বৃষ্টির জলে বাঁধ ভেঙেছে তাতে চিন্তা

Dam Breaking Fear: টর্নেডোর ধাক্কা সামলানোর আগেই বাঁধ ভাঙার আতঙ্ক সেই বার্নিশ গ্রামে

জলপাইগুড়ি: বর্ষার বৃষ্টি ঝেঁপে আসতেই ফের দুশ্চিন্তার ভ্রুকুটি বার্নিশ গ্রামে। ফের কি ভাসবে এই গ্রাম? আবারও কি ধেয়ে আসতে চলেছে সেই দুর্বিপাকের দিন? এরকমই হাজার প্রশ্ন এখন ঘুরছে বার্নিশ গ্রামের বাসিন্দাদের মাথায়। চোখে মুখে ভয়, আতঙ্ক স্পষ্ট।

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রাম কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে জলপাইগুড়ির বার্নিশ গ্রামের নাম কারওরই আর অজানা নয়। সংবাদমাধ্যমে সেই সময় ছেয়ে গিয়েছিল বার্নিশ গ্রামের দুর্দশার কথা। প্রশাসনের সহযোগীতায় ক্রমেই নিজের ছন্দে ফিরছিল গ্রামবাসীদের জনজীবন। স্বাভাবিক হচ্ছিল রোজগারের পথ, কৃষিকাজ সবকিছুই। কিন্তু, বেশি দিন যেতে না যেতেই বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতেই ফের যেন অন্ধকার দুঃস্বপ্ন গ্রাস করছে গ্রামের নিরীহ মানুষগুলোকে।

আর‌ও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবার-কুঁকড়াহাটি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ, সাময়িক অসুবিধায় যাত্রীরা

গত কয়েকদিনের লাগাতার ভারী বর্ষণে জলপাইগুড়র তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি জলমগ্ন। তিস্তার জল বেড়ে রীতিমত ফুঁসছে। জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে তিস্তা সংলগ্ন গ্রামগুলোয়। অস্থায়ীভাবে বাঁধের উপরে ত্রিপল খাটিয়ে চলছে দিন যাপন। প্রশাসনের তরফে মিলছে ত্রাণ। তবে এরই পাশাপাশি, বার্নিশ গ্রামের রেইন গার্ড অর্থাৎ তিস্তা পাড়ের বাঁধও ভাঙছে। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ক্রমেই আলগা হচ্ছে মাটি। আর এতেই যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গ্রামবাসীরা। বাঁধের যে এক্কেবারে বেহাল দশা! এবার বাঁধ ভেঙে প্লাবনের আশঙ্কায় কাঁটা হয়ে আছে মানুষগুলো।

জলপাইগুড়ির দোমহনি থেকে চ্যাংড়াবান্ধা পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গার রেইন গার্ড ভেঙে খুব বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারংবার সেচ দফতরের বাঁধ রক্ষককারী কর্মীদের বাঁধের বেহাল দশার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বেহাল অবস্থায় থাকা বাঁধ অবিরাম ভারী বৃষ্টির দাপটে যখন তখন ভেঙে যেতে পারে।

সুরজিৎ দে