দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাঝ সমুদ্র থেকে ডাঙার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়ো সেট। ফলে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলারে বাধ্যতামূলকভাবে এটি থাকে। কিন্তু এই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে এখনও সকল মৎস্যজীবী সরগর হয়ে না ওঠায় সমস্যা দেখা দিয়েছে উপকূলে। অনেক মৎস্যজীবী ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও সেট ঠিক করে ব্যবহার করতে পারছেন না।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, না জানা থেকে বেশ কিছু মৎস্যজীবী মাছ সমুদ্রে গিয়ে খেয়াল খুশি মত রেডিও সেটের চ্যানেল ব্যবহার করছেন। যার ফলে অসুবিধা হচ্ছে মাঝে মধ্যেই। ভুল জায়গায় ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে। বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে উপকূল এলাকায়। নিরাপত্তার দায়িত্বরতদের কাছেও অনেক সময় ভুল বার্তা গিয়ে পৌঁছচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতায় সুযোগ হ্যামিলটনগঞ্জের পড়ুয়াদের
প্রতি বছরই মাছ ধরার মরশুমে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। অথচ সব ট্রলারের সঙ্গে মৎস্য বন্দরগুলির যোগাযোগ রাখার জন্য প্রতিটি ট্রলারেই রয়েছে ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়ো সেট। এই রেডিও সেটের একটি নির্দিষ্ট চ্যানেল মারফত বন্দরের থেকে ১২ থেকে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরত্ব পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়া মৎস্যজীবীরা সহজেই উপকূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন। আবহাওয়ার ভাল থাকলে আরও বেশি দূর থেকে যোগাযোগ করা যায়। তাছাড়া মাঝ সমুদ্রে প্রতিটি ট্রলার পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এই রেডিয়ো সেটের মাধ্যমেই। ফলে ভুল ব্যবহারের জন্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থায় গোলযোগ দেখা দেওয়ায় সমস্যা বাড়ছে।
এই নিয়ে দীপক হাজরা নামে এক মৎস্যজীবী জানিয়েছেন, আমরা সকলেই এগুলি ব্যবহার করতে জানি। কিন্তু চ্যানেল বদলালে অসুবিধা হয়। উপকূল রক্ষী বাহিনীও ট্রলারগুলির মধ্যে কথোপকথন শুনতে পায় ওই নির্দিষ্ট চ্যানেলে কথা বললে। কিন্তু চ্যানেল বদলালেই সমস্যা হয়। বাংলাদেশ থেকে কলকাতা বন্দরে যাতায়াত করা বার্জগুলির কথোপকথনও শোনা যায় এই রেডিও সেটে। এ নিয়ে মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রবীন দাস জানিয়েছেন, অনেকে অজ্ঞতাবশত বা ভুল করে অন্য চ্যানেল ব্যবহার করে। যার ফলে অসুবিধা হয়।
নবাব মল্লিক