পশ্চিম বর্ধমান: একটা খবর যেন গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল দাবানলের মত। আর সেই খবর পেতেই একে একে সবাই জমা হলেন বিদ্যালয়ে। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জের বদলির খবর পেতেই রীতিমত গোটা এলাকার মানুষ ভেঙে পড়লেন। জমায়েত করলেন বিদ্যালয়ের সামনে। আবদার একটাই, প্রিয় শিক্ষককে যেতে দেবেন না।
কাঁকসার প্রয়াগপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। এই বিদ্যালয়ের বর্তমান টিচার ইনচার্জ রাজেশ কুমার অধিকারী। তাঁরই বদলির নির্দেশ এসেছে। ১৫ দিনের মধ্যে নতুন বিদ্যালয়ে গিয়ে তাঁকে যোগদান করতে বলা হয়েছে। আর এই খবর পাওয়া মাত্রই প্রয়াগপুরের মানুষজন রীতিমত স্কুলের সামনে ভিড় করেন। শিক্ষককে ঘিরে ধরেন অভিভাবক, পড়ুয়া সকলেই। তাঁরা বলছেন, এই শিক্ষককে যেতে দেবেন না।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে এ কী কাণ্ড! পালাই পালাই করছেন রোগীরা
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পড়ুয়াদের দক্ষ অভিভাবকের মত খেয়াল রাখেন রাজেশবাবু। কোনও পড়ুয়া বিদ্যালয়ে না এলে বাড়ি থেকে গিয়ে তাকে বিদ্যালয় নিয়ে আসেন। কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হলে তার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন। তিনি বিদ্যালয়ে আসার পর অনুপস্থিতির হার অনেক কমেছে। বিদ্যালয়ের অনেক উন্নতি হয়েছে। বেড়েছে পড়াশোনার গুণগতমান। তাই এমন শিক্ষককে ছাড়তে চান না এলাকার মানুষ।
অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা যে রাজেশ বাবুকে বিদ্যালয় থেকে যেতে দিতে চান না, সেই বিষয়টি ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে স্কুল পরিদর্শককে। অভিভাবকদের এই দাবি প্রসঙ্গে টিচার ইনচার্জ রাজেশ কুমার অধিকারী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে তিনি সেটা মেনে নেবেন। এই বিষয়ে তাঁর আলাদা কোনও মন্তব্য নেই। তবে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের থেকে এই ভালবাসা, সম্মান পেয়ে তিনি আপ্লুত। এমনটাই জানিয়েছেন এই শিক্ষক।
নয়ন ঘোষ