Tag Archives: Bakra Eid

Migrant Labour Missing: মুম্বই থেকে ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন, সাতদিন পরেও সন্ধান নেই পরিযায়ী শ্রমিকের

মালদহ: বাড়ি ফেরার সময় নিখোঁজ হয়ে গেলেন মালদহের পরিযায়ী শ্রমিক।‌ কর্মক্ষেত্র মুম্ব‌ই থেকে ট্রেনে করে মালদহে আসছিলেন আসগর আলি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনে ওঠার সময় তাঁর সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হয়েছিল। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনার পর সাতদিন পেরিয়ে গিয়েছে এখনও নিখোঁজ তিনি। এমনকি কাছে থাকা মোবাইলটি পর্যন্ত অফ বলছে।

নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। ইজিমধ্যেই পরিবার আসগর আলির নিখোঁজের বিষয়ে থানায় ডায়েরি করেছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিকের আত্মীয় শেখ আনসারুল বলেন, গত ১৫ জুন বাড়ি ফেরার কথা ছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা অভিযোগ নিলেও কোন‌ও তদন্ত করছে না। সদর মহাকুমা শাসকের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছি আমরা। কিন্তু কোথাও কোনও সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

আর‌ও পড়ুন: এই ছাতা টাঙিয়ে গরমে রাস্তা দিয়ে হাঁটলে ঠান্ডা লাগবে!

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মিসকিনপুর গ্রামে বাড়ি নিখোঁজ আসগর আলির। মুম্বই থেকে ট্রেনে চাপলেও আশ্চর্যজনকভাবে সেই ট্রেন থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২০-এর আসগর দু’মাস আগে মুম্বইয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সঙ্গে যায় তাঁর দুই ভাই। ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেইমতো ১৩ জুন হাওড়া মেল ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। ১৪ তারিখ রাত ১০ টায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। ১৫ তারিখ সকালে বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল আসগরের। কিন্তু গত ৭ দিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সন্দেহ, ট্রেনের মধ্যে কেউ নেশাজাতীয় কোনও কিছু খাইয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে আসগরকে আটকে রেখেছে। তাঁর মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

নিখোঁজ আসগরের বাবা কালু আলি বলেন, মুম্বই থেকে আমার ছেলে বাড়ি ফিরছিল। ট্রেন থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে, এখনও কোনও খোঁজ পাচ্ছি না। এদিকে পুলিশের তদন্ত নিয়েও সন্তুষ্ট নয় পরিবার। সবমিলিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিজনরা।

হরষিত সিংহ

Car Accident: ইদের আনন্দে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! আপনিও সাবধান হন

পূর্ব বর্ধমান: অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। বুধবার ভোররাতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে মশাগ্রামের কাছে। মৃতদের নাম আব্বাস আলি মল্লিক ও সেলিম।

জানা গিয়েছে, সেলিম ও আব্বাস দু’জনেই পূর্ব বর্ধমান জেলার মশাগ্রামের কেরিলি গ্রামের বাসিন্দা। আব্বাস আলি মল্লিক ভিনরাজ্যে কাজ করতেন। দিন কয়েক আগে বকরি ইদ উপলক্ষে বাড়িতে ফিরেছিলেন। ইদ উপলক্ষেই কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি চার চাকা গাড়িতে করে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। একটি অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে তাঁদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

আর‌ও পড়ুন: তীব্র গরমে গভীর সমুদ্রে যেতে পারল না মাছ ধরার ট্রলার, অপেক্ষা বৃষ্টির

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। পাল্টি খেয়ে গাড়িটি জলের মধ্যে গিয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনার জেরে গাড়িতে থাকা সকলেই গুরুতরভাবে জখম হন। মৃত আব্বাসের মা জানান, দশঘরার কাছে দুর্ঘটনাটা ঘটেছে বলে শুনেছি। ওরা বন্ধুরা মিলে ফাংশান দেখতে গিয়েছিল। গ্রামের লোকেরাই আমাদের খবর দেয়। তারপরই আমরা জানতে পারি।

দুর্ঘটনার পরই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই গাড়ির ভেতর থেকে ছয় জনকে বার করে আনেন। আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর চার জনকে জামালপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে গুরুতর জখম আব্বাস আলি মল্লিককে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়ে অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে আনন্দ মুহূর্তেই বদলে যায় শোকের পরিবেশে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Migrant Worker Death: চলন্ত ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে সাবধান! ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হল না মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের

মালদহ: ইদের আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু জীবিত অবস্থায় আর ফেরা হল না আব্দুল মোমিনের (৩০)। বদলে এই পরিযায়ী শ্রমিকের নিথর দেহ এসে পৌঁছল গ্রামের বাড়িতে। বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এই যুবকের।

আব্দুল মোমিন হাওড়া থেকে কুলিক এক্সপ্রেসে চেপে মালদহের বাড়িতে ফিরছিলেন। রামপুরহাটের কাছাকাছি দুর্ভাগ্যবশত হঠাৎই ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। পরে তাঁর দেহটি উদ্ধার করে রেল পুলিশ। আব্দুলের পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই কন্যা। দীর্ঘদিন ধরেই পুনেতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: শাল পাতাতেই বেঁচে আছে জীবন, এখনও মর্ম বোঝেনি শহর

মৃত যুবকের বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর পঞ্চায়েতের উত্তর ভবানীপুর গ্রামে। কুরবানীর ইদের আগে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু পথেতেই অকালে চলে গেল প্রাণ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ কামরায় উঠেছিলেন। কিন্তু প্রচন্ড ভিড় থাকায় তিনি দরজার পাশে কোন‌ওরকমে দাঁড়িয়ে ছিলে। সেখান থেকেই পা হড়কে বা ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে লাইনে পড়ে যান। এদিন আব্দুল মোমিনের কফিনবন্দি দেহ বাড়ি এসে পৌঁছয়। মৃতের স্ত্রী সম্মা খাতুন বলেন, আমরা খুব গরিব। আমার স্বামী বাইরে কাজ করে কোন‌ওরকমে সংসার চালাতেন। তাঁর চলে যাওয়ায় পর কীভাবে দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাব তা বুঝতে পারছি না। তিনি সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের কাতর আবেদন জানান।

হরষিত সিংহ