সেন বাড়ির পুজো 

Durga Puja 2024: বাড়ির মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ, ৫০০ বছরের সেন বাড়ির পুজোয় সমস্ত জোগাড়যন্ত্র করেন পুরুষেরা

উত্তর দিনাজপুর: দুর্গাপুজোর আর ৯২ দিন। আর ৯২ দিন পরেই বাঙালির মনে ফূর্তি-আনন্দের ফোয়ারা! মা আসছেন। এক বছর বাদে মা ফিরছেন বাড়িতে। উত্তর দিনাজপুর জেলার বনেদি বাড়ির প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম সেন বাড়ির পুজো। জেলার সর্বপ্রাচীন পুজো গুলির মধ্যে একটি এই সেন বাড়ির পুজো।

প্রতিবছরই রথের পরের দিন থেকে শুরু হয়ে যায় সেন বাড়ির পুজোর প্রস্তুতি । এই বাড়ির পুজো আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ বছরের পুরনো। পূর্ববঙ্গের সমস্ত রীতি-নীতি মেনে এ ‘পুজোর আয়োজন করা হয়। জানা যায়, সেন বাড়ির পুজোয় পুজোর সমস্ত জোগাড়, কাজকর্ম সবই বাড়ির পুরুষেরা করে থাকেন। বহু বছর ধরে এমনই রীতিনীতি পালন হয়ে আসছে এই পুজোয়। বাড়ির মহিলাদের মন্দিরের ভিতরে প্রথম থেকেই প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। মন্দিরের বাইরে চাতালে দাঁড়িয়ে মায়ের দর্শন করতে হয় সেন বাড়ির মা, বোনেদের। পূর্ববঙ্গের জমিদার বাড়ির এই পুজোতে এমনই নিয়ম মেনে চলে আসছেন সকলে। পরিবারে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে, সে কারণেই পরিবারের সকলেই মেনে চলছেন এই রীতি।

জানা যায় ওপার বাংলার যশোরের জমিদার তারিণী চরণ সেনের পূর্ব পুরুষেরা দুর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন । এরপর তাঁদের বংশধর সুরেন্দ্রনাথ সেনও পুজো করেছেন বাংলাদেশেই । এখন আর বাংলাদেশে নেই, নেই জমিদারি প্রথা। সেখানকার সব কিছু ছেড়ে তাঁরা এপার বাংলার এই রায়গঞ্জ শহরে বসতি করেছেন। একান্নবর্তী এই সেন পরিবারের বহু সদস্যই কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকলেও পুজোর কয়টা দিন সকলেই আসেন রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরের বাড়িতে। এই সেন বাড়ির ৫০০ বছর পার হলেও একবারের জন্যও বন্ধ হয়নি।

পিয়া গুপ্তা