Tag Archives: Migrant Worker

Accident: ভয়াবহ দুর্ঘটনা হাওড়ায়, বাসের ধাক্কায় গুরুতর জখম ১০, আহত একাধিক

হাওড়া: হাওড়ায় পথ দুর্ঘটনায় আহত একাধিক! হাওড়া স্টেশন লাগোয়া বঙ্কিম সেতুতে দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় জখম প্রায় ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিক।পুলিশ সূত্রে খবর, দু’টি বাসের ধাক্কায় ঘটে এই দুর্ঘটনা।

ঘটনাটি ঘটে বঙ্কিম সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে ছিল আন্দুল উল্টোডাঙ্গা রুটের একটি মিনি বাস। সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা হাওড়া-শিয়ালদা রুটের একটি বেসরকারি বাস পিছন থেকে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী আহত হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। আহতদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-        বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

আহতরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। জানা গেছে প্রত্যেকেই বর্ধমান থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক। এদিন হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

আরও পড়ুন-       বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন

ঘটনাস্থলে হাওড়া ট্রাফিক গার্ড এবং গোলাবাড়ি থানার পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ দু’টি বাসকে আটক করার পাশাপাশি বাসের চালক এবং কন্ডাক্টরদের আটক করেছে বলে জানা গেছে।

রাকেশ মাইতি

Unusual Death in Malaysia: মালয়েশিয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু নদিয়ার যুবকের, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ পরিবার

নদিয়া: মালয়েশিয়াতে মৃত্যু হল ভীমপুরের এক যুবকের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা বলা হলেও তা মানতে নারাজ মৃত প্রসেনজিৎ দাসের (২৮) পরিবার। জানা গিয়েছে, এই মৃত যুবক মালয়েশিয়ায় গিয়ে সেন্টারিং-এর কাজ করতেন এবং গত দু’বছর ধরে সেখানেই ছিলেন।

নদিয়া জেলার ভীমপুর থানার অন্তর্গত ডিগ্রি দাস পাড়ার বাসিন্দা প্রয়াত প্রসেনজিৎ দাস। বাবা পরেশ দাস I গত সপ্তাহের বুধবার হঠাৎই তাঁর মৃত্যু সংবাদ আসে পরিবারের কাছে I অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগের দিনও ফোনে কথা হয়েছিল প্রসেনজিতের সঙ্গে। পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনিI পরিবারে কোনরকম সমস্যা বা প্রণয়ের ঘটিত জটিলতা নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে কর্মক্ষেত্রে কী হত তা এখানে থাকা প্রসেনজিতের মা-বাবা জানতেন না বলে জানিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: ছেলে ধরা সন্দেহে গণধোলাই নয়, উল্টো ছবি বসিরহাটে

প্রসেনজিৎ এইভাবে চলে যাবেন তা পরিবার এবং গ্রামের লোকজনের ধারণার বাইরে। যদিও মালয়েশিয়ায় হওয়া ময়নাতদন্তে রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও তা পরিবার কিছুতেই মানতে রাজি নয়। পরিবারের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার তদন্ত দাবি করা হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই প্রসেনজিৎ-এর বাড়ি আসার কথা ছিল বলে খবর। এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৈনাক দেবনাথ

Migrant Worker Death: চলন্ত ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে সাবধান! ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হল না মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের

মালদহ: ইদের আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু জীবিত অবস্থায় আর ফেরা হল না আব্দুল মোমিনের (৩০)। বদলে এই পরিযায়ী শ্রমিকের নিথর দেহ এসে পৌঁছল গ্রামের বাড়িতে। বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এই যুবকের।

আব্দুল মোমিন হাওড়া থেকে কুলিক এক্সপ্রেসে চেপে মালদহের বাড়িতে ফিরছিলেন। রামপুরহাটের কাছাকাছি দুর্ভাগ্যবশত হঠাৎই ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। পরে তাঁর দেহটি উদ্ধার করে রেল পুলিশ। আব্দুলের পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই কন্যা। দীর্ঘদিন ধরেই পুনেতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।

আর‌ও পড়ুন: শাল পাতাতেই বেঁচে আছে জীবন, এখনও মর্ম বোঝেনি শহর

মৃত যুবকের বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর পঞ্চায়েতের উত্তর ভবানীপুর গ্রামে। কুরবানীর ইদের আগে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু পথেতেই অকালে চলে গেল প্রাণ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ কামরায় উঠেছিলেন। কিন্তু প্রচন্ড ভিড় থাকায় তিনি দরজার পাশে কোন‌ওরকমে দাঁড়িয়ে ছিলে। সেখান থেকেই পা হড়কে বা ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে লাইনে পড়ে যান। এদিন আব্দুল মোমিনের কফিনবন্দি দেহ বাড়ি এসে পৌঁছয়। মৃতের স্ত্রী সম্মা খাতুন বলেন, আমরা খুব গরিব। আমার স্বামী বাইরে কাজ করে কোন‌ওরকমে সংসার চালাতেন। তাঁর চলে যাওয়ায় পর কীভাবে দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাব তা বুঝতে পারছি না। তিনি সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের কাতর আবেদন জানান।

হরষিত সিংহ

New Factory: ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মনসুর যা করলেন! এমনটা স্বপ্নেই হয়

মালদহ: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমাতে এগিয়ে এলেন গ্রামের এক যুবক। তিনি নিজের উদ্যোগেই গ্রামে তৈরি করলেন কারখানা। এই কারখানার মধ্যে দিয়েই গ্রামের ভোল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের মনসুর শেখ।

কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যার নিরিখে একেবারে প্রথম দিকে আছে মালদহ জেলার নাম। পেটের তাগিদে ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের গ্রামে ফিরিয়ে এনে রোজগারের পথ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ মনসুর শেখের। এক সময় তিনি নিজে মুম্বইয়ে এমব্রয়ডারি কারখানায় কাজ করতেন। ফলে পরিবার ছেড়ে থাকার যন্ত্রণাটা যে কী তা ভালই বোঝেন। ৩০ বছর কাজ করার পর এবার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তুললেন এমব্রয়ডারি কারখানা। এই কারখানার দৌলতে ঘরের ছেলেদের ঘরে ফেরাচ্ছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার হোসেনপুর গ্রামের মনসুর।

আর‌ও পড়ুন: প্র্যাক্টিস শেষে ফ্রি’তে ব্রেকফাস্ট পাবে ফুটবলাররা!

পার্শ্ববর্তী গিদরমারি গ্রামে এক বিঘা জমির উপরে এমব্রয়ডারি কারখানা গড়ে তুলেছেন মনসুর শেখ। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এই কারখানায় শুধুমাত্র মালদহ নয়, আশেপাশে এলাকার শ্রমিকেরাও কাজ পাবেন। নিয়মিত এখানে ৫০০ জন কাজ করতে পারবেন। আমার এই সমস্ত কাপড়গুলি বিদেশে পাড়ি দেয়। পরিযায়ী শ্রমিকরা গ্রামেই যেন কাজ পান, সেটাই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ভিন রাজ্যের কাজ ছেড়ে প্রায় ৫০ জন যুবক মনসুরের কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। সেখানে মেয়েদের ট্র্যাডিশনাল পোশাকের উপরে এমব্রয়ডারি ডিজাইন তোলা হয়।

জাপান, কানাডা, তুরস্ক, আমেরিকার মতো দেশে এই পোশাক যাবে। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের হাজার হাজার মানুষ ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন,গ্রামে তেমন কাজ নেই। বয়স আঠারো হতে না হতেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন ব্লকের তরুণরা। এলাকার শ্রমিকদের এবং ভিনরাজ্যে থাকা পরিযায়ীদের রাজ্যেই কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মনসুর এই কারখানা চালু করেছেন।

হরষিত সিংহ

Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটতেই ভিন রাজ্যে ফেরার হিড়িক পরিযায়ী শ্রমিকদের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সপ্তম তথা শেষ দফায় বাংলার ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৯ টিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চারটি লোকসভা কেন্দ্র‌ই। এই শেষ দফাতেই সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয়েছে এবার। তবে মোটে এর উপর এবারে বাংলার নির্বাচন অনেকটাই শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এখন চূড়ান্ত ফল জানার অপেক্ষা। রাত পোহালেই সেই ফলাফল আপনাদের সামনে আসতে শুরু করবে।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্টনির্বাচন রেজাল্ট ২০২৪

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই জানা যাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দিল্লির দখল কাদের হাতে থাকতে চলেছে। বাংলার ৪২ টি আসনের ভাগ্য যারা নির্ধারণ করবেন সেই ভোটারদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল পরিচয় শ্রমিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উড়ি যায় শ্রমিকের সংখ্যা বিপুল। যদিও তা ঠিক কতটা সেই পরিসংখ্যা নেই জেলা প্রশাসনের কাছে। তবে করোনার সময় বহু পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছিলেন গ্রামে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই অনেকেই সংসারের প্রয়োজনে আবারও ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন। ‌ভোট উপলক্ষে তাঁদের অনেকেই বাড়ি ফিরেছিলেন।

আরও পড়ুন: একসময়ের অবহেলিত কুদরি ফল ভাগ্য ফেরাচ্ছে বহু কৃষকের

ভোট মিটে যাওয়ার পর ফল ঘোষণার আগেই এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশিরভাগই আবার কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেছেন। ফলে ধর্মতলার বাস স্ট্যান্ড এবং শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনে উপচে পড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়। তাঁদের একটা বড় অংশ দক্ষিণ ২৪ পরগনার। গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনের পর আবার যে যার রোজগারের ধান্দায় ফিরে যাচ্ছেন ভিন রাজ্যে।

সুমন সাহা

Migrant Labour Death: বাড়ি ফেরার তিনদিন আগে মর্মান্তিক মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের

মালদহ: চলতি সপ্তাহেই বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার ঠিক তিন দিন আগে কাজ করার সময় তরিদাহত হয়ে মৃত্যু হল পরিযায়ী শ্রমিকের। রতুয়ার উত্তম রবিদাস পাটনায় ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন। আর সেই কাজ করতে গিয়েই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল তাঁর।

মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকদের একের পর এক মৃত্যর ঘটনা দেখেছে রাজ্য সেই তালিকায় যোগ হল আরও একটি নাম। উত্তম রবিদাসের মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। মৃতের বাড়ি মালদহের রতুয়া-২ ব্লকের পুখুরিয়া পঞ্চায়েতের নূরদ্দিপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ভিন রাজ্যে পরিয়াযী শ্রমিকের কাজ করেতেন। মূলত হাই ভোল্টেজ ইলেক্ট্রিক টাওয়ার ও লাইনের কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। মৃতের আত্মীয় মানু রবিদাস বলেন, পাটনায় গিয়েছিল ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতে। চলতি সপ্তাহে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তার আগেই কাজ করার সময় ইলেকট্রিক শক লেগে মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাতভর কাজ করেও হল না সমাধান, জল বন্ধ বাঁকুড়ার নয় ওয়ার্ডে

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলেকট্রিক শক লাগার সঙ্গে সঙ্গেই সহকর্মীরা উত্তম রবিদাসকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। এদিন তাঁর দেহ পাটনা থেকে মালদহে বাড়িতে এসে পৌঁছয়।

হরষিত সিংহ

Migrant Worker Death: কেরলে গাড়ি থেকে পড়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কথা ছিল ভোটের আগে বাড়ি ফিরবেন। সেই অনুযায়ী ট্রেনের টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। ডায়মন্ডহারবারের জাকির সর্দার (৪২) বাড়ি ফিরলেন, কিন্তু তখন আর তাঁর দেহে প্রাণ নেই। কেরলে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এই পরিযায়ী শ্রমিকের।

সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন জাকির সর্দার। তাঁর বাড়ি ডায়মন্ডহারবারে বাসুলডাঙার চাঁদা গ্রামে। সম্প্রতি কালিকটে গাড়িতে করে নির্মাণ সামগ্রী আনার সময় গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে ফোন করে আজই পরিবারকে জানানো হয় জাকির সর্দার মারা গিয়েছেন। এই খবর জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনরা।

আরও পড়ুন: একটা আমের দাম ৩ লাখ টাকা! এই রেলকর্মীর বাগান যেন স্বর্গ

এদিকে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ডায়মন্ডহারবার বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা করছেন বলে জানা গিয়েছে।

মৃত জাকির সর্দারের পরিবারে বৃদ্ধ বাবা-মা ছাড়াও আছে স্ত্রী সহ তিন সন্তান।‌ তাঁর এই আকস্মিক প্রয়াণে কার্যত সহায় সম্বলিহীন হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার।

নবাব মল্লিক

নেপাল থেকে ফিরলেন ২৪৭ পরিযায়ী শ্রমিক, ট্যুইটে মমতাকে ধন্যবাদ জানালেন দেব

#কলকাতা: সাংসদ অভিনেতা দেবের উদ্যোগে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় নেপাল থেকে ঘাটালে নিজের বাড়ি পৌঁছালেন ২৪৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তায় বৃহস্পতিবার নেপাল থেকে ৩৫ জন শ্রমিক ফেরানোর ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। নেপালে প্রায় ৭০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। শুক্রবার নিউজ 18 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানিয়েছিলেন দেব। সঙ্গে এই কথাও জানিয়েছিলেন যে বিভিন্ন ব্যাচে ভাগ করে এই সমস্ত শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছিলেন ৷  কথা রাখলেন সাংসদ দীপক অধিকারী।

রবিবার দুপুরে ঘাটাল পৌঁছাল ২৪৭ পরিযায়ী শ্রমিক। এঁদের মধ্যে শিশু এবং মহিলাও রয়েছেন। শুধু ফেরানোই নয়, তাঁদের পানীয় জল, খাবার ও বাচ্চাদের জন্য দুধের ব্যবস্থাও করা হয়। ফিরে আসার পর, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নেপালে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি উদ্যোগী হন দেব। জেলা শাসকদের সঙ্গে কথা বলেন ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চান। বিষয়টা দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অবধি পৌঁছতে সময় লাগে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তায় অবিলম্বে প্রথম দফায় কিছু শ্রমিককে ঘরে ফিরিয়ে আনেন দেব। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যুইটারে ধন্যবাদও জানান তিনি।

ঘাটালের প্রচুর স্বর্ণশিল্পী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তাঁদের সকলকে বাড়ি ফেরানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেব। হাতি মৃত্যুতে সকলের প্রতিবাদ অথচ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উদাসীনতাকে কটাক্ষ করে টুইটারে পোস্ট করেন সাংসদ-অভিনেতা। ঘাটালের সাধারণ মানুষের জন্য চিন্তিত দেব।
জম্মু থেকেও পরিযায়ী শ্রমিক ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ৩-৪ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এখন পর্যন্ত ঘাটালে ফিরেছেন। তাঁদের কোয়ারেন্টাইন ও থাকা-খাওয়ার সমস্যা ক্রমাগত খুব বড় আকার নিচ্ছে।

Arunima Dey