কাজ করেন। এবার এই গরমে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাঁরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।

রাকেশ মাইতি

Pattachitra: পটে আঁকা ছবি গরম থেকে মুক্তির পথ দেখাবে!

পশ্চিম মেদিনীপুর: দিনের পর দিন জেলার তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বেলা বাড়লেই বাইরে থাকা দায় হয়ে উঠছে সকলের। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রচন্ড গরমের কারণে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন? সেই উপায় মানুষের কাছে তুলে ধরতে বিশেষ পটে ছবি আঁকলেন পট শিল্পীরা, লিখেছেন গানও। মানুষকে সচেতন করতে তাঁদের এই বিশেষ ভাবনা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়াগ্রাম পটশিল্পের জন্য বিখ্যাত। এই গ্রামের সকলেই পট শিল্পে যুক্ত। এখানকার শিল্পীরা বিভিন্ন সময় সামাজিক কিংবা নানান সচেতনতামূলক ছবি এঁকে মানুষের কাছে পৌঁছন। এবার তাঁরা দাবদাহের হাত থেকে বাঁচার উপায় তুলে ধরলেন সকলের সামনে।

আর‌ও পড়ুন: বসিরহাটের এক‌ই মাদ্রাসা থেকে ফাজিলের মেধাতালিকায় প্রথম দুই

চলতি বছর পশ্চিম মেদিনীপুর সহ গোটা পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৭ ডিগ্রির গণ্ডি। এই প্রচন্ড দাবদাহ থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে কী কী নিয়ম মানা জরুরি? কীভাবে থাকতে হবে সকলকে, সেসবের বিস্তারিত বিরণ ছবি এঁকে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন পটশিল্পীরা। শিল্পী বাহাদুর চিত্রকরের তত্ত্বাবধানে এই পট এঁকেছেন শিল্পীরা, লিখেছেন গানও। পটশিল্পীদের এই ভাবনাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Summer Tips: তীব্র গরমেও কিনতে পারছেন না এসি-কুলার! এই উপায়ে ঘর হবে সহজেই ঠান্ডা

