হাওড়া: শাস্ত্রীয় নৃত্য অতি প্রাচীন এক নৃত্যশৈলী। তবে বর্তমানে ক্রিয়েটিভ ড্যান্সের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি। একজন শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে? এ বিষয়ে শুনে নেব শাস্ত্রীয় নৃত্য শিল্পীর কিছু কথা উদ্ভাবনী নৃত্য হল আধুনিক নৃত্যশৈলী যা বিভিন্ন ধরণের নৃত্যের সহযোগে গঠিত।
অন্যান্য শাস্ত্রীয় নৃত্যের মত ক্রিয়েটিভ ড্যান্সের কোন স্বতন্ত্র নিয়ম নেই। যদিও এটি কখনও কখনও ক্লাসিক্যাল এবং লোকনৃত্যের মত অন্যান্য নৃত্যের ধরনগুলিকে বিবেচনা করে, তবে এটির নাচের মোডের নিজস্ব পথ রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, শিল্পীরা অসংখ্য শাস্ত্রীয় নৃত্যের উন্নতি ঘটিয়েছে, যার ফলে আমরা আজকে যে আধুনিক রূপগুলি দেখতে পাচ্ছি তার সৃষ্টি। আজ, ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলি সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য শৈলীগুলিকে প্রধান সাত প্রকারে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে: কত্থক, ভরতনাট্যম, মণিপুরী, কথাকলি, ওডিসি, কুচিপুরী এবং মোহিনীঅট্টম।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য হল মন ও আত্মার নৃত্য এবং অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী। তবে ইদানিংকালে ক্রিয়েটিভ বা সৃজনশীল নৃত্যের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের ঝোঁক বেশি। একজন সফল শাস্ত্রীয় নৃত্য শিল্পী মেঘমালা দাস বসু পরামর্শ দিচ্ছেন কিভাবে পেশা হিসাবে মানুষ শাস্ত্রীয় নৃত্যকে বেছে নেবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: এখনও প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় সেই অর্থে গান-বাজনার চর্চা হয় না। উচ্চাঙ্গ কিংবা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চাও আজকাল আর তেমন একটা হয় না। বদলে মোবাইলের নেশায় বুঁদ হয়ে আছে যুব প্রজন্ম। সেই নেশা থেকে কাটাতে এবং তাদের মধ্যে শিল্পচর্চার স্পৃহা জাগিয়ে তুলতে প্রতি মাসে উদীয়মান শিল্পীদের নিয়ে এবং নতুন প্রতিভার খোঁজে বেশ কিছুজন মিলে গানের আড্ডা জমান। বার্ষিক বৈঠকীতে আয়োজন করা হয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের। যেখানে ৮ থেকে ৮০ সকলেই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
গ্রামীণ এলাকায় সে অর্থে নেই কোনও শিল্পচর্চা। গান বাজনার চর্চা সামান্য থাকলেও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা প্রায় কেউই করেন না। কলকাতা কিংবা বিভিন্ন উন্নত শহরে এই চর্চা করেন বহু মানুষ। গ্রামীণ এলাকায় হয়ত হাতেগোনা কয়েকজন এর চর্চা করেন। তবে সে অর্থে কোনও বৈঠকী আড্ডা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় না। আর তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ধারণা দেওয়া এবং শিল্পচর্চায় মনোনিবেশ করতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর বসালো একটি সংস্থা।
এলাকার বেশ কয়েকজন শিল্পী মিলে একটি সংগঠন করেছেন। নাম দিয়েছেন গুঞ্জরণ। প্রতি মাসে একবার এলাকার প্রতিভাবান শিল্পীদের নিয়ে এবং নতুন প্রতিভা সৃষ্টি করতে একটি বৈঠকী আড্ডার আয়োজন করেন তাঁরা। যেখান থেকে উঠে আসে নতুন শিল্পীরা। সংগঠনের বাৎসরিক অনুষ্ঠান হিসেবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, তবলার লহরা এবং সেতারের আবহে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এক বৈঠকী আড্ডার আয়োজন করা হয় একটি গেস্ট হাউসে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তবলিয়া প্রান্তর কর্মকার, কণ্ঠশিল্পী অনিরুদ্ধ নাথ এবং সেতারশিল্পী সৌমাল্য চক্রবর্তী। প্রত্যেক শিল্পীর নিখুঁত উপস্থাপনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। কানায় কানায় দর্শক পরিপূর্ণ ছিল প্রেক্ষাগৃহ।