পাপোষ বানিয়েই আয়ের দিশা মহিলাদের 

Coconut Rope Doormat: নারকেল দড়ির পাপোশ তৈরি করে মালামাল হয়ে যান

দক্ষিণ দিনাজপুর: পাট ও নারকেল দড়ি দিয়ে তৈরি হচ্ছে পাপোশ। সেই পাপোশ বাজারজাত করে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন মহিলারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকার মহিলারা এভাবেই ধীরে ধীরে নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন।

গত দু’মাস ধরে বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ জন মহিলাকে নারকেল দড়ি ও পাট থেকে পাপোশ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এমনকি শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ নয়, স্বল্প পুঁজিতে নিজেদের উৎপাদিত জিনিস বাজারজাত করার সুবন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে। এতে এলাকার অনেক মহিলার সামনে নিজস্ব উপার্জনের পথ খুলে যাওয়ায় তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারছেন।

আর‌ও পড়ুন: কোভিড লকডাউনে শিল্প বিপ্লব! নারকেলের খোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে একের পর এক মূর্তি

এই বিষয়ে প্রশিক্ষক অপর্ণা সরকার বলেন, স্বল্প পুঁজিতে মহিলারা যাতে পাট এবং নারকেলের দড়ি দিয়ে তৈরি পাপোশ বানিয়ে স্বনির্ভর হতে পারেন সেই কারণে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিবিরে আসা মহিলারা প্রত্যেকেই মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাইজ অনুযায়ী এক একটি পাপোশ মেশিনে তৈরি করতে সময় লাগছে ২ থেকে ৩ দিন। পাশাপাশি হাতে বোনা পাটের পাপোশ তৈরি করতে সময় লাগছে ৭ থেকে ১০ দিন। পাশাপাশি পাপোশের সাইজ অনুযায়ী বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০০- ১২০০ টাকায়। এই চাহিদাতেই তাঁরা হাতের কাজের এসব সামগ্রী বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।

এমনকি দেশের পাশাপাশি এই সমস্ত হাতে তৈরি পাপোশের চাহিদা আছে বিদেশের বাজারে‌ও। এছাড়াও, দূষণ রুখতে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ জোগাচ্ছে সরকার। এই সকল জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আর সেক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। সহজলভ্য পাটের কাজ শিখে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তাঁরা।

সুস্মিতা গোস্বামী