নিট দুর্নীতি মামলায় আটক মূল অভিযুক্ত সহ দু’জন. (Image: PTI)

NEET-UG Paper Leak Probe: নিট দুর্নীতি মামলায় মূল অভিযুক্ত সহ দুজন ব্যক্তিকে আটক করল সিবিআই

দিল্লি: নিট প্রশ্ন ফাঁসের আভিযোগে তোলপাড় হয়েছে সমগ্র দেশ৷ এই নিয়ে তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)৷ এই তদন্ত মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই একজন মূল অভিযুক্ত সহ দুজনকে আটক করেছেন৷ পুলিশের সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগে ন্যাশানাল টেসটিং এজেন্সির ট্রাক থেকে প্রশ্নপত্র চুরি করেছিল৷

এর মধ্যে একজন অভিযুক্তকারী এনআইটি জামশেদপুর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ২০১৭ ব্যাচের ছাত্র ছিল৷ পঙ্কজকুমার ওরফে আদিত্য হাজিরাবাগে এনটিএর ট্রাক থেকে প্রশ্নপত্র চুরি করে বলে অভিযোগ৷ বোকারোর বাসিন্দা পঙ্কজকে পাটনা থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷

আরও পড়ুন: তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসরুমে ভেঙে পড়ল একটা আস্ত সিলিং ফ্যান! আহত ১ শিশু

তার পাশাপাশি পুলিশ রাজু সিং বলে এক ব্যক্তিকেও আটক করে৷ অভিযোগ প্রশ্ন চুরি করতে তিনি পঙ্কজকে সাহায্য করেন৷ ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট দুর্নীতি মামলায় এখনও অবধি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: ‘‘নিয়োগের তালিকা কোথায়?’’ ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অমৃতা সিনহার প্রশ্ন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে, ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ

এই ঘটনায় সিবিআই ইতিমধ্যেই ৬টি এফআইআর নথিভূক্ত করেছে৷ এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রেরও কিছু ব্যক্তির যোগ পেয়েছে৷ ২৭ জুন এই মামলায় প্রথম আটক করে সিবিআই৷ অভিযুক্তদের নাম যথাক্রমে মণিশ প্রকাশ এবং আশুতোষ কুমার৷ দু’জনেই পাটনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ আশুতোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীরা যেখানে পড়ে, সেই সব জায়গায় বিলি করেছেন৷ মণিশের বিরুদ্ধে ফাঁস হওয়া পত্রগুলো যোগাড় করার অভিযোগ রয়েছে৷

দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে বিচারাধীন নিট সংক্রান্ত মামলাকে ইতিমধ্যেই স্থগিত করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ওই মামলাগুলি একত্রে শুনতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সে বিষয়ে একটি নোটিসও জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিট মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং এই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (এনটিএ) পৃথক ভাবে নোটিস দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ৪ জুন দেশে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিনই নিটের ফল প্রকাশ পায়। সেখানে ৬৭ জন ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই একই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। বিতর্কের মাঝে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পরীক্ষার জন্য সময় কম পাওয়ায় কয়েক জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়। পরে মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে কেন্দ্রের তরফে বাড়তি নম্বর বাতিল করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়। তার পরেও বিতর্ক থামেনি।