চলছে সেতারে সঙ্গীত 

Classical Music Concert: শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর, লক্ষ্য গ্রামের যুব সম্প্রদায়

পশ্চিম মেদিনীপুর: এখনও প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় সেই অর্থে গান-বাজনার চর্চা হয় না। উচ্চাঙ্গ কিংবা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চাও আজকাল আর তেমন একটা হয় না। বদলে মোবাইলের নেশায় বুঁদ হয়ে আছে যুব প্রজন্ম। সেই নেশা থেকে কাটাতে এবং তাদের মধ্যে শিল্পচর্চার স্পৃহা জাগিয়ে তুলতে প্রতি মাসে উদীয়মান শিল্পীদের নিয়ে এবং নতুন প্রতিভার খোঁজে বেশ কিছুজন মিলে গানের আড্ডা জমান। বার্ষিক বৈঠকীতে আয়োজন করা হয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের। যেখানে ৮ থেকে ৮০ সকলেই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।

গ্রামীণ এলাকায় সে অর্থে নেই কোনও শিল্পচর্চা। গান বাজনার চর্চা সামান্য থাকলেও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা প্রায় কেউই করেন না। কলকাতা কিংবা বিভিন্ন উন্নত শহরে এই চর্চা করেন বহু মানুষ। গ্রামীণ এলাকায় হয়ত হাতেগোনা কয়েকজন এর চর্চা করেন। তবে সে অর্থে কোনও বৈঠকী আড্ডা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় না। আর তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ধারণা দেওয়া এবং শিল্পচর্চায় মনোনিবেশ করতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর বসালো একটি সংস্থা।

আর‌ও পড়ুন: বেড়ে চলা ডাকাতি ঠেকাতে সোনার দোকানে হেলমেট পরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

এলাকার বেশ কয়েকজন শিল্পী মিলে একটি সংগঠন করেছেন। নাম দিয়েছেন গুঞ্জরণ। প্রতি মাসে একবার এলাকার প্রতিভাবান শিল্পীদের নিয়ে এবং নতুন প্রতিভা সৃষ্টি করতে একটি বৈঠকী আড্ডার আয়োজন করেন তাঁরা। যেখান থেকে উঠে আসে নতুন শিল্পীরা। সংগঠনের বাৎসরিক অনুষ্ঠান হিসেবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, তবলার লহরা এবং সেতারের আবহে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এক বৈঠকী আড্ডার আয়োজন করা হয় একটি গেস্ট হাউসে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তবলিয়া প্রান্তর কর্মকার, কণ্ঠশিল্পী অনিরুদ্ধ নাথ এবং সেতারশিল্পী সৌমাল্য চক্রবর্তী। প্রত্যেক শিল্পীর নিখুঁত উপস্থাপনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। কানায় কানায় দর্শক পরিপূর্ণ ছিল প্রেক্ষাগৃহ।

রঞ্জন চন্দ