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত বঙ্গবাসীর। চাতকের মত আকাশ পানে চেয়ে বৃষ্টির অপেক্ষায়।  পরিস্থিত এমন যে বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা, ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা এতটাই যে থাকা দায় হয়ে উঠছে। যাদের এসি নেই তাদের অবস্থা তো আরও শোচনীয়।
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত বঙ্গবাসীর। চাতকের মত আকাশ পানে চেয়ে বৃষ্টির অপেক্ষায়। পরিস্থিত এমন যে বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা, ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা এতটাই যে থাকা দায় হয়ে উঠছে। যাদের এসি নেই তাদের অবস্থা তো আরও শোচনীয়।
এই পরিস্থিতিতে এসি না থাকলে কীভাবে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায় তার নানা উপায় অবলম্বন করছে দগ্ধ বঙ্গবাসী। এই প্রতিবেদনে ১০টি এমন উপায় তুলে ধরে হল যেগুিল মেনে চললে এই গরমে আপনার ঘর ঠান্ডা থাকবে অনেকটাই।
এই পরিস্থিতিতে এসি না থাকলে কীভাবে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায় তার নানা উপায় অবলম্বন করছে দগ্ধ বঙ্গবাসী। এই প্রতিবেদনে ১০টি এমন উপায় তুলে ধরে হল যেগুিল মেনে চললে এই গরমে আপনার ঘর ঠান্ডা থাকবে অনেকটাই।
১. অনেকেই এই গরমে দরজা বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু তাতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। দরজা খোলা রাখুন যতটা সম্ভব। তাতে ঘরের ভিতর হাওয়া খেলবে ও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ঘরের মেঝে বারার মুছতে পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাপমাত্রা।
১. অনেকেই এই গরমে দরজা বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু তাতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। দরজা খোলা রাখুন যতটা সম্ভব। তাতে ঘরের ভিতর হাওয়া খেলবে ও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ঘরের মেঝে বারার মুছতে পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাপমাত্রা।
২. দরজার পাশাপাশি ঘরের জানালা খেলা রাখুন। কিন্তু জানালের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখাই ভালো। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের দেয়ালে জানালা থাকলে অবশ্যই পর্দা টেনে রাখুন। আর পর্দা যদি একটু ভারী কাপড়ের হয় তাহলে আরও ভালো। পর্দা টেনে রাখলে একদিকে যেমন হাওয়া খেলবে অপরদিকে রোদের হিট ঘরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না।
২. দরজার পাশাপাশি ঘরের জানালা খেলা রাখুন। কিন্তু জানালের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখাই ভালো। দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের দেয়ালে জানালা থাকলে অবশ্যই পর্দা টেনে রাখুন। আর পর্দা যদি একটু ভারী কাপড়ের হয় তাহলে আরও ভালো। পর্দা টেনে রাখলে একদিকে যেমন হাওয়া খেলবে অপরদিকে রোদের হিট ঘরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবে না।
৩. গরমে সিন্থেটিক টাইপের চাদর বা মোটা কাপড়ের চাদর একেবারেই বিছানায় পাতা উচিত নয়। কারণ এই সকল কাপড় তাড়াতাড়ি হিট হয়ে ওঠে ও সহজে ঠান্ডা হয় না। তাই এই গরমে বিছানায় সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর বিছালে বিছানা ঠাণ্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বেডকভার ও বেডশিট পরিবর্তন করুন। এতে শুধু ঠাণ্ডা নয়, মানসিকভাবেও ফ্রেশও লাগবে।
৩. গরমে সিন্থেটিক টাইপের চাদর বা মোটা কাপড়ের চাদর একেবারেই বিছানায় পাতা উচিত নয়। কারণ এই সকল কাপড় তাড়াতাড়ি হিট হয়ে ওঠে ও সহজে ঠান্ডা হয় না। তাই এই গরমে বিছানায় সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর বিছালে বিছানা ঠাণ্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বেডকভার ও বেডশিট পরিবর্তন করুন। এতে শুধু ঠাণ্ডা নয়, মানসিকভাবেও ফ্রেশও লাগবে।
৪. ঘরে বিপরীত ভেন্টিলেশন রাখা উচিৎ। তাতে ঘরের হাওয়া একদিক থেকে ঢুকে অন্য দিক থেকে বেরিয়ে যেতে সুবিধা হয়। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিম এই দুই দিকের জানালায় সানশেড লাগান। এই দুই পদ্ধতি মেনে চললেও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪. ঘরে বিপরীত ভেন্টিলেশন রাখা উচিৎ। তাতে ঘরের হাওয়া একদিক থেকে ঢুকে অন্য দিক থেকে বেরিয়ে যেতে সুবিধা হয়। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিম এই দুই দিকের জানালায় সানশেড লাগান। এই দুই পদ্ধতি মেনে চললেও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৫. রান্না ঘরে গ্যাস, ইন্ডাকশন কুকার চলায় রান্না ঘর সবথেকে বেশি হিট হয়ে থাকে। তারউপর এই গরম। ফলে সেই হিট অন্যান্য ঘরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে রান্না ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করুণ। যাতে গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যায়। বাথরুমে ব্যবহার করুণ এক্সহস্ট ফ্যান।
৫. রান্না ঘরে গ্যাস, ইন্ডাকশন কুকার চলায় রান্না ঘর সবথেকে বেশি হিট হয়ে থাকে। তারউপর এই গরম। ফলে সেই হিট অন্যান্য ঘরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে রান্না ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অবশ্যই এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করুণ। যাতে গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যায়। বাথরুমে ব্যবহার করুণ এক্সহস্ট ফ্যান।
৬. রোদের তাপ খুব বেশি থাকলে যেমনটা এই সময় রয়েছে তাতে ঘরের জানালা দিনের বেলায় বন্ধ করে রাখতে পারেন। তাতে ঘরে হিট কম ঢুকবে। কিন্তু রাতের বেলায় কোনও সমস্যা না থাকলে জানালা খুলে ঘমান। তাতে ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
৬. রোদের তাপ খুব বেশি থাকলে যেমনটা এই সময় রয়েছে তাতে ঘরের জানালা দিনের বেলায় বন্ধ করে রাখতে পারেন। তাতে ঘরে হিট কম ঢুকবে। কিন্তু রাতের বেলায় কোনও সমস্যা না থাকলে জানালা খুলে ঘমান। তাতে ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
৭. রান্না তো করতে হবেই। তা তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তবে গ্রিল জাতীয় রান্না এই সময় কম করাই ভালো। সবথেকে ভালো যদি বন্ধ রাখা যায়। কারণ গ্রিল জাতীয় রান্নায় অনেক বেশি পরিমাণে হিট উৎপন্ন হয় যা ঘরের পরিবেশও গরম করে তোলে।
৭. রান্না তো করতে হবেই। তা তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তবে গ্রিল জাতীয় রান্না এই সময় কম করাই ভালো। সবথেকে ভালো যদি বন্ধ রাখা যায়। কারণ গ্রিল জাতীয় রান্নায় অনেক বেশি পরিমাণে হিট উৎপন্ন হয় যা ঘরের পরিবেশও গরম করে তোলে।
৮. এই গরমে ঘরে অযথা বেশি পাওয়ারের আলো না জ্বালানোই ভালো। তাতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কম পাওয়ারের লাইট আর যেই ঘরে প্রয়োজন নেই সেই ঘরের লাইট বন্ধ রাখাই শ্রেয়। এলইডি লাইট ব্যবহার করলেও তাপমাত্র কম হয়।
৮. এই গরমে ঘরে অযথা বেশি পাওয়ারের আলো না জ্বালানোই ভালো। তাতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কম পাওয়ারের লাইট আর যেই ঘরে প্রয়োজন নেই সেই ঘরের লাইট বন্ধ রাখাই শ্রেয়। এলইডি লাইট ব্যবহার করলেও তাপমাত্র কম হয়।
৯. ঘরোয়া উপায়তে এসি বানাতে পারেন আপনি। তারজন্য টেবিল ফ্যানের সামনে একটি বাটিতে বরফ রাখুন। পেছন থেকে ফ্যানের হাওয়া যেই বরফে লাগবে সেখান থেকে ঠান্ডা হাওয়া বার হবে। তাতে তাপমাত্রা ঘরের অনেকটাই কমে থাকে। তবে বরফ গলে গেলে তা আর হবে না। ফলে ক্রমাগত বরফের জোগান দেওয়াটা মুশকিল। সামনে ভেজা কাপড়ও রাখতে পারেন।
৯. ঘরোয়া উপায়তে এসি বানাতে পারেন আপনি। তারজন্য টেবিল ফ্যানের সামনে একটি বাটিতে বরফ রাখুন। পেছন থেকে ফ্যানের হাওয়া যেই বরফে লাগবে সেখান থেকে ঠান্ডা হাওয়া বার হবে। তাতে তাপমাত্রা ঘরের অনেকটাই কমে থাকে। তবে বরফ গলে গেলে তা আর হবে না। ফলে ক্রমাগত বরফের জোগান দেওয়াটা মুশকিল। সামনে ভেজা কাপড়ও রাখতে পারেন।
১০. বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান। গাছের ছায়ায় আপনার ঘর অনেক ঠাণ্ডা থাকবে। ঘরের আশপাশে গাছপালা থাকা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। জানালায় ছাউনি থাকলে প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়ক হয়।
১০. বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান। গাছের ছায়ায় আপনার ঘর অনেক ঠাণ্ডা থাকবে। ঘরের আশপাশে গাছপালা থাকা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। জানালায় ছাউনি থাকলে প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়ক হয়।

Illegal Tree Cutting: তাপপ্রবাহের মধ্যেই কাকদ্বীপে কেটে ফেলা হল হাজার হাজার গাছ!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তীব্র গরমে যখন সবাই গাছ লাগানোর কথা বলছে ঠিক তখন‌ই কাকদ্বীপে কেটে ফেলা হল হাজার হাজার গাছ। সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠছেন অনেকেই। ‌এমন যদি অবস্থা হয় তবে আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা বাংলা। পরিবেশবিদদের মতে যথেচ্ছ হারে গাছ কেটে নেওয়ার ফল ভুগতে হচ্ছে বাংলাকে। এর‌ই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ব্লকের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবকালীনগরে প্রায় হাজারের কাছাকাছি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। রাস্তার পাশে সরকারিভাবে লাগানো সোনাঝুরি গাছ কাটা শুরু হয় প্রথমে। তারপর সেই গাছ কাটার পর পাচারও হয়ে যাচ্ছিল। এলাকার মানুষ সব দেখেও ভয়ে চুপচাপ ছিল। এরপর কাকদ্বীপের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা দীপঙ্কর জানা লিখিতভাবে অভিযোগ করেন কাকদ্বীপের বিডিও, এসডিও ও হারুড পয়েন্ট উপকূল থানায়।

আর‌ও পড়ুন: মোষের পিঠে চেপে মনোনয়ন পেশ কুড়মি প্রার্থী অজিতের! রইল ভিডিও

বিজেপি নেতার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সমন্বিত ফেরে পুলিশের। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু গাছের গুঁড়ি বাজেয়াপ্ত করে তারা। সবকিছুর পরও প্রশ্ন উঠছে, সরকারিভাবে লাগানো এই গাছ কার অনুমতিতে কাটা হচ্ছিল। বন দফতরের অনুমতি ছিল কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হল পরিবেশ ক্রমশ চরম হয়ে উঠলেও প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কারোর মধ্যেই বিশেষ একটা সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না।

নবাব মল্লিক

Summer Tips: গরমে আরামের জন্য ভুলেও করবেন না এই কাজ! হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত সকলের। গরমের কষ্ট থেকে বাঁচতে একটু আরাম পেতে কোনও সময় ভুলেও করবেন না এই কাজ। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন।
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত সকলের। গরমের কষ্ট থেকে বাঁচতে একটু আরাম পেতে কোনও সময় ভুলেও করবেন না এই কাজ। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন।
গরমে সাময়ীক স্বস্তি পেতে আমরা ঠান্ডা জল পান করে থাকি। বাইরে থেকে ঘেমে ফিরেই অনেকে ফ্রিজ থেকে জলের বোতল বার করেই খাওয়া শুরু করেন। এতে আপাতবাবে তৃপ্তি বা শান্তি পেলেও নিজেই নিজের ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে নিয়ে আসছেন।
গরমে সাময়ীক স্বস্তি পেতে আমরা ঠান্ডা জল পান করে থাকি। বাইরে থেকে ঘেমে ফিরেই অনেকে ফ্রিজ থেকে জলের বোতল বার করেই খাওয়া শুরু করেন। এতে আপাতবাবে তৃপ্তি বা শান্তি পেলেও নিজেই নিজের ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে নিয়ে আসছেন।
প্রচণ্ড গরমে ভারী কাজ করার পর বা শরীর চর্চা করার পর একেবারেই ঠান্ডা জল খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এই সময় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি থাকে শরীরের। এই সময় ঠান্ডা জলে খেলে তা দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য রাখতে পারে না।
প্রচণ্ড গরমে ভারী কাজ করার পর বা শরীর চর্চা করার পর একেবারেই ঠান্ডা জল খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এই সময় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি থাকে শরীরের। এই সময় ঠান্ডা জলে খেলে তা দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য রাখতে পারে না।
ঠান্ডা জল খেলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কারণ ঠান্ডা জল খেলে  রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। এর ফলেই হজমের সমস্যা হতে পারে।
ঠান্ডা জল খেলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কারণ ঠান্ডা জল খেলে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। এর ফলেই হজমের সমস্যা হতে পারে।
ঠান্ডা জয় নিয়মিত খেলে শরীরে পুষ্টির পরিমাণ কমে যায়। গরম কালে শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। ঠান্ডা জল খাওয়ার পর শরীরকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচুর শক্তি ব্যয় করতে হয়। এতেই কমে পুষ্টির পরিামণ।
ঠান্ডা জয় নিয়মিত খেলে শরীরে পুষ্টির পরিমাণ কমে যায়। গরম কালে শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। ঠান্ডা জল খাওয়ার পর শরীরকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচুর শক্তি ব্যয় করতে হয়। এতেই কমে পুষ্টির পরিামণ।
ঠান্ডা জল খেলে হৃদস্পন্দন কমে যায়। অতিরিক্ত ঠান্ডা জল খেলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে দাঁতের ভেগাস নার্ভের উপর। ভেগাস স্নায়ু হৃদস্পন্দনের মাত্রা কম হওয়া এবং ঠান্ডা জলের কম তাপমাত্রার মধ্যস্থতা করে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। যার ফলে হৃদস্পন্দন কমে যায়।
ঠান্ডা জল খেলে হৃদস্পন্দন কমে যায়। অতিরিক্ত ঠান্ডা জল খেলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে দাঁতের ভেগাস নার্ভের উপর। ভেগাস স্নায়ু হৃদস্পন্দনের মাত্রা কম হওয়া এবং ঠান্ডা জলের কম তাপমাত্রার মধ্যস্থতা করে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করার মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। যার ফলে হৃদস্পন্দন কমে যায়।
ঠান্ডা জল পান করলে আপনার শরীরে তর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ খাওয়ার সময় বা খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল খেলে খাদ্যে উপস্থিত চর্বি কঠিন আকার ধারণ করে। যেই চর্বি হজম হওয়া কঠিন।
ঠান্ডা জল পান করলে আপনার শরীরে তর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ খাওয়ার সময় বা খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল খেলে খাদ্যে উপস্থিত চর্বি কঠিন আকার ধারণ করে। যেই চর্বি হজম হওয়া কঠিন।
খাওয়ার পর ঠান্ডা জল পান করলে শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মার অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। যা থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। তার থেকে একাধিক রোগ হওয়া সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া গরম থেকে এসেই ঠান্ডা জল খেলে শরীরের বাইরের ও ভিতরের তাপমাত্রা এক না হওয়ায় সর্দি-কাশি সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে।
খাওয়ার পর ঠান্ডা জল পান করলে শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মার অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। যা থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। তার থেকে একাধিক রোগ হওয়া সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া গরম থেকে এসেই ঠান্ডা জল খেলে শরীরের বাইরের ও ভিতরের তাপমাত্রা এক না হওয়ায় সর্দি-কাশি সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে।