Tag Archives: Question Paper Leak

NEET-UG Paper Leak Probe:নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তে সিবিআইয়ের বিবৃতি, আটক হাজারিবাগ স্কুলের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ-সহ আরও অনেকে

দিল্লি: বৃহস্পতিবার, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিহারে হাজারিবাগের এক বিদ্যালয় থেকে প্রশ্নপত্রগুলো ফাঁস হয়েছিল৷

কয়েকদিন আগেই নিট প্রশ্ন ফাঁসের আভিযোগে তোলপাড় হয়েছে সমগ্র দেশ৷ এই নিয়ে তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)৷ তদন্তভার গ্রহণ করে বোকারোর বাসিন্দা পঙ্কজকুমার ওরফে আদিত্যকে পটনা থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ তার বিরুদ্ধে হাজিরাবাগে এনটিএর ট্রাক থেকে প্রশ্নপত্র চুরির অভিযোগ রয়েছে৷

আরও পড়ুন:নিট দুর্নীতি মামলায় মূল অভিযুক্ত সহ দুজন ব্যক্তিকে আটক করল সিবিআই

তদন্তে জানা গিয়েছে ৫ মে, সকালে প্রশ্নপত্র-সহ ট্রাঙ্কগুলো হাজারিবাগের ‘ওয়েসিস’ বিদ্যালয়ে আসে৷ তারপর সেখানকার কন্ট্রোল রুমে সেই ট্রাঙ্কগুলো রাখা হয়৷  জানা গিয়েছে সেই রুম থেকেই অবৈধভাবে প্রশ্নপত্র গুলোর অ্যাক্সেস পায় ঘটনার মূল অভিযুক্ত পঙ্কজ কুমার ওরফে আদিত্য ওরফে সাহিল৷

বিবৃতিতে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে সর্বভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাটি৷ এই প্রশ্নপত্র ফাঁসে হাজারিবাগ এনটিএ সিটি কো-অর্ডিনেটরেরও যোগসাজশ ছিল৷ ওই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পঙ্কজকে অনৈতিকভাবে কন্ট্রোল রুমে প্রবেশাধিকার দেন৷

আরও পড়ুন: ‘‘নিয়োগের তালিকা কোথায়?’’ ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অমৃতা সিনহার প্রশ্ন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে, ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ

ট্রাঙ্ক থেকে প্রশ্নপত্র বের করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল৷ তার পর আবার ট্রাঙ্কগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ সেই দিনই চুরি যাওয়া প্রশ্ন পত্রগুলোকে হাজারিবাগেই কয়েকজনকে দিয়ে অর্থের বিনিময় সমাধান করিয়ে নেওয়া হয়েছিল৷

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে আটক করা হয়েছে৷ বিদ্যালয় থেকে বেশ কিছু অর্ধ-পোড়া প্রশ্নপত্রের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে৷

তদন্তে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত এমবিবিএস কলেজের পড়ুয়ারা এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রগুলো টাকার বিনিময়ে সমাধান করেছে৷ তাঁদের চিহ্নিত করে বেশিরভাগকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত সিবিআই প্রায় ৩৩টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৩৬ জনকে আটক করেছে৷ তারমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ৷ যদিও তদন্ত এখনও শেষ হয়নি৷

NEET-UG Paper Leak Probe: নিট দুর্নীতি মামলায় মূল অভিযুক্ত সহ দুজন ব্যক্তিকে আটক করল সিবিআই

দিল্লি: নিট প্রশ্ন ফাঁসের আভিযোগে তোলপাড় হয়েছে সমগ্র দেশ৷ এই নিয়ে তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)৷ এই তদন্ত মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই একজন মূল অভিযুক্ত সহ দুজনকে আটক করেছেন৷ পুলিশের সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগে ন্যাশানাল টেসটিং এজেন্সির ট্রাক থেকে প্রশ্নপত্র চুরি করেছিল৷

এর মধ্যে একজন অভিযুক্তকারী এনআইটি জামশেদপুর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ২০১৭ ব্যাচের ছাত্র ছিল৷ পঙ্কজকুমার ওরফে আদিত্য হাজিরাবাগে এনটিএর ট্রাক থেকে প্রশ্নপত্র চুরি করে বলে অভিযোগ৷ বোকারোর বাসিন্দা পঙ্কজকে পাটনা থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷

আরও পড়ুন: তৃতীয় শ্রেণীর ক্লাসরুমে ভেঙে পড়ল একটা আস্ত সিলিং ফ্যান! আহত ১ শিশু

তার পাশাপাশি পুলিশ রাজু সিং বলে এক ব্যক্তিকেও আটক করে৷ অভিযোগ প্রশ্ন চুরি করতে তিনি পঙ্কজকে সাহায্য করেন৷ ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট দুর্নীতি মামলায় এখনও অবধি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে৷

আরও পড়ুন: ‘‘নিয়োগের তালিকা কোথায়?’’ ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অমৃতা সিনহার প্রশ্ন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে, ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ

এই ঘটনায় সিবিআই ইতিমধ্যেই ৬টি এফআইআর নথিভূক্ত করেছে৷ এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রেরও কিছু ব্যক্তির যোগ পেয়েছে৷ ২৭ জুন এই মামলায় প্রথম আটক করে সিবিআই৷ অভিযুক্তদের নাম যথাক্রমে মণিশ প্রকাশ এবং আশুতোষ কুমার৷ দু’জনেই পাটনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ আশুতোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীরা যেখানে পড়ে, সেই সব জায়গায় বিলি করেছেন৷ মণিশের বিরুদ্ধে ফাঁস হওয়া পত্রগুলো যোগাড় করার অভিযোগ রয়েছে৷

দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে বিচারাধীন নিট সংক্রান্ত মামলাকে ইতিমধ্যেই স্থগিত করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ওই মামলাগুলি একত্রে শুনতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সে বিষয়ে একটি নোটিসও জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিট মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং এই পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (এনটিএ) পৃথক ভাবে নোটিস দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ৪ জুন দেশে লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিনই নিটের ফল প্রকাশ পায়। সেখানে ৬৭ জন ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই একই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। বিতর্কের মাঝে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পরীক্ষার জন্য সময় কম পাওয়ায় কয়েক জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়। পরে মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে কেন্দ্রের তরফে বাড়তি নম্বর বাতিল করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়। তার পরেও বিতর্ক থামেনি।