মৃত শ্রমিকের শোকাহত পরিবার

Migrant Worker Death: চলন্ত ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে সাবধান! ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হল না মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের

মালদহ: ইদের আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু জীবিত অবস্থায় আর ফেরা হল না আব্দুল মোমিনের (৩০)। বদলে এই পরিযায়ী শ্রমিকের নিথর দেহ এসে পৌঁছল গ্রামের বাড়িতে। বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এই যুবকের।

আব্দুল মোমিন হাওড়া থেকে কুলিক এক্সপ্রেসে চেপে মালদহের বাড়িতে ফিরছিলেন। রামপুরহাটের কাছাকাছি দুর্ভাগ্যবশত হঠাৎই ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। পরে তাঁর দেহটি উদ্ধার করে রেল পুলিশ। আব্দুলের পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই কন্যা। দীর্ঘদিন ধরেই পুনেতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: শাল পাতাতেই বেঁচে আছে জীবন, এখনও মর্ম বোঝেনি শহর

মৃত যুবকের বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর পঞ্চায়েতের উত্তর ভবানীপুর গ্রামে। কুরবানীর ইদের আগে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু পথেতেই অকালে চলে গেল প্রাণ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ কামরায় উঠেছিলেন। কিন্তু প্রচন্ড ভিড় থাকায় তিনি দরজার পাশে কোন‌ওরকমে দাঁড়িয়ে ছিলে। সেখান থেকেই পা হড়কে বা ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে লাইনে পড়ে যান। এদিন আব্দুল মোমিনের কফিনবন্দি দেহ বাড়ি এসে পৌঁছয়। মৃতের স্ত্রী সম্মা খাতুন বলেন, আমরা খুব গরিব। আমার স্বামী বাইরে কাজ করে কোন‌ওরকমে সংসার চালাতেন। তাঁর চলে যাওয়ায় পর কীভাবে দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাব তা বুঝতে পারছি না। তিনি সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের কাতর আবেদন জানান।

হরষিত সিংহ