সাদা শাড়িতে বৃদ্ধা মহিলা

Old Woman Rescued by Boatman: নাতনির মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে গঙ্গায় ঝাঁপ ঠাকুমার!

হুগলি: নাতনির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ধাক্কা সামলাতে না পেরে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বৃদ্ধার। যদিও ত্রিবেণী ঘাটের নৌকার মাঝিরা সাঁতরে গিয়ে আরতী ঘোষ (৭৮) নামে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। ফলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

দু’বছর আগে ছেলে ও মাস কয়েক আগে নাতনির মৃত্যুতে নিজেকে অপয়া ভেবে বসেছিলেন বৃদ্ধা আরতী ঘোষ। সেই থেকেই গভীর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। আত্মহত্যা করার জন্যই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ত্রিবেনী ঘাটের কাছে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। সঙ্গে সঙ্গে জলের স্রোতে ভেসে যেতে থাকেন। বিষয়টি নজরে আসে নৌকার মাঝিদের। তাঁরাই ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন।

আর‌ও পড়ুন: রাতে পার্কিং করে রাখা গাড়ি ঘুম থেকে উঠে দেখলেন পুকুরে ভাসছে! এ কী কাণ্ড

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধার বড় ছেলে শৈলেন ঘোষের মেয়ে ডালিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় মাস দুয়েক আগে। পোলবার আমনান গ্রামে মারা যান তিনি। মা মরা মেয়ে ঠাকুমা আরতিদেবীর কাছেই মানুষ হয়েছিলেন। নাতনিকে নিজের মেয়ের মত করে মানুষ করেন বৃদ্ধা। বড় ছেলের বছর দুয়েক আগে মৃত্যু হলে বৃদ্ধার একমাত্র অবলম্বন ছিলেন এই নাতনি। সেই নাতনি চলে যাওয়ায় আরতি ঘোষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবুও নিজের কাজ নিজেই করতেন।

এদিন ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় বৃদ্ধা তাঁর বাপের বাড়ি বেহুলায় চলে যান। সেখান থেকে টোটোতে করে ত্রিবেণী ঘাটে স্নান করবেন বলে আসেন। টোটো চালককে বৃদ্ধা বলেন ফিরে যেতে, তিনি পরে বাড়ি ফিরবেন। ঘাটে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর হঠাৎ নদীতে ঝাঁপ দেন বৃ্দ্ধা। কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়াররা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন। ঘাটে থাকা নৌকার মাঝিরা ভেসে যেতে থাকা ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। পরে বলাগড় থানার ওসি রাজকিরণ মুখোপাধ্যায় বৃদ্ধার বাড়িতে খবর দেন। নাতি সুমন ঘোষ ত্রিবেণী ঘাটে এসে ঠাকুমাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যান।

রাহী হালদার