দক্ষিণ দিনাজপুর: বর্ষা ঢুকতেই উত্তরবঙ্গের নদীগুলি উত্তাল হয়ে উঠেছে। পাহাড় থেকে সমতলে পুরোদমে ঢুকে গিয়েছে বর্ষা। জলের তোড়ে আত্রেয়ী নদীর বাঁধে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ফাটল ঘিরেই ব্যাপক আতঙ্কে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে আত্রেয়ী নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকায় সরোজ রঞ্জন সেতুর কাছে আত্রেয়ী নদীর বাঁধে ওই ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধে ফাটল ধরতেই সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রবল চিন্তিত স্থানীয়রা। এদিকে বৃষ্টির জেরে আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ওই ফাটল বড় হয়ে যে কোনও সময়ে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। আর তাহলেই ভেসে যেতে পারে সংলগ্ন এলাকাগুলি। খবর পেয়ে এদিনই সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা আত্রেয়ী নদীর বাঁধের ওই ফাটল পরিদর্শন করেন। ছবিও তোলেন তাঁরা। কিন্তু বর্ষার সময় বাঁধ মেরামতের কাজ সেভাবে করা যাবে না। এই বিষয়টাই ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: ‘কবচ’ রক্ষা করবে সুন্দরবনের শিশুদের! কীভাবে জানেন?
সেচ দফতর সূত্রে খবর, বাঁধ মেরামত কাজ পূর্ত দফতরের অধীনে হবে। ফলে বিষয়টি পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছে। এদিকে বর্ষার মরশুম শুরু হয়েছে। ফলে শহরের ওপারে অনেক জায়গাতেই বাঁধের নানা অংশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে আশঙ্কা ও আতঙ্ক ক্রমশই বাড়ছে।
এই বিষয়ে বালুরঘাট সদরের সেচ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অঙ্কুর মিশ্র বলেন, আমরা ওই জায়গা পরিদর্শন করলাম। ওই জায়গায় একটা গর্ত রয়েছে। সেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে ওই জায়গাটি পূর্ত দফতরের অধীনে রয়েছে৷ তাই বিষয়টি তাঁদেরও জানানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষাকাল এলেই চকভৃগু এলাকা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধে ফাটল কিংবা এলাকা জুড়ে বাঁধের মাটি সরে গিয়ে জল ঢুকে যাওয়ার ঘটনা ঘটেই থাকে। পাশাপাশি কংক্রিটের বাঁধানো বাঁধে এত বড় গর্ত হল কী করে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ওই গর্ত দিয়ে একজন মানুষ পর্যন্ত ঢুকে যেতে পারবে৷ শুধুমাত্র এই জায়গা নয়, গোটা চকভৃগু বাঁধের নানা অংশ জুড়েই পরিস্থিতি সুবিধাজনক জায়গায় নেই বললেই চলে। এমনকি নিয়মিত বাঁধের সংস্কার করা হয় না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সুস্মিতা গোস্বামী