বাঁশের খোল তৈরি করছেন পরেশ

Bamboo Handicrafts: বাঁশের শিল্পকলার টিকিয়ে রাখতে ৩০ বছর ধরে লড়ে চলেছেন শিলিগুড়ির পরেশ

শিলিগুড়ি: হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশের শিল্প। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে গত ৩০ বছর ধরে একনাগরের সৃষ্টি করে চলেছেন শিলিগুড়ির পরেশ রায়। তাঁর হাতের কাজ না দেখলে বিশ্বাস হবে না সে কী অপূর্ব সৃষ্টি! বাঁশ দিয়েই তিনি তৈরি করে ফেলছেন মাছ, ময়ূর, পাখি, নৌকা সহ আর অনেক কিছু। তাঁর হাতের কাজ পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, পাশাপাশি অনেক রাজ্যেই সকলের নজর কেড়েছে।

বাঁশের তৈরি পণ্যের কদর আর তেমন নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থলি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যাবহার করলেও এখন বিলুপ্তির পথে এই শিল্পটি। এক সময় বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত সবখানেই ব্যবহার করা হত বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে চিরচেনা সেই ছবিটা। এরপরেও উপজেলার গুটি কয়েক পরিবারের মানুষ ঐতিহ্য ধরে রাখা সহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাঁশ শিল্পকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। তাঁদেরই একজন শিলিগুড়ির পরেশ রায়।

আরও পড়ুন: বিএসএফ কালভার্ট বন্ধ রাখায় বাংলাদেশ সীমান্তে মারাত্মক ক্ষতি চাষিদের!

পরেশ বাবুর কথায়, যত দিন যাচ্ছে ততই কমে যাচ্ছে এই বাঁশ দিয়ে তৈরি হস্তশিল্পের চাহিদা। মূল্যবৃদ্ধি, বাঁশের দুষ্প্রাপ্যতা আর অন্যদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী এসে নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে। এখন এই কাজ করে জীবন চালানো কঠিন। তাই সবাই অন্য পেশা খুঁজে নিচ্ছেন। কেন হারিয়ে যাচ্ছে এই শিল্পকলা এই উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কাজ পেলেও সঠিক মজুরি না পাওয়ায় সকলে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকে যাচ্ছেন। কেউ আর বাঁশের কাজ করতে চাইছেন না। তাঁর ইচ্ছে রয়েছে আগামী প্রজন্মকে বাঁশের কাজ শিখিয়ে এই শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখার। একটি বাঁশের তৈরি হস্তশিল্পের কর্মশালা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।

অনির্বাণ রায